মোবাইলের ক্যামেরা জুম করে ঘুঘু পাখির ফটো ধারণ
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি। তবে আজকে ঘুঘু পাখির ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আজকে ঘুঘু পাখির অনেকগুলো ফটোগ্রাফি ধারণ করেছিলাম জুম করে। আশা করব আমার এই পাখির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগবে।
ঘুঘু পাখির ফটোগ্রাফি
আজকে আমাদের মাঠের পুকুরে জেলেরা মাছ ধরতে এসেছিল। ভেবেছিলাম মাছ ধরা দেখতে চলে যাব পুকুরে কিন্তু সেই মুহূর্তে প্রচন্ড বৃষ্টি হল। আজকে দুপুর বেলায় যেমন বৃষ্টিটা হল মনে হয় না এক মাসের মধ্যে তেমন বৃষ্টি হয়েছে আমাদের এখানে। তাই আর সুযোগ মিললো না পুকুরে যাওয়ার। ইচ্ছে ছিল মাছ ধরা দেখব ফটো ভিডিও ধারণ করব। এদিকে অলরেডি প্রায় ১০০ ভিডিও ধারণ করা হয়ে গেছে। এগুলো যে কবে কখন শেয়ার করবো নিজেই বুঝিনা। তবে যাই হোক ভিডিও ধারণ করে রাখতে পারলে ভালো। সব সময় তো আর মাছ বিক্রয় হয় না। সব পুকুরে মাছ বিক্রয় শেষ হয়ে গেছে। একবারের শীতের আগে অথবা পরে আবার মাছ বিক্রয় হবে। তাই খুব আফসোস লাগলো বৃষ্টির কারণে। আরো কয়েকটা যদি ভিডিও ধারণ করতে পারতাম। কিন্তু বৃষ্টির জন্য মাঠে যেতে পারলাম না। তাই ভাবলাম পুকুরপাড় থেকে কিছু মরিচ উঠাতে হবে। এইজন্য বিকেলে পুকুরপাড়ে উপস্থিত হব। যেমন চিন্তা তেমনি কাজ।
পরিবারের সদস্যদের আগে আগেই পুকুরে উপস্থিত হয়ে গেলাম। তবে চলতি পথে বেশ পানি পিছলা,তেমন একটা কাদা নেই। যাই হোক পুকুরে উপস্থিত হয়ে তিন পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কারেন্টের তার। সেদিকে চোখ রাখতেই দেখলাম অনেক ঘুঘু পাখি কারেন্টের তারে বসে রয়েছে। এত ঘুঘু পাখি দেখে আমি তো অবাক। বৃষ্টির পরে কারেন্টের তারে এত পাখি এসে বসে থাকবে ভাবায় যায় না। তবে এটা সত্য আমাদের গ্রামে প্রচুর গাছ। বাগান রয়েছে অনেক জায়গায়। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সারা মাঠ ব্যাপী শুধু পুকুর আর পুকুর। আর সে পুকুর পাড়ে রয়েছে অনেক গাছ। তাই এলাকার অন্যান্য মাঠগুলোর চেয়ে আমাদের এ মাঠে বেশি পাখির আগমন ঘটে। কারণ গাছে গাছে পাখি বসে থাকতে পারে, পুকুরপাড় থেকে বন জঙ্গলে পোকামাকড় শিকার করতে পারে। তবে অন্যান্য পাখিরে তুলনায় শালিক পাখি আর ঘুঘু পাখি একটু বেশি দেখা যায়। তবে আজকে ঘুঘু পাখিটা বেশি ছিল। আমি দুই পুকুরের এপার থেকে সোজা মোবাইলে জুম করা শুরু করলাম। জুম করে ফটো ধারণ করলাম পাখিগুলোর। হয়তো ফ্রেশ ভাবে পাখিগুলো বুঝা না গেলেও আশ্চর্য বিষয় ছিল এটা এত দূর থেকে জুম করে ফটোগুলো ধারণ করছি ফটোগুলো দেখতেও যেন একটু অন্যরকম ভালোলাগার মনে হচ্ছে।
