“দেনা পাওনা ’’ নাটক সিরিজ রিভিউ- এপিসোড ৩-৪।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করতে চলে এলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে দেনা পাওনা নাটক সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ এপিসোডের রিভিউ শেয়ার করবো। এটি বাস্তব ভিত্তিক একটি সিরিজ। যেটা দর্শকদের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করছে। আমার অবশ্য সব গুলো পর্ব এখনো দেখা শেষ হয় নি। ধীরে ধীরে দেখে ফেলবো।
নাটকের প্রয়োজনী কিছু তথ্য
নাটকের নাম:- দেনা পাওনা
পরিচালনাঃ- কে এম সোহাগ রানা
প্রযোজক:- সোহাগ তালুকদার
অভিনয়েঃ- শহিদুজ্জামান সেলিম, অ্যালেন শুভ্র, ডা. এজাজুল ইসলাম, শিল্পী সরকার অপু, মনিরা আক্তার মিঠু, সুষমা সরকার, মুসাফিরে সৈয়দ বাচ্চু, সোহাগ খান, এমএনইউ রাজু, এবি রোকন, তানজিম হাসান অনিক, তাবাসসুম জাসান ছৈয়া, সুবহানা, তানজিম হাসান সহ আরও অনেকে।
মুক্তির তারিখঃ- ২৬শে নভেম্বর ২০২৪
সময়ঃ- দুটি এপিসোড ৪০ মিনিট
দেশঃ- বাংলাদেশ
ভাষাঃ- বাংলা।
সংক্ষিপ্ত রিভিউ-
শহিদুজ্জামান সেলিম তার বউ ও ছোট ছেলেকে নিয়ে বড় ছেলের বাসায় এসে বিপদের মধ্যেই পড়ে গেলো। কারন ঢাকা শহরে থাকার জায়গা খুবই কম থাকে। বাসার মধ্যে রুমই দুটি। যার ফলে তাকে রাতের বেলা ফ্লোরে শুতে হয়েছে। আর তার বউ, নাতনি ও বড় ছেলের শালিকা নিপা এক রুমে ঘুমিয়েছে। বড় ছেলে আর বড় ছেলের বউ এক রুমে ঘুমিয়েছে। রাতের বেলা শহিদুজ্জামানের ঘুম আসতেছিলো না, একসময় তার পানির তৃষ্ণা পায়। সে টেবিল থেকে পানি খেয়ে নিজের পত্নী ঘুমিয়েছে কি না, সেটা দেখতে যায়। গিয়ে দেখে তার পত্নীও ঘুমায় নি। তখন শহিদুজ্জামান বলে আমরা তো কখনো আলাদা ঘুমায়নি তাই আমাদের ঘুম আসতেছে না। এমনি হঠাৎ করে নিপার ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং সে সাথে সাথে চিৎকার করে ওঠে। সেই সাথে বাসার সবাই একত্রিত হয়ে যায়। বড় ছেলের বউ তাদেরকে নিয়ে কিছুটা বিরক্তই হয়।
পরেরদিন সকালবেলা শহীদুজ্জামান তার ছোট ছেলেকে নিয়ে পার্কে হাটতে যাই। পার্ক থেকে হাঁটাহাঁটি করে এসে শহিদুজ্জামান তার স্ত্রীর কাছে এক কাপ চা চাই। প্রতিদিন সকালবেলা হাটাহাটি করে এসে চা খাওয়াটা শহিদুজ্জামানের একটি অভ্যাস। শহীদুজ্জামানের স্ত্রী ছেলের বাসায় নতুন এসেছে কোথায় কি আছে সেটা সে জানেনা। চা পাতা আর চিনি খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ করে তার হাত লেগে লবণ ও কড়াই পড়ে যায়। এই আওয়াজে শহীদ ও তার বউয়ের ঘুম ভেঙ্গে যায়। যার ফলে শহীদ তার মাকে বারবার এটা বোঝানোর চেষ্টা করে যে এটা শহর এটা গ্রাম না। এখানে এত সকালে কেউ ঘুম থেকে উঠে না। তুমি সামান্য এক কাপ চায়ের জন্য আমাদের ঘুম নষ্ট করে দিলে। তোমার চা লাগলে আমাদেরকে বলতে পারতে। কিন্তু শহীদের মা তাদের ঘুম নষ্ট হবে সেজন্য নিজেই চা বানাতে গিয়েছিল। তখন শহিদ তার মাকে অপমান করে।
