ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে বাংলাদেশ দল হোয়াইট ওয়াশও ঠেকাতে পারলো না।।
মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় ওডিআই ম্যাচের রিভিউ শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওয়ানডে খেলার রিভিউটি শেয়ার করেছিলাম। সে ম্যাচ রিভিউর মধ্যে আপনাদের সাথে আমি বাংলাদেশের কোন কোন জায়গায় প্রবলেম ছিল সেটা আপনাদের সাথে উল্লেখ করেছিলাম। তারপর বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটিও খুবই লজ্জাজনক ভাবে হেরেছে। গতকাল তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে মেরাজ বাহিনী। যদিও গতকালকের ম্যাচটিতে মোটামুটি ভালোই রান করেছিল। কিন্তু বোলিং এবং ফিল্ডিং-এর জন্য বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরেছে।
ঐদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টার সময় ম্যাচটি শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশের পক্ষে ওপেনিং হিসেবে ব্যাটিং করেছে তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকার। তানজিদ হাসান গত দুইটি ম্যাচে অল্প অল্প কিছু রান করলেও তৃতীয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচ বলে শুন্য রানে আউট হয়। তানজিদ হাসান আউট হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশ দল প্রথম ধাক্কা খায়। তবে সৌম্য সরকার বিপর্যয় সামাল দিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেছিল। তৃতীয় নাম্বারে লিটন দাস এসেও তানজিদ হাসানের সাথে পাল্লা দিয়ে শূন্য রানে আউট হয়। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ধাক্কা খায়। তারপর মেহেদী হাসান ও সৌম্য সরকার বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে।
তারা বুঝতে পেরেছিল যদি তারা দলের হাল না ধরে তাহলে তীরে যাওয়ার অনেক আগেই বাংলাদেশ নামক তরী সাগরের অতল গহরে হারিয়ে যাবে। ঐদিন সৌম্য সরকার ৭৩ বলে ৭৩ রান সংগ্রহ করে। তার ব্যাট থেকে আমরা ছয়টি চার ও চারটি ৬ এর বাউন্ডারি দেখতে পাই। অপরদিকে মেহেদী হাসান মিরাজ, ৭৩ বল মোকাবেলা করে ৭৭ রান করে। সে আটটি চার ও তিনটি ছয় মেরে তার ইনিংস সাজিয়েছিল। তারপর আফিফ হোসেন ২৯ বল খেলে মাত্র ১৫ রান করে। এখানেও বাংলাদেশ দলের অনেকগুলো বল নষ্ট হয়। তারপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী মোটামুটি বাংলাদেশকে বেশকিছু রান এনে দিয়েছিল। আমরা দেখতে পাই মাহমুদুল্লাহ ৬৩ বলে ৮৪ রান সংগ্রহ করেছিল। তার নামের পাশে আমরা ৭ টি চার এ চারটি ছয়ের বাউন্ডারি দেখতে পাই। জাকের আলী ৫৭ বলে ৬২ রান করে। সব শেষে বাংলাদেশ দল ৫০ ওভার বল মোকাবেলা করে ৩২১ রান করতে সক্ষম হয়। মোটামুটি বাংলাদেশ লড়াই করার মত একটা স্কোর ধার করেছিল।
দ্বিতীয় পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে অলিক আথানাজ ও ব্যান্ডন কিং ওপেনিং ব্যাট করেছিল। তবে অলিক আথানাজ আট বল মোকাবেলা করে সাত রান ও ব্যান্ডন কিং ১০ বল মোকাবেলা করে ১৫ রান করে আউট হয়ে যাই। তখন আমরা অনেকেই ভেবেছিলাম, বাংলাদেশ হয়তো খেলাটি জিততে পারবে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার্ট হিডার বেটার কেসি কার্টি খুবই সুন্দর একটি ইনিংস খেলেছে। সে ৮৮ বলে ৯৫ রান করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যাপ্টেন সাই হোপ তেমন ভালো করতে পারেনি। সে ছয় বলে মাত্র তিন রান করে। তারপর শেরফেন রাদারফোর্ড কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করে। সে আমির জঙ্গুকে সাপোর্ট দিয়েছিলাম। শেরফেন রাদারফোর্ড ৩৩ বল খেলে ৩০ রান করেছিল। কিন্তু আমীর জঙ্গু জ্বলে উঠেছিল। সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কে দারুন একটি ম্যাচ উপহার দেয়। সে ৮৩ বলে ১০৪ রান করে। সেই সাথে তিনটি ওডিআই ম্যাচের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসাবের নিজের নাম লিপিবদ্ধ করে।
শেষের দিকে গুদাকেশ মতি খুব ভালো ব্যাট চালিয়েছিল। সে মাত্র ৩১ বল খেলে ৪৪ রান সংগ্রহ করে। সে তিনটি চার তিনটি ছয় মারে। আমির জঙ্গু ও মতির বেটিং নৈপুণ্যে ৪৫ ওভার পাঁচ বল মোকাবেলা করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ৩২৫ রান সংগ্রহ করে ফেলে। আর এর মাধ্যমেই টানা তৃতীয় ম্যাচ জয়লাভ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে হোয়াইট ওয়াশ করে ফেলে। যাই হোক খেলার মধ্যে হার-জিত আছে, তবে বাংলাদেশ দল তিনটি ম্যাচই হারবে সেটা আমরা কখনো কল্পনা করিনি। আমরা হয়তো ভেবেছিলাম বাংলাদেশ কমপক্ষে একটি ম্যাচ হলেও জিততে পারবে। তবে বাংলাদেশ দল হাজার হাজার ভক্তকে নৈরাশ করেছে। এখন দেখা যাক বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোতে কি ধরনের পারফরমেন্স উপহার দেয়।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স সত্যিই হতাশা জনক ছিল। আমার মনে হয় বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্সের অনেক উন্নতি দরকার। বিভিন্ন দলের সঙ্গে হারতে হারতে পরাজয় তাই অভ্যাস হয়ে যায়। জয়ও হল একটি অভ্যাস। তাই একবার জয় করতে থাকা দল বারবার সকলকে হারিয়ে জয় করতে পারে। তবে আশা করি বাংলাদেশ দল তাদের নিজেদের উন্নতি সাধন করতে পারবে।
বাংলাদেশ হারতে হারতে অভ্যাস হয়ে গেছে। তাই আর হারলেও খারাপ লাগে না😄।
এই সিরিজে বাংলাদেশ দল এতটা খারাপ খেলবে সেটা কল্পনার বাইরে ছিল ভাই। আমিও আপনার মতই ভেবেছিলাম একটি ম্যাচ অন্তত জিতবে। কিন্তু সব ভক্তদেরকে আশাহত করেছে। হোয়াইটওয়াশ হওয়া একটা দলের জন্য খুবই লজ্জাকর। যাইহোক এ দলটির জন্য আবারও ভবিষ্যতে শুভকামনা রইল।
সম্পূর্ণ সিরিজটি খারাপ খেলতেছে। কিছু বুঝতেছি না। ধন্যবাদ।
আসলে ভাই বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম চেষ্টা করেছিল, যদিও কাঙ্খিত সফলতা অধরাই ছিল। তবে আশা করবো আগামী টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম দারুন কিছু উপহার দিবে আমাদের। অবশ্যই বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা থাকবে।
জী ভাই আমরা সবসময়ই আশায় থাকি।
বাংলাদেশের খেলা দেখতে বসলে আগে থেকেই মনে হয় এই ম্যাচটাও জিততে পারবে না।তবে বেশ কিছু ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ খুব সুন্দর রান করেন।শেষের ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ও জাকির আলী তারা দুইজন অনেক দুর এগিয়ে নিয়ে যায়।যাইহোক খুব সুন্দর ভাবে পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
জী ভাই আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের ইমেজ নাই।
TASK Done
ব্যাটিং এ বাংলাদেশ ভালো করছিল। বেশ ভালো একটা রান সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু বোলিং এ গিয়ে কোন প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। একপ্রকার সহজভাবে ম্যাচটা জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হোয়াইটওয়াশ এটা যেন আমিও মেনে নিতে পারছি না।
জি ভাই লাস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং আরেকটু ভালো হলে ফলাফল ভিন্ন হতো। ধন্যবাদ।
টি-টোয়েন্টি হোয়াইট ওয়াশ হবে এটা স্বাভাবিক কিন্তু ওডিআই তে এভাবে হোয়াইটওয়াশ হবে ভাবতে পারি নাই। বাংলাদেশের ব্যাটিং এবং বোলিং লাইন মোটামুটি ভালই। আমি আশা করেছিলাম একটি ম্যাচ হলেও তারা জয় লাভ করবে।