বায়ূ দূষণ রোধ করুন ।। ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য।।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি কিছুটা অসুস্থ, ঠান্ডা লাগছে। যেহেতু আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে তাই এখন হালকা পাতলা অসুস্থ হওয়া স্বাভাবিক মনে হয়। তারপরও আপনাদের কাছে সুস্থতার জন্য দোয়ার আবেদন করলাম। আর সবার সুস্থতা, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। চলুন আজকে বায়ু দূষণ নিয়ে আলোচনা করি।
আজকে মনে অনেক দুঃখ কষ্ট নিয়ে পোষ্টটি লিখতেছি। আমার অফিস থেকে বাসায় যেতে পনের মিনিট সময় লাগে। আমি প্রতিদিন চার বার অফিসে আসা যাওয়া করি। সব সময় হেটে আসা যাওয়া করি। কারন সারাদিন অফিসে বসে বসে কাজ করতে হয়। তাই একটু হাটাহাটি না করলে খুব তারাতারি অসুস্থ হয়ে যাবো। তাই ইচ্ছা করেই হেটে হেটে বাসায় যায়। কিন্তুু রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়ার সময় ধুলা বালির কারনে এত বিরুক্ত লাগে যা ভাষা বলে প্রকাশ করা যাবে না। আর যেসব বড় লোকেরা গাড়িতে আসা যাওয়া করে তারা এমন ভাবে গাড়ি চালায় ধুলা বালি উড়িয়ে অন্ধকার করে ফেলে। বিশেষ করে সিএনজি গুলো বেশি সমস্যা করে। তাদের শরীরে ধৈর্য শক্তি একেবারে নাই। তাদের ভাব দেখলে মনে হয় তারা পৃথিবীর সব থেকে বিজি মানুষ।
বৃষ্টি আসলে আমাদের দেশের রাস্তার কি অবস্থা হয় সেটা তো কম বেশি সবাই জানেন। বৃষ্টি আসলে রাস্তায় কাদা পানি থাকার কারনে ফুটফাত দিয়ে হাটার চেষ্টা করি। কিন্তুু কিছু কিছু চায়ের দোকানদার ফুটপাতের মধ্যে তাদের চেয়ার টেবিল রেখে দেয়,সে চেয়ার টেবিলে মানুষ বসে চা সিগারেট খায়। সাইট দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় বসে থাকা কারো শরীরে লাগলে শুরু হয়ে যায় জগড়া। ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করবে আবার পথচারীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। তাদের দোকানের যত ময়লা আবর্জনা আছে এগুলো আবার রাস্তায় ফেলে রাখবে। আর গাড়ি আসা যাওয়া করলে এসব ময়লা আবর্জনা বাতাসের সাথে মিশে মানুষের চোখে মুখে পড়ে।
শুধু যে গাড়ির ড্রাইভারদের দুষ আমি সেটা বলবো না। রাস্তার মধ্যে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখলে সে ক্ষেত্রে তাদের দুষ নাই। তবে বৃষ্টির পরে রাস্তায় কাদা থাকে সে গুলো লক্ষ রাখা উচিত। কারন রাস্তা দিয়ে স্টুডেন্ট সহ কত মানুষ আসা যাওয়া করে তাদের উপরে কাদা পরবে কিনা সেটা মাথায় রাখা উচিত। আর আমরাও কোন কিছু খেয়ে ময়লাটা রাস্তায় ফেলে দেয়। ডাস্টবিন নামক কোন শব্দ আছে সেটা আমরা ভুলেই গেছি। শুনেছি বাংলাদেশে নাকি ২০০২ সালে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।অথচ পলিথিন ছাড়া মানুষ শ্বাস নিতে পারে না,মানে পলিথিন ছাড়া মানুষ অচল। আর মানুষ পলিথিনের পরিবর্ততে কি ব্যাবহার করবে সেটা কেউ জানে না। আফ্রিকার কিছু ছোট ছোট গরীব দেশ আছে সেগুলোতে তারা পলিথিনে পরিবর্ত পচনশীল এক প্রকার ব্যাগ ব্যবহার করে। সে গুলো আমাদের দেশের মাথা মোটা লোকেরা দেখে না। সারাদিন কিভাবে টাকা বিদেশ পাচার করা যায় সেই চিন্তা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে।