তারপরে আসে একটি খুবই মজার চিত্র। নিপা যে বাসাতে থাকে সে বাসার কেয়ারটেকার নিপাকে খুবই পছন্দ করে। কিন্তু কেয়ারটেকার এর বয়স বেশি আবার মাথাতে চুল নেই। সেজন্য নিপা তাকে খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলে যে তার বয়সের সাথে নিপার বয়স যায় না। সুতরাং সে যেটাকে ভালো লাগা মনে করে, সেটা নিপার কাছে বিরক্তিকর। সে জন্য কেয়ারটেকার নকল চুল লাগিয়ে নিপার সামনে এসে দাঁড়াই আর নিপা সেটা দেখে হাঁসাহাঁসি করে। এবাড়ির মালিক আবার কেয়ারটেকারের চাচা হয়। কেয়ারটেকার মটর নষ্ট হয়েছে বলে মিথ্যে কথা বলে চার হাজার টাকা বাড়ির মালিক থেকে নিয়ে যাই। সেজন্য বাড়ির মালিক কেয়ারটেকারকে ডেকে তার মাথার নকল চুল নিয়ে যায়।
এদিকে খাইরুলের সাথে নিপা কথা বলার চেষ্টা করে। যদিও খাইরুলের সাথে কথা বলাটা নিপার বড় বোন পছন্দ করে না। এক সময় খাইরুল বারান্দার মধ্যে দাঁড়িয়ে প্রকৃতি দেখছিল এমন সময় নিপা গ্রিন টি নিয়ে হাজির হয়। নিপা তখন খাইরুল কে চা খাওয়ার জন্য অফার করে। নিপা বলে সে সে চা বানিয়ে খাইরুলকে এনে দিবে। কিন্তু খাইরুল নিপার চা থেকে অল্প একটু চুমুক দেই। আর এই দৃশ্যটা খাইরুলের বড় ভাই শহিদুল দেখে ফেলে। সেটা নিয়ে খায়রুলসহ তার বাবা মাকে অনেকগুলো কথা বলে এবং অপমান করে। কিন্তু খাইরুল একদিন লুকিয়ে লুকিয়ে চা বানিয়ে নিপাকে দিয়ে আসে। তারপরে শহীদুজ্জামান এই বাসাতে আসার পর থেকে বড় ছেলের শহীদের সাথে বাড়ির টাকা পয়সার বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করে। বাসার মধ্যে ঝামেলা দেখে একদিন বাড়ির গেইটে গিয়ে শহীদের জন্য অপেক্ষা করে। সেখানে শহীদ তার বাবা ও খাইরুল কে দেখে এ বিষয়ে কথা বলার কারণে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে ও অপমান করে। এভাবে প্রতি পদে পদে শহীদ ও তার স্ত্রী শহীদুজ্জামান ও তার বউ আর খাইরুলকে বিভিন্নভাবে অপমান করতে থাকে।
মতামত-
এ দুই পূর্বে মোটামুটি একটি বিষয় ফুটে উঠেছে শহীদ ও তার স্ত্রী গ্রাম থেকে আসা শশুর শাশুড়ি ও খায়রুলকে কোনভাবেই পছন্দ করছে না। একটু ভুল পেলেই তিনজনকে একসাথে কথা শুায়। এখানে খায়রুলের কিছুটা দোষ আছে সে কিছু কিছু কাজ এই এক্সট্রা করার চেষ্টা করেছে। যদিও এগুলো তার মতে সঠিক ছিল, কিন্তু যেহেতু সে ঢাকা শহরে তার বড় ভাইয়ের বাসায় গেছে, সেখানে কিছুটা সংযত হওয়ার দরকার ছিল। দেখা যাক পরে পড়বে কি দেখা যায়।
নাটকের দুই পর্বের লিংক
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [2/1/2025 10:09 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
Done
দেনা পাওনা নাটকটি খুব সুন্দর একটি নাটক আমি অনেকগুলো পর্ব দেখেছি। এই নাটক দেখার মতো একটি নাটক এবং এর মাধ্যমে সামাজিক কিছু বিষয় শিক্ষার আছে। অসংখ্য ধন্যবাদ নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
জী এটি শিক্ষনীয় একটি নাটক। ধন্যবাদ।