আজকের জয়ের রাজা নুরুল হাসান সোহান।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ বিপিএল এর ১৩ তম ম্যাচের রিভিউ শেয়ার করবো। আজকের এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আর মোকাবেলা করেছে ফরচুন বরিশাল বনাম রংপুর রাইডার্স।
আমি সাধারণত বরিশালের খেলাগুলো দেখার চেষ্টা করি। কারণ বাংলাদেশ টিমের মধ্যে আমার সব থেকে প্রিয় খেলোয়াড় হলো তামিম ইকবাল। তামিম ইকবালের খেলা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সেজন্য তামিম ইকবাল যে দলে থাকে, আমি ওই দলকে সাপোর্ট করার চেষ্টা করি। আজকে রংপুর রাইডার্স এর সাথে তামিম ইকবালের দল ফর্চুন বরিশাল হারলেও সম্পূর্ণ খেলাটিতে টানটান উত্তেজনা ছিল।
আজকে রংপুর রাইডার্স টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ফরচুন বরিশালের পক্ষে ওপেনিং ব্যাটিং করেছিল তামিম ইকবাল ও উইকেট কিপার শান্ত। ফরচুন বরিশালের শুরুটা খুবই সুন্দর হয়েছিল। তামিম এবং শান্ত দুজনই খুব সুন্দর খেলাটি শুরু করেছিল। দুই জনের ব্যাট থেকেই মোটামুটি রান এসেছিল। আজকে ফরচুন বরিশালের ওপেনিং জুটি ভেঙ্গেছিল একাশি রান সংগ্রহ করার পরে। সে অনুযায়ী রান দুইশত প্লাস হওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু সে অনুযায়ী রান কিছুটা কম হয়েছে।
তামিম ইকবাল ৩৪ বল মোকাবেলা করে চল্লিশ রান সংগ্রহ করেছিল। যার মধ্যে চারটি চার ও দুইটি ছয় ছিল। নাজমুল হাসান শান্ত ৩০ বলে ৪১ রান করেছিল। যার মধ্যে পাঁচটি চার ও একটি ছয় ছিল। তৃতীয় নাম্বারে মায়ার্স খুবই ভালো খেলার চেষ্টা করেছে। সে ২৯ বল মোকাবেলা করে ৬১ রান সংগ্রহ করে অপরাজিত ছিল। যার মধ্যে একটি চার সাতটি ছয় ছিল। আজকে মাহমুদুল্লাহ তেমন ভালো করতে পারেনি। চার বলে দুই রান করে আউট হয়ে গিয়েছিল। তবে তৌহিদ হৃদয় এবং ফাহিম আশরাফ মোটামুটি ভালো খেলেছে। তৌহিদ হৃদয় ১৮ বলে ২৩ রান ফাহিম আশ্রাফ ৬ বল মোকাবেলা করে ২০ রান সংগ্রহ করেছিল। সব মিলিয়ে ফরচুন বরিশাল ৫ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভার মোকাবেলা করে ১৯৭ রান সংগ্রহ করেছিল।
রংপুর রাইডার্স এর পক্ষে ওপেনিং হিসেবে ব্যাট করেছিল তৌফিক খান ও এলেএক্স হেলস। তবে দুঃখের বিষয় হলো এলেক্স হেলস তিন বলে এক রান করে আউট হয়ে যায়। অন্যদিকে তৌফিক খান ২৮ বলে ৩৮ রান সংগ্রহ করেছিল। যার মধ্যে তিনটি চার ও তিনটি ছয় ছিল। তৃতীয় নাম্বারে শরীফ হাসান ১৯ বলে ২২ রান সংগ্রহ করে।
তারপর ইফতিকার আহমেদ ও খুশদি শাহ মোটামুটি ধরে খেলার চেষ্টা করেছিল। তারা দুইজন ধীরে ধীরে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেছি। ইফতিকার আহমেদ ৩৬ বলে ৪৮ রান ও খুশদি শাহ ২৪ বলে ৪৮ রান সংগ্রহ করে। দুজনের ব্যাট থেকে ১৩ টি বাউন্ডারি ছিল। রংপুর রাইডার্স লাস্টের দিকে প্রায় হেরে গিয়েছিল। কারণ লাস্ট ওভারে ২৬ রানের দরকার ছিল। সে জায়গায় উইকেট কিপার ও ক্যাপ্টেন নুরুল হাসান সোহান সাত বলে ৩২ রান সংগ্রহ করে। লাস্ট ছয়টি বলে ছয়টি বাউন্ডারি মেরেছিল। ৩টি চার ও ৩টি ছয়।
টানটান উত্তেজনার মধ্যে খেলাটি সমাপ্ত হয়েছিল। রংপুর রাইডার্স আজকে সবাইকে চমক দেখিয়ে দিয়েছে। হেরে যাওয়া খেলাটি নুরল হাসান সোহান জয় ছিনিয়ে এনে দিয়েছে। বোলিংয়ের দিক দিয়ে দুই দলই মোটামুটি বোলিং করেছে। কোন দলই তেমন চাপিয়ে রাখতে পারেনি। যাই হোক খেলাটি দেখে দর্শকরা আনন্দে পেয়েছে। কারণ প্রথম থেকেই টানটান উত্তেজনা কাজ করেছিল। সবাই ভেবেছিল বরিশাল জিতবে। কিন্তু গোল বলের খেলা কিছু বলা যায় না। কখন পরিবর্তন হয়ে যায়। আর আজকে সেই ঘটনায় ঘটেছে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP