সুস্বাদু তন্দুরি চায়ের স্বাদ নেওয়ার অনুভূতি।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বিখ্যাত তান্দুরি চা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।

আমাদের বাংলাদেশটা যেমন বিচিত্রময়, ঠিক তেমনি আমাদের বাংলাদেশের মানুষগুলো ও বিচিত্রময়। বিচিত্রময় মানুষগুলোর খাবার-দাবার ও বিচিত্রময় হয়ে থাকে। বাংলাদেশে একই ধরনের খাবার বিভিন্ন নামে পাওয়া যায়। উপকরণ সবকিছু ঠিক থাকে, শুধু নাম, আর ব্যানার পরিবর্তন হয়। বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার হলো চা। চা অবশ্য খাই না, পান করে। তো এই চা বাংলাদেশে বিভিন্ন নামে পাওয়া যায়। যেমন রং চা, দুধ চা, তান্দুরি চা সহ আরো অনেক নামের চা রয়েছে। যেগুলোর নাম এই মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে না।

তো চা আমাদের বাংলাদেশের মানুষের খুবই প্রিয়। বাংলাদেশে অনেক ধরনের অনেক ব্র্যান্ডের চা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী হলো সিলেট। সিলেটে গেলে ১০ থেকে ১২ রকমের চা খাওয়া যায়। যারা সিলেটের শ্রীমঙ্গলে গিয়েছে তাদের বিভিন্ন ধরনের চা খাওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। অনেক মানুষ রয়েছে চা তাদের নেশার মত। সারাদিনে দুই চার কাপ চা খাওয়া লাগে। তবে আমার চা খাওয়ার এত নেশা নেই। মাঝেমধ্যে চা খাওয়া হয়।

কয়েক দিন আগে আমাদের বাসার পাশের এক মেলাতে গিয়েছিলাম। সেখানে তান্দুরি চা দেখে খেতে মন চাইলো। তান্দুরি চা এর আগে আমি অনেকবার খেয়েছি। আমাদের চাষাড়া মোড়ে বিখ্যাত তান্দুরি চাওয়া পাওয়া যায়। একবার খেলে বারবার খেতে মন চায়। ভাবলাম মেলার চা কেমন, একবার খেয়ে টেস্ট করা যাক। তো মামাকে বললাম সুন্দর করে এক কাপ তান্দুরি চা বানিয়ে দিতে। মামা বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তান্দুরি চা বানানো শুরু করলেন। আর আমি ফটোগ্রাফি করলাম।

মামা প্রথমে মাটির কাপটিকে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেন। তারপর আগুনের মধ্যে দিয়ে চায়ের কাপটি শুকিয়ে নিলেন। তারপরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সুন্দর করে এক কাপ চা বানিয়ে দিলেন। তান্দুরি চা খেয়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। মামাকে ১০/ ৮ নাম্বার দেওয়া যায়। কারণ প্রতি চুমুকে অসাধারণ স্বাদ লেগেছিল। একবার খেলে বারবার খেতে মন চায়। সুস্বাদু লোভনীয় তন্দুরি চা।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।