কাঁঠালের রেনডম ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকের এই পোস্টে শেয়ার করব বিভিন্ন সময়ে নিজের বাড়ি থেকে আত্মীয় বাড়ি থেকে অথবা রাস্তা থেকে মোবাইলে ধারণ করা কাঁঠালের ফটোগ্রাফি। আশা করব, ফলের সৌন্দর্যে ভরে উঠবে আজকের ব্লগ।
রেনডম ফটোগ্রাফি
প্রথমে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, আত্মীয়র বাসাতে উপস্থিত হয়ে ফলের ফটো ধারণ করেছি। আমাদের নানী শাশুড়ির বাসা। তারা অনেক আগেই মারা গেছেন। এখনো তাদের ভিটেমাটির সেই কাঁঠাল গাছ গুলো রয়ে গেছে। একদিন তাদের বাসায় উপস্থিত হয়েছিলাম আমরা। ঘরের সামনে একটি গাছে অনেক বেশি কাঁঠাল দেখে ফটোগ্রাফি করেছিলাম। শুনেছি এই গাছটাকে প্রচুর পরিমাণ কাঁঠাল ধরে। তবে এবার আমরা উপস্থিত হয়ে, সেই গুণক গান করা কাঁঠাল গাছটা দেখতে পারলাম। কাঁঠাল গাছটা দেখতে অনেক মোটা। গাছের কাঁঠালগুলো অনেক বড় বড় হয়ে থাকে। যখন উপস্থিত হয়েছিলাম আমরা সেই সময় সবে মাত্র বড় হয়ে উঠছে কাঁঠালগুলো। এছাড়াও তিন নম্বরে রয়েছে আমাদের বাড়ির কাঁঠাল গাছটা। আমাদের একমাত্র কাঁঠাল গাছের অনেকগুলো কাঁঠাল ছিল।
এখন আপনারা যে দুইটা কাছে কাঁঠাল দেখতে পাচ্ছেন এই দুইটা গাছ আমাদের গ্রামের শেষ অংশের। একদিন আমরা গাংনী বাজারে যেতে এই কাঁঠাল গাছের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বাবুর আব্বা মোটরসাইকেলের তেল ভরছিল। আর সে সময় গাড়ি থেকে নামতে হয়। বাড়ি থেকে নেমে দেখেছিলাম এত সুন্দর সুন্দর কাঁঠাল গুলো। সেই সুযোগে আমিও কাঁঠাল গাছ থেকে ফটো ধারণ করে নিয়েছিলাম। গাছে এমন কাঁঠাল দেখতে পারলে খুবই ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে আমার। দেখছেন গাছে গাছে অসংখ্য কাঁঠাল ঝুলছে। আমার কাছে মনে হয় যেন অন্যান্য ফলের তুলনায় এই ফলের সৌন্দর্য টা একটু বেশি হয়ে থাকে।
একদিন খালাম্মার বাসাতে যাওয়ার মুহূর্তে রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য কাঁঠাল গাছে কাঁঠাল ধরতে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। পরের দিন সকালে বাড়িতে ফিরতেই বাবুর আব্বাকে থামতে বলেছিলাম। এরপর সেখান থেকে এই কাঁঠাল গাছের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করলাম। রাস্তার পাশের কাঠাল গাছগুলো কাঁঠালে কাঁঠালের পরিপূর্ণ ছিল। মনে হচ্ছে এই তো সেদিন এই সমস্ত ফটোগ্রাফি করেছি। প্রথম যখন ব্লগ শুরু করেছি তখন খুবই উৎসাহ ছিল মনে। সেই টানে টানে ব্যাপক পরিমাণ ফটোগ্রাফি করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এভাবেই ফুল ফল পশু পাখির ফটোগ্রাফি দিনের পর দিন করতে পেরেছি। তবে আমার মনে হয় ফলের ফটোগ্রাফিটা আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে। খুব সহজে ফলের ফটোগ্রাফি করতে পেরেছি এভাবে।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | কাঁঠাল ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
X--promotion
আজকের কাজ সম্পন্ন
আপু কাঁঠাল যদিও আমি খাই না আর গন্ধ ও সহ্য করতে পারি না। কিন্তু সুন্দর কোন কিছু দেখে উপভোগ করবো না তা তো হয় না। কাঁঠালের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দারুন করেছেন। এত এত কাঁঠাল গাছ দেখে বুঝা যাচ্ছে আপনাদের গ্রামে অনেক কাঁঠাল গাছ আছে। আপনার মত এত সুন্দর পরিবেশে গাছে এত সুন্দর কাঁঠাল ধরা দেখলে আমিও ফটোগ্রাফি করে নিতাম।
আমাদের এলাকার এরিয়াতে অনেক কাঁঠাল গাছ আছে
যখন গাছের মধ্যে কাঁঠাল গুলো ঝুলিয়ে থাকে, তখন দেখতে বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে। আসলে কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল হলেও আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগে না। আপনার শেয়ার করা কাঁঠালের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
অনেকের ভালো লাগে অনেকের ভালো লাগেনা। তবে মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি আমার কাছে ভালো লাগে সবসময়।
আপনি আজকে কাঁঠালের রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপু। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দেখে অনেকক্ষণ তাকিয়েই ছিলাম চোখ সরাতে পারছিলাম না। আপনি আপনার খালামনির বাসায় যাওয়ার সময় কাঁঠাল দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। এবং ফটোগ্ৰাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
তোমার তোলা কাঁঠালের অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অত্যন্ত চমৎকার বর্ণনার মাধ্যমে সুন্দর একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটা তো দেখছি কাঠালের বাগান। প্রত্যেকটা গাছেই অনেক কাঁঠাল রয়েছে দেখছি। এরকম দৃশ্য সামনাসামনি তেমন একটা দেখা হয়নি। ভালো লাগলো আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। মনমুগ্ধকর ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।