তারপর আসি আমাদের নিজেদের বিষয়ে। আমরা যেন পৃথিবীকে ধংস করার প্রতিযোগিতায় নেমে পরেছি। জায়গায় বেজায়গায় কলকারখানা করে পরিবেশ দূষণ করেই চলছি। আবাসিক এলাকায় কলকারখানা করার অনুমোদন না দিলেও টাকা পয়সা ঘুষ দিয়ে অনুমোদন নিয়ে নিতেছে বা চুরি করে, ফাকি দিয়ে ,নেতার হাত ধরে পরিবেশ দূষণ করতেছে। বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির ডাইংয়ের দূষিত পানি বৃষ্টি আসলে রাস্তায় ছেড়ে দিতেছে। এগুলো দেখার মত কেউ নেই। আমাদের দেশের সিটি কর্পোরেশনের লোকের কথা আর কি বলবো তারা ছয় মাসে নয় মাসে একবার ড্রেন পরিষ্কার করে তাও আবার দিনের বেলায়। ময়লা নিয়ে যাওয়ার সময়,ময়লার জাগায় নিতে নিতে সব ময়লা রাস্তায় পড়ে যায়। তাতে আরো বেশি বায়ূ দূষণ হয়।
তারপর আসি গাছের বিষয়ে। গাছ আমাদের বন্ধু,গাছ আমাদের জীবন বাচায়। অথচ দিনে দিনে গাছ কেটেই যাচ্ছি কেটেই যাচ্ছি। কেউ গাছ লাগায় না। যেখানে জায়গা পায় সেখানেই বেল্ডিং করার চিন্তা করে। কোথাও গাছ লাগানোর চিন্তা করে না। অধিকহারে মানুষ বাড়ছে কিন্তুু সে হারে জায়গা বাড়ছে না। সবাই গাছ কাটছে,পরিবেশ নষ্ট করছে। নদীর পানিতে ময়লা ফেলে নদীর পানি দূষণ করছে। যে কোন একটা অন্যায় কাজ করতে গেলে আমার বিবেক বাধা দেয়। অথচ মানুষ প্রতিনিয়ত অন্যায় কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ কোন নিয়ম নীতি মানে না। যে যেভাবে ইচ্ছা সে ভাবেই চলছে। পরিবেশের দিকে কারো নজর নেই। বাংলাদেশের কোন সরকারই কোন সময় দেশের চিন্তা বা জনগনের চিন্তা করে নাই। সবাই নিজেদের স্বার্থের চিন্তা করে। বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশনের লোকেরা যদি ঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলেই অত্যন্ত কিছুটা দূষণ কমানো সম্ভব।
বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করতেছি। আগামীকাল আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই নিজেরা সচেতন হোন। নিজের চারপাশ নিজেই পরিষ্কার রাখুন। যে কোন ধরনের দূষণ রোধ করতে এগিয়ে আসুন। আল্লাহ হাফেজ।।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
যুগোপযোগী কথা।আসলে এসব কথা বলে নাই ,আমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করে যাচ্ছি ।পলিথিন মাটি দূষণের অন্যতম যা আমরা জনগণ আর সরকার বুজতেই চাই না ।ধন্যবাদ এত ভালো একটা টপিক নিয়ে পোস্ট এর জন্য।
ভালো বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন ভাই । আসলে যত দিন যাচ্ছে পরিবেশ দূষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। একটা সময় দেখা যাবে মানুষের নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়ে যাবে।
সিটি কর্পোরেশনের এগুলো লোক দেখানো ময়লা পরিষ্কারের কাজ। এভাবে কাজ করার অর্থ হলো ময়লা ড্রেনে আবার পরবে আর আবার তুলবে। এটা একধরনের মজার বিষয়।
গাছপালা আমরা শুধু মাত্র কাটতে জানি কিন্তু রোপন করতে আগ্রহ দেখাই না। সবার উচিত অন্তত কিছু গাছ রোপণ করা। এতে কিছু গাছের পরিমাণ অন্তত বাড়বে।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই আমরা সব সময় গাড়ির ড্রাইভারদেরকে বেশি দোষারোপ করি।আর আমরা সব সময় বাহিরে কোন কিছু খাবার খেলে সেই ময়লাটা রাস্তার উপরে ফেলে দেই। এই বিষয়টি নিয়ে কখনো আমরা চিন্তা করি না কারণ আমরা সবসময় অন্যের ভুলটা ধরতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।