লাইফে হঠাৎ বড় ধরনের ধাক্কা।।
বাংলা ভাষায় মনের আনন্দে ব্লগ লেখো-
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। বর্তমানে আমার চাকরি লাইফে বড় ধরনের একটি জামেলা হয়েছে। সবার কাছে দোয়া প্রার্থী। সবাই একটু সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করবেন। জামেলাটা যেন সুন্দর ভাবে সমাধান হয়ে যায়।
মানুষের জীবনের রাস্তাটা অনেক কঠিন। কখন রাস্তার মধ্যে কি বাঁধা চলে আসে বলা যায় না। জীবনের সুন্দর রাস্তাটা কখন কন্ঠকাকীর্ণ রাস্তায় পরিণত হয় সেটা কেউ বলতে পারেনা। প্রকৃতি কাকে কখন কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় সেটা বোঝা মুশকিল। আজকে যেখানে আছি আগামীকাল সেখানে থাকতে পারবো এমন কোন সিকিউরিটি নেই। আজকে যা করতেছি আগামীকাল তাই করতে পারবো এমন কোন গ্যারান্টি নেই। আসলে মানুষের জীবনটাই এমন, আজকে এখানে আছি তো আগামীকাল অন্য জায়গায়। হঠাৎ কোন একটি ঝড়ে মানুষের জীবন উলটপালট হয়ে যায়।
আপনারা সবাই জানেন যে আমি ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জ শহরে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করতেছি। এখানে প্রায় ১০ বছর যাবত কাজ করতেছি। সবকিছু মোটামুটি ভালোই যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই আমার চাকরি জীবনে একটি ঘূর্ণিঝড় চলে আসলো। আসলে বিপদ-আপদ মানুষের জীবনে বলে আসে না। আপনারা সবাই জানেন যে কিছুদিন আগে আমার ছোট ভাই বিদেশ থেকে এসেছিল। সে আসার এক সপ্তাহ পরেই আমার মামাতো বোনের সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়। গত বৃহস্পতিবার বিয়ে ছিল, আমি অফিস থেকে দুই দিন ছুটি নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর অফিস থেকে বের হয়েছিলাম। বুধবারে সকাল বেলা কমলাপুর স্টেশনে বসে আমি আপনাদের সাথে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম।
সেদিন এমনিতে ট্রেন মিস হয়ে মন খারাপ করে কমলাপুর স্টেশনে বসে ছিলাম। ওইখানে বসা থাকা অবস্থায় অফিস থেকে আমার কলিগ ফোন দিয়ে জানালো যে, গত মাসে ছুটি নেওয়ার কারণে এই মাসে আমার দুই দিন ছুটি বাতিল হয়ে গেছে। মানে বুধ এবং বৃহস্পতিবার অফিসে না গেলে এবসেন্ট হবে। এটাই হলো প্রাইভেট কোম্পানি, যারা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি আমরা সবাই পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকি। যায়হোক যেহেতু আমি কমলাপুরে চলে গেছি, আর ঐদিন বিয়ের বাজার সদাই করার প্রোগ্রাম ছিল। সেজন্য আর কমলাপুর থেকে ফেরত আসা হয়নি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চলে গেছিলাম। সারাদিন অনেক ব্যস্ততার মধ্যেই কেটেছিল। রাতের বেলা বাসায় ফেরার পরে আরেকটি দুঃসংবাদ পেলাম। অফিসে কাজ নিয়ে বড় ধরনের একটি ঝামেলা হয়েছে। সেদিন আমি অফিসে উপস্থিত না থাকার কারণে সম্পূর্ণ জামেলাটি আমার উপরে পতিত হয়েছে। ঝামেলাটি এতই গভীর যে বর্তমানে সাসপেন্ড হয়ে বাসায় আছি। জানিনা অফিস থেকে কি সিদ্ধান্ত আসে।
আসলে প্রাইভেট চাকরির কোন গ্যারান্টি নেই। তারা ছোট একটি ঝামেলা কেও বিশাল বড় করে দেখার চেষ্টা করে। এ মাসে বাসা চেঞ্জ করার কথা ছিল। সব কিছু কেমন যেন উলটপালট হয়ে যাচ্ছে। এখন ধৈর্য ধরা ছাড়া আর সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমরা জানি সৃষ্টিকর্তা তার বান্দার জন্য যেটা ভালো সেটাই ফয়সালা করে থাকেন। সৃষ্টিকর্তা ঝামেলা দিয়ে আমাদেরকে পরীক্ষা করে থাকেন। আমাদের মন-মানসিকতা যাচাই করে থাকেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তা আমার ব্যাপারেও ভালো কিছুই ফায়সালা দিবেন।
আমাদের জীবনটা এমনই, চলতে চলতে হঠাৎ করে থেমে যায়। কিন্তু কখন গিয়ে থেমে যাবে সেটা কেউ জানে না। আমরা যতই প্লান প্রোগ্রাম করি না কেন, সৃষ্টিকর্তার রহমত ছাড়া কিছুই পূর্ণতা পাবে না। জ্ঞানী ব্যক্তিরা সবসময় বলে থাকে ব্যবসার মাধ্যমে জীবন পরিচালিত করতে। কারণ ব্যবসা বাণিজ্য হলো স্বাধীন। যেকোন ছোট ব্যবসা হলেও সেটার মধ্যে সৃষ্টিকর্তার শতভাগ রহমত থাকে। কারণ ওইটা হালাল থাকে। নিজের ব্যবসার মধ্যে নিজে শতভাগ হালাল থাকলে সৃষ্টিকর্তা খুশি হয়ে আমাদের রিজিক বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন। তাই চাকরি নয় ব্যবসার চিন্তা করুন।
যাই হোক বন্ধুরা আপনাদের সবার কাছে আমার দোয়ার দরখাস্ত রইল। সবাই আমার জন্য খাছ করে দোয়া করবেন। যেন সবকিছু সুন্দরভাবে ফায়সালা হয়। আমারও একটি বিজনেস দাঁড় করানোর ইচ্ছে আছে। তবে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। সে পর্যন্ত চাকরিটা করতে পারলে ভালো হবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
আপনার দুঃসংবাদটি শুনে আসলেই বেশ খারাপ লাগলো। দোয়া করি আপনার সাসপেন্ড উঠিয়ে আবারো যেন চাকরিতে বহাল রাখা হয়। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন আমরা যতই প্লান করি না কেন ভাগ্যে যা আছে তাই হবে। দোয়া রইলো আপনার জন্য।
জী আপু একটু খাস করে দোয়া করবেন। ধন্যবাদ।
বেশ মনটা খারাপ হলো ভাইয়া। আশা করি আপনার সমস্যা গুলো বেশ তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। তবে আপনাদের মত করে সরকারি চাকুরিতেও কিন্তু সেই সাসপেন্ডের ঘটনা আছে। আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় কে যে খাওয়া দাওয়া বানিয়েছে। তানা হলে তো আর চাকরির দরকার ছিল না।
পেট না থাকলে আর খাওয়া দাওয়া না করা লাগলে আর এত জামেলা পোহাতে হতো না। ধন্যবাদ।