গাছে উঠে আম পাড়ার অনুভূতি।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
এ বছর যখন প্রথম গাছে আম এসেছিল তখন তেমন একটা খেয়াল করা হয়নি। তবে যখন আমগুলো বড় হয়ে গিয়েছিল তখনই খেয়াল করেছিলাম আম গাছের দিকে। প্রথম দিকে তো ভেবেছিলাম খুব বেশি আম ধরে নিয়ে এবার। তবে আমগুলো পারতে গিয়ে বুঝতে পেরেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ এ বছর বেশ ভালই আম ধরেছিল আমাদের বাড়িতে থাকা গাছটিতে। আর এর কারণে আম পাড়ার উদ্দেশ্যে গাছে উঠতে হয়েছিল বেশ কয়েকবার। যদিও বা যেই কয়বার গাছে উঠেছি খুব বেশি সময় ধরে আম পাড়তে পারিনি। কিছুক্ষণ গাছে উঠে আম পাড়ার পর কেমন জানি হয়ে যায় আর ভালো লাগেনা। তাই কয়েকদিন পরপর একবার করে গাছে উঠতে হয়েছিল আমগুলো পাড়ার জন্য। যদিও বা সবশেষে ও দুই একটা আম গাছেই থেকে গিয়েছিল। আর শেষে উপায় না পেয়ে যে দুই একটা আম ছিল এগুলো পাখির জন্যই রেখে দিয়েছিলাম।
এখন আম পারতে গাছে উঠে কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই হাঁপিয়ে গেলেও ছোটবেলায় লাগতো না এই হাঁফ। তখন গাছে উঠলে আলাদা এক ভালোলাগা কাজ করতো। যেহেতু দিন দিন বড় হচ্ছি তাই এখন গাছে ওঠার অভ্যেস চলে যাচ্ছে তাই এমনটা হওয়া স্বাভাবিক।
যাইহোক কিছুদিন আগেই আম গাছে উঠেছিলাম আম পাড়ার জন্য। তাঁরও আগে যখন আম গাছে উঠেছিলাম তখন আম পাড়া শেষে দু-একটা আম ডাল সহ গাছে বেঁধেছিল। তো সেদিন গাছে উঠে প্রথমে সেই আমের কাছে গেলে দেখি সেই বেঁধে থাকা আমটি পেকে গিয়েছে। বিষয়টা বেশ মজার ছিল। যাই হোক সেই আমটি পাড়ার মাধ্যমেই শুরু করলাম একে একে সব আম পারা। ইচ্ছা ছিল সেদিন গাছে উঠে সমস্ত আম পেড়ে ফেলবো। তবে কিছুক্ষণ আম পারার পর কেমন জানি একটা হয়ে যায় আর ভালো লাগেনা। তাই সেদিন এক ব্যাগ আম পেরেই নেমে আসতে হয়েছিল। তবে কিছুদিন আগে একবার গাছে উঠে সমস্ত আম পেড়ে ফেলেছিলাম। তাই বলা চলে এখন গাছে আম শুন্য।
আর সেদিনের মাধ্যমেই শেষ করেছিলাম এবছর গাছের আমপাড়া। এই আম পারতে গিয়ে অনেক ঘটনায় ঘটেছিল। যেমন মাঝে মাঝে আপু ও আম্মু আম পাড়ার জন্য বেশি ফোর্স করতো যার কারণে মাঝে মাঝে একটু রাগ হতো। কারণ এমনিতেই সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয়। তবে আম গুলো নষ্ট হতে দেখলে আমারও খারাপ লাগতো। আবার প্রথম দিকে আপুর এবং দুলাভাইয়ের বানিয়ে দেওয়া আঁকশিটার অবস্থাও বেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তার জন্য একপর্যায়ে তো আম গুলোকে গাছ থেকে সরাসরি মাটিতে ফেলতে হয়েছিল। আর বিষয় শেষের দিকে লক্ষ্য করেছিলাম তুলনামূলকভাবে আমের সাইজ গুলোও বড় ছিল। তো সব মিলিয়ে আমপাড়ার অনুভূতিগুলো বেশ ভালো ছিল আবার একটু খাটুনির ব্যাপারও ছিলো। তবে ভালো লাগতো যখন গাছ থেকে নামার পর আম্মু আম গুলোকে সুন্দর মত কেটে সামনে দিতো। তবে শুধু গাছ থেকে নামার পরই না অন্য সময় যখন আমগুলো খেতাম তখনও বেশ ভালো লাগতো।
তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। এগুলাই ছিল মূলত আমার এ বছর গাছে উঠে আম পাড়ার কিছু অনুভূতি। তো আজকের মত এটুকুই।আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গাছে উঠে আম পড়েছেন এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো কিন্তু আম পাড়ার ক্ষেত্রে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ অনেক সময় দেখা যায় আমের কস মুখে পড়ে আবার অনেক সময় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আসলে এখন বিভিন্ন ফলের সময়ে আর তার মধ্যে আম অন্যতম। এদিকে গাছে ওঠার অনুভূতিটা কিন্তু বেশ দারুন। গাছে উঠতে আমিও খুব পছন্দ করি। আজকে আপনি গাছে উঠে আম পেড়ে খেয়েছেন সে অনুভূতিটা শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি আমাদের সঙ্গে পোস্ট করে আম পাড়ার অনুভূতি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার গাছের আম গুলো দেখছি বেশ বড় এবং ভিতরেটা একদম হলুদ কালারের মনে হয় ভীষণ মিষ্টি আম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর আম পারার অনুভূতি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনি নিজে গাছে উঠে আম পেড়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনার আমের কালারটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে এখন দিন দিন বড় হচ্ছি তাই আগের মত এখন আম গাছে চড়া হয় না। ছোটবেলা এমনিতেই আমরা ঠনঠন করে গাছে উঠতাম। কিন্তু এখন গাছে উঠতে গেলে অনেক কষ্ট করতে হয়।যাইহোক আপনার সুন্দর অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।