পশু পাখির রেনডম ফটোগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার পশু পাখির রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন বন্ধুরা আর দেরি না করে এখনই সুন্দর সুন্দর এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং তার সৌন্দর্য উপভোগ করি।
পশু পাখির রেনডম ফটোগ্রাফি
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি বক পাখি। প্রায় আমাদের পুকুরের সুতাতে বক পাখি আটকে যায়। আর সেই পাখিগুলো প্রায় সংরক্ষণ হয় আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। যাই হোক তার মধ্য থেকে এই পাখিটা ফটো ধারণ করার সুযোগ হয়েছিল। রাজের আব্বু পাখিটাকে বাড়িতে এনেছিলেন।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন আমাদের নারিকেল গাছের পাতার উপর দুইটা শালিক পাখি বসে রয়েছে। পাখি দুটো পাশাপাশি অবস্থান করছে। দেখে মনে হচ্ছে যেন তারা এক জোড়া অথবা ফ্রেন্ড। আমরা যদি পাখি হতে পারতাম তাহলে কতই না সুন্দরভাবে গাছের ডালে এভাবে বসে হাওয়া খেতে পারতাম। মাঝে মাঝে পাখি দেখলে এবং তাদেরকে নিয়ে ভাবলে যেন উড়ে যেতে মন চায়।
এ মুহূর্তে দেখতে পাচ্ছেন অনেক সুন্দর ভাবে স্টাইল দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি বিড়াল। আমি যখন বিড়ালটার ফটো ধারণ করার চেষ্টা করছিলাম আমার রান্না ঘরের পাশ থেকে, তখন বিড়ালটা আমাকে দেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং পাশের টপকিয়ে চলে যাবে এমন স্টাইল করেছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে এই ফটোটা ধারণ করেছিলাম।
এবার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি কবুতার। আমরা সবাই জানি কবুতর শান্তি প্রিয় পাখি। তবে এই শান্তিপ্রিয় পাখি তার বাসায় আরো শান্তি স্থাপন করার জন্য গাছের ডাল থেকে ডাল ভেঙে নিয়ে মুখে করে ঘরের দিকে ঢুকছে। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই তার ফটো ধারণ করার চেষ্টা করেছিলাম।
এবার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি কূল-ঝুটি পাখি। এ পাখির কাজ যে কোন ফল পাকা খেয়ে বেড়ানো। আমার ঘরে বেশ কিছু পাকা কলা ইঁদুরে খেয়ে গেছে। তাই ছাগল ঘরের পাশে আম গাছের গোড়ায় কিছু কলা ফেলে রাখা হয়েছে। ছাগল বাড়িতে আসলে যেন কলা গুলো খেতে পারে। কিন্তু খেয়াল করে দেখলাম না ফুলঝুটি পাখি দেখে ফেলেছে। আর সেই নষ্ট পাকা কলা পাখিটাতে ঠুকিয়ে ঠুকিয়ে খাচ্ছে। সে মুহূর্তে আমিও ফটো ধারণ করে ফেলেছি।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ফিঙ্গি রাজা পাখি। ফিঙ্গি রাজা পাখি টা আমাদের নেট জলের খুঁটির সাথে খুব সুন্দর ভাবে বসে রয়েছে। আমিও সুযোগ বুঝে একটু জুম করে ফটো ধারণ করে ফেলেছিলাম।
এখন আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন বেশ সুন্দর একটি মাছরাঙ্গা পাখি। এটা কারেন্টের তারের উপর বসে রয়েছে। সম্ভবত মাছের দিকে টার্গেট করে বসে ছিল। কারণ ওই মুহূর্তে বাড়িওয়ালারা মাছের খাবার দিচ্ছিলেন পুকুরে। আমিও গাছের আড়াল থেকে তার ফটো ধারণ করে ফেলেছিলাম।
একটি দোয়েল পাখি খুব সুন্দর ভাবে একটি ডুমুর গাছের ডালে বসে রয়েছে। দোয়েল পাখি আমাদের জাতীয় পাখি। আমাদের দেশে বিভিন্ন রকমের পাখি দেখতে পাওয়া। আমাদের দেশে জাতীয় পাখি রাখা হয়েছে। এসে অনেক সুন্দর সুন্দর পাখি রয়েছে। তবে এ পাখির সৌন্দর্য যে কম তা কিন্তু নয়। যাহোক ছোট্ট এই পাখিটা বাড়িতে পথে-ঘাটে বিভিন্ন স্থানে লক্ষ্য করা যায়। আমিও সুযোগ বুঝে ফটো ধারণ করে বসেছি পুকুরপাড় থেকে।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | পশু পাখির ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আজকের কাজ সম্পন্ন
🙃
প্রথম ফটোগ্রাফি টা বেশ চমৎকার লাগছে কিন্তু আপু। সত্যি আপনার প্রশংসা করতেই হয়। অন্য প্রাণীগুলোর ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার করেছেন। বেশ ভালো চেষ্টা ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
পশুপাখির ছবিগুলো দেখে মন ভালো হয়ে গেল একদম।আসলে ইট পাথরের এই শহরে এসব পাখি দেখা যায়না।
আমি গ্রামে বাস করি আপু। তাই এগুলো সব সময় দেখার সুযোগ মেলে।
আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে বেশ কয়েকটি পশু এবং পাখির ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে আমি বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় পাখির ফটোগ্রাফী দেখতে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা শালিক পাখির ফটোগ্রাফী টি একটু বেশি ভালো লেগেছে।
আপু আপনি অনেক সুন্দর করে পাখি ছবি গুলো তুলেছেন। পাখির ছবি তুলা একটু কষ্ট কারণ তারা খুব চঞ্চল হয়। আমার সব গুলো ছবিই অনেক সুন্দর লাগলো।ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
পশু পাখির ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করা খানিকটা কষ্টকর ব্যাপার। আপনি খুব সুন্দর করে অনেকগুলো পশু পাখির ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে বিড়ালের ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগেছে। বিড়াল আমি খুব একটা পছন্দ করি না তবে দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। বাকি সবগুলো ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে আপু। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
💯
চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু প্রতিটা ফটোগ্রাফি দারুণ লেগেছে বিশেষ করে পাখিগুলোর ফটোগ্রাফি বেশি সুন্দর লেগেছে। স্বচ্ছ সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এক সাথে অনেক গুলো পাখির ফটোগ্রাফি দেখলাম। বিদ্যুৎতের তারের মধ্যে বসে থাকা ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। বক তো এখন দেখাই যায় না। যায়হোক দারুন ফটোগ্রাফি হয়েছে। ধন্যবাদ।
বাহ্ আজকে দেখছি আপনি আমাদের মাঝে পশু পাখির রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্ৰাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে জাতীয় পাখি দোয়েল পাখির ফটোগ্ৰাফিটি। সর্বোপরি ধন্যবাদ আপনাকে।