ছোট ভাইকে এয়ারপোর্টে বিদায় দেওয়ার মুহূর্ত।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ছোট ভাইকে সৌদি আরব যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে বিদায় দেওয়ার মুহূর্তগুলো শেয়ার করবো।
আমরা চার ভাইয়ের মধ্যে আমার দুই ভাই সৌদি আরবে থাকে। আমার ছোট ভাই দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর প্রবাস জীবন অতিবাহিত করে কয়েক মাস আগে ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল। সে গত বছরের ২৭শে অক্টোবর রওয়ানা দিয়ে ২৮শে অক্টোবর বাংলাদেশ এসে পৌঁছেছিল। আমাদের অনেক ফ্যামিলি মেম্বার তাকে রিসিভ করার জন্য এয়ারপোর্টে গিয়েছিলাম।
হাঁসি কান্না আর আনন্দের মাধ্যমে দেখতে দেখতে আড়াই মাস অতিক্রম হয়ে গেল। এরমধ্যে আমার ছোট ভাই বিয়েও করে ফেলেছে। বিয়ে-শাদী করে নতুন বউ নিয়ে অনেক আত্মীয়-স্বজনের বাসায় বেড়িয়েছে। দেখতে দেখতে চোখের পলকে আবার যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। গত ১৬ তারিখ বোধবার রাত দুইটার সময় তার ফ্লাইট ছিল।
আমার অফিসে কাজ থাকার কারণে আমার বাড়িতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আমি তাকে ফোন করে কয়েকদিন আগেই যাওয়ার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেছিলাম। সেও মোটামুটি বুধবারের আগেই সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। বুধবার বিকেল বেলা আত্মীয়-স্বজন ফ্যামিলির সবাই থেকে বিদায় নিয়ে বিকেল পাঁচটার সময় ট্রেনের ঢাকা এসেছিল।
আমি অফিস থেকে ছুটি নিয়ে তাদের আগেই এয়ারপোর্টে গিয়ে পৌঁছে গেছিলাম। সে আসতে আসতে রাট নয়টা বেজে গেছিল। আমরা সাড়ে নয়টার দিকে অন্যান্য সমস্ত কাজ শেষ করে এয়ারপোর্ট এর ভিতর প্রবেশ করলাম। একটি সিএনজি নিয়ে সোজা এয়ারপোর্টের দুইতলায় চলে গেলাম। সেখানে স্কিনের মধ্যে কখন কোন ফ্লাইট এয়ারপোর্ট ছেড়ে যাবে, কোথায় তার গন্তব্য সবকিছু স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল।
আমার ভাইয়ের ফ্লাইট নাম্বার ছিল Saudi Arabian Airlines SV 805. আমরা স্কিনের মধ্যে দেখতে পাচ্ছিলাম যেটি ১.৪৫ মিনিটে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যাবে। সেখান থেকে আবার সকাল এগারোটার সময় SV 1865 নাম্বার ফ্লাইটে নাজরান প্রদেশ যাবে।
আমার ছোট ভাই কে এয়ারপোর্টে বিদায় দেওয়ার জন্য আমার এক মামাতো ভাই ও এক খালতো ভাই এসেছিল। সাড়ে দশটার দিকে আমরা ছোট তাকে বিদায় জানালাম। যে মুহূর্তটা ছিল খুবই হৃদয়বিদায়ক। যদি সৃষ্টিকর্তা হায়াত রাখে তাহলে হয়তো দুইচার বছর পরে আবার দেখা হবে। আর যদি হায়াত শেষ হয়ে যাই হয়তো কারো সাথে আর দেখা হবে না। এয়ারপোর্টের দুই তলার প্রত্যেকটা মানুষের অবস্থা এমনই ছিল। বাবা মা তার ছেলেকে বিদায় দিতে এসেছে, ভাই বোন তার ভাইকে বিদায় দিতে এসেছে। ছেলে মেয়ে তার বাবাকে বিদায় দিতে এসেছে, স্ত্রী তার স্বামীকে বিদায় দিতে এসেছে।প্রকৃতির এক আজব খেলা।
বাহির থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত দেখা যায় আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত আপনজনদের দিকে তাকিয়ে থাকি। ধীরে ধীরে আপনজন যখন দৃষ্টির অগোছরে চলে যায় তখন আমরা ধীরে ধীরে দুই তলা থেকে নেমে আসি। নিচে নেমে হালকা নাস্তা করে আমার দুই কাজিনকে বিদায় দিলাম। তারা উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে যাবে। আর আমি ট্রেনে চড়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ১৬-০১-২০২৫ |
সময় | রাত- ১১.০০ |
লোকেশন | হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [12/30/2024 3:52 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
বাড়ির পরিবার পরিজনের বিদেশে থাকলে এই মুহূর্তটা সবার ক্ষেত্রেই আসে। আসলে বিদেশ থেকে তো চাইলেই বেশি আসা যায় না তাই তবে আপনার ভাই অনেকদিন ছিল এবং বিয়েও করেছেন। নতুন বিয়ের পর স্ত্রীকে দেশের রেখে বিদেশে চলে যাওয়া বিষয়টা খুবই হৃদয়বিদারক। তবুও প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গায় নিজের মতো করে ভালো থাকুন। আপনার ভাইয়ের স্ত্রীও আশা করি মন খারাপ নিয়েও ভালো থাকার চেষ্টা করবেন।