আজ - ১০ চৈত্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | বসন্তকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ দুপুর সবাইকে.....!!

ইলিশ মাছ আমরা অনেকেই অনেক রকম ভাবে খেতে পছন্দ করি। যদিও আমি শুধুমাত্র কয়েকটি প্রক্রিয়া বাদে আর অন্যান্য যতগুলো রান্নার প্রক্রিয়া আছে সেগুলো ভালোভাবে জানি না। তবে কমিউনিটিতে দেখেছি অনেকেই অনেক রকম ভাবে ইলিশ মাছ রান্না করে খেয়ে থাকে। তাদের মত এরকম ইলিশ মাছ রান্না করে খাওয়া কখনোই হয়ে ওঠেনি তবে চেষ্টা করব কোন একদিন ভিন্ন স্বাদের ভিন্ন রকম ভাবে ইলিশ মাছ রান্না করে খাওয়ার জন্য।
আজ আমি আপনাদের মাঝে ইলিশ মাছের ঝোল রান্নার রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি, ইলিশ মাছের ঝোল আমার কাছে মোটামুটি ভাবে ভালোই সুস্বাধু লাগে। এই ইলিশ মাছের ঝোল রেসিপি রান্না করার জন্য বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না অল্প সময়ে ভালো একটি রেসিপি তৈরি হয়ে যায়। ওই যে একটা কথা আছে না ..?? অল্প টাকায় মচমচে ভাজা। ইলিশ মাছের ঝোল রান্না করার ব্যাপারটা আসলে ঠিক তেমনি। অল্প সময়ে ভালো মানের একটি রেসিপি তৈরি করে খাওয়া যায়। অনেক কথাই তো বললাম এবার চলুন, রান্নার প্রক্রিয়া শুরু করে।

• পেঁয়াজ
• রসুন
• মরিচ
• হলুদের গুড়া
• তেল
• লবণ

প্রথমে ইলিশ মাছ গুলো খুবই চমৎকার ভাবে কেটে নিতে হবে এবং পরিষ্কার পানি দ্বারা দুই থেকে তিনবার ধুয়ে নিতে হবে। তারপর কিছুটা লবণ ছিটিয়ে মাছ রেখে দিতে হবে।

তারপরে পেঁয়াজ এবং মরিচ একত্রে যোগ করতে হবে। একত্রে যোগ করার পরে হলুদ এবং লবণ মিশিয়ে দিতে হবে, তবে লবণের পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে।

লবণ এবং হলুদ মেশানোর পরে পেঁয়াজ এবং মরিচ এর সাথে জিরা বাটা যোগ করে দিতে হবে।

এরপরে পরিমান মত তেল ঢেলে দিতে হবে। তবে তেলের পরিমাণ টা একটু বেশি রাখতে হবে, তেলের পরিমাণ বেশি রাখলে ইলিশ মাছের ঝোল খেতে বেশি সুস্বাদু লাগে।

তেল যোগ করার পরে এবার খুবই চমৎকার ভাবে উপকরণাদি মিশাতে হবে। মিশনের জন্য হাত দিয়ে চটকাতে হবে, এমন ভাবে চটকাতে হবে যেন প্রতিটি উপকরণাদি একে অপরের সাথে মিশে যায়।

উপকরণ গুলো চটকানোর পর্ব শেষ হয়ে গেলে এবার ইলিশ মাছ উপকরণগুলোর উপরে ছেড়ে দিতে হবে।

এরপরে আলতো ভাবে উপকরণগুলো সাথে ইলিশ মাছ এপিট ওপিট করে মিশিয়ে দিতে হবে।

এরপরে উপকরণ এবং মাছের মধ্যে পরিমাণমতো পানি ঢেলে দিতে হবে। এবং নিচ থেকে তাপ দিতে হবে।

এভাবে তাব দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান থাকলে বুদবুদ সৃষ্টি হবে। কিছুটা সময় তার দিলে পানি শুকিয়ে যাবে। তখন একটি চামচ দিয়ে এপিঠ ওপিঠ নাড়াচাড়া করতে হবে যেন মাছগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যায়। এরপরে স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। লবণ এবং ঝাল এর পরিমাণ ঠিক থাকলে কড়াই চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে।

মাঝে মাঝে এরকম ইলিশ মাছের ঝোল রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। তবে ইলিশ মাছের সাথে আলু এবং বেগুনের চচ্চড়ি রেসিপি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আমি ওই ধরনের চচ্চড়ি রেসিপি খেয়ে থাকি কিন্তু একটু ভিন্ন স্বাদ পাওয়ার জন্য এরকম করে রান্না করা হয়েছে। এরকম ইলিশ মাছের ঝোল তেমন একটা খারাপ লাগে না বেশ ভালই লাগে। সকলে মিলে আমরা খুবই চমৎকারভাবে রেসিপিটি উপভোগ করেছিলাম। চাইলে আপনারাও এরকম বাসায় ইলিশ মাছের ঝোল রেসিপি রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। খুবই ভালো লাগবে সেই সাথে অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয়। ধন্যবাদ সকল.....!!!

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন