সবার আগে ফাইনালে তামিমের বরিশাল ফর্চুন।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। গত কাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ তথা বিপিএলের ফাইনাল খেলার প্রথম দল নির্বাচিত হয়েছে। চিটাগং কিংসকে হারিয়ে বরিশাল ফর্চুন নিজেদের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।

গত কয়েক দিন আগেই বিপিএলের গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। এবারের সাত দলের মধ্যে বরিশাল, রংপুর, খুলনা, চিটাগং এই চারটি দল কোয়ালিফাইর নিশ্চিত করে। এর মধ্যে গতকাল রংপুর রাইর্ডাস খুলনা টাইগার্সের সাথে খুবই বাজে ভাবে হেরেছে। যার মাধ্যমে এই বছর রংপুর রাইর্ডাসের বিপিএল থেকে বিদায় নেয়। তবে খুলনা টাইর্গাসকে ফাইনালে যেতে হলে চিটাগং কিংসকে হারিয়ে যেতে হবে। তারমানে চিটাগং গ্রুপ পর্বে দুই নাম্বারে থাকায় একটি সুযোগ বেশি পেয়েছে।

screenshot from T sports

গতকাল শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধা সাড়ে ছয়টার সময় বরিশাল ফর্চুন বনাম চিটাগং কিংসের খেলাটি শুরু হয়। এর আগে ছয়টার সময় বরিশালের ক্যাপটেন তামিম ইকবাল টস জিতে বলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে চিটাগং কে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায়। চিটাগং এর পক্ষে ওপেনিং ব্যাট করে খাঁজা নাফাই ও পারভেজ হোসেন ইমন। নাফাই প্রথম বলে চারের বাউন্ডারি দিয়ে দ্বিতীয় বলে বোল্ড আউট হয়ে যায়। তবে ইমন সবসময় ভালো খেলে আসতেছে, সে ৩৬ বল মোকাবেলা করে ৩৬ রান যুক্ত করে। যার মধ্যে তিনটি চার ও ২টি ছয়ের বাউন্ডারি ছিল।

তারপর একজন ছাড়া আর কেউ দুই সংখ্যার ঘর ছুঁতে পারে নাই। যেটা আমাদের সবাইকে অবাক করেছে। ক্লার্ক ৬ বলে ছয় রান, মিথুন ৪ বলে এক রান, খালেদ আহমেদ ৮ বলে এক রান, হায়দার আলী ৭ বলে সাত রান করে আউট হয়ে যায়। সবাই দুই চারটি করে বল টেষ্ট করেছে আর আউট হয়ে চলে গেছে। তবে একমাত্র সামিম হোসাইন কঠিন প্রাচীরের মত দাড়িয়ে ছিল। সে একাই ৪৭ বল মোকাবেলা করে ৭৯ রান সংগ্রহ করে। যেখানে ৯টি চার ও ৪টি ছয়ের বাউন্ডারি ছিল। সামিম হোসাইনের ৭৯ রানের উপর নির্ভর করে চিটাগং কিংস সর্বমোট ১৪৯ রান যুক্ত করে।

screenshot from T sports

দ্বিতীয় পর্বে বরিশালের পক্ষে ১৫০ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশের জন প্রিয় ক্রিকেট তারকা আমার প্রিয় খেলোয়াড় ক্যাপটেন তামিম ইকবাল। সে ২৬ বলে ২৯ রান সংগ্রহ করে। যার মধ্যে ৪টি চার ছিল। তারপর আসে তৌহিদ হৃদয় ও বিদেশি তারকা ডাইড মালান। তৌহিদ হৃদয় খুবই ভালো খেলেছে, সে ৫৬ বল মোকাবেলা করে ৮২ রান সংগ্রহ করে অপরাজিত ছিল। তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে ৯ টি চার ও ২টি চার আসে। মালান ও ২২ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিল। দুইজনের দুর্দান্ত পার্ফমেন্সে বরিশাল ফরচুন ৯ উইকেটে জয় পায়। যার ফলে তারা সবার আগে ফাইনালে নাম লেখায়।

screenshot from T sports

বরিশালের পক্ষে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলী দারুণ বলিং করেছে। সে ৪ ওভার বল ডেলিভারি দিয়ে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেয়। তার বল গুলো দারুন ছিল। এখন দেখা যাক ফাইনালের হাঁসিটা কারা হাঁসে।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।