আমার কেন জানি একটু বেশি ভালো লাগছিল পাখিগুলো দেখে। তারা কত সুন্দর মিল হয়ে সারিবদ্ধ ভাবে একের পর এক বসে। পাখিদের মধ্যে কোন মারামারি দেখলাম না। মাঝে মাঝে একের পর এক আসছে এবং তারের উপর বসতে পাশাপাশি। তবে মনের ভেতর একটাই প্রশ্ন কে কোন পরিবারের এরা চেনে কি করে? সবাই তো দেখতে একই রকমের। আর এতগুলো পাখি থাকে কোথায়। আমাদের আম গাছে অবশ্য একটা ঘুঘু পাখির বাসা রয়েছে। প্রায় খেয়াল করে থাকি। তবে তারা বাসা ছেড়ে এভাবেই কেন কারেন্টের তারে। তবে দাদা দাদির মুখে একটা কথা শুনতাম। যখন তারা ডিম পাড়ে বাচ্চা ফোটায় তখন তারা বাসা বাঁধে। এছাড়া এদের কোন বাসা থাকে না। একসাথে একত্রে এতগুলো পাখি লম্বা লম্বা লাইন দিয়ে বসে রয়েছে দেখে মন প্রাণ জুড়িয়ে গেল। তবে আকাশের মেঘের অবস্থা তেমন একটা ভালো ছিল না। এজন্য বেশিটা সময় পুকুরপাড়ে থাকতে পারি নাই। সারাদিনের ব্যস্ততার শেষে যখন একটু পুকুর পাড়ে উপস্থিত হই আর এভাবে পাখ পাখালির ডাক ও উপস্থিতি দেখে মন ভরে যায়। তবে একটা বিষয়, যেখানে মানুষের পোস্টে ফটোই দিতে চায় না সেখানে আমি অনেকগুলো ফটো দেয়ার চেষ্টা করলাম। একটিমাত্র কারণ, তা হচ্ছে আমার এই ভালোলাগার মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে ভাগাভাগি করে দেওয়ার জন্য। যেন কিছুটা হলেও এ পোষ্টের মধ্য থেকে আনন্দ পেতে পারেন। পরবর্তীতে আবারো সুযোগ বুঝে বিভিন্ন পাখির ফটো নিয়ে উপস্থিত হব। ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | পুকুর থেকে পাখির ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
মোবাইলের ক্যামেরা জুম করে ঘুঘু পাখির ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। পাখি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
বর্তমান সময়ে আমাদের পরিবেশে প্রচুর পরিমাণে ঘুঘু পাখি দেখতে পাওয়া যায় এটা আমাদের পরিবেশের জন্য অনেক ভালো বিষয়। পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য এই পাখি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি জুম করে পাখির ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো।
হ্যাঁ এই সমস্ত পাখিগুলো বেশ অনেক দেখা যায় আমাদের এখানে।
বাহ খুব সুন্দর করে সারি বেঁধে আছে ঘুঘু পাখিরা।আপনি জুম করে বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।ভালো লাগলো পোস্টটি,ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু অনেক ফটো ধারণ করেছি
এর আগেও আপনার একটি পোষ্ট পড়েছিলাম, যেখানে আপনি বাঁশঝাড় থেকে ঘুঘু পাখির ফটোগ্রাফি করেছিলেন। আজকেও দেখলাম। আপনাদের দিকে মনে হয় প্রচুর ঘুঘু পাখি দেখা যায়। তবে আমাদের দিকে এত পাখি দেখি না। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া আমাদের এখানে অনেক আছে এই পাখি।
এর আগেও আপনার একটা পোস্টে দেখেছিলাম অনেক ঘুঘু পাখির ফটোগ্রাফি। আপনি মোবাইলের ক্যামেরা জুম করে অনেক ঘুঘু পাখির ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। ঘুঘু পাখি গুলো দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমি এই ফটোগুলো ধারণ করি
আপু আপনার পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাছাড়া আপনি দেখছি অনেক দূর থেকেই এই ঘুঘু পাখিগুলো ক্যামেরায় বন্দি করেছেন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে অনেক দূরে বিদ্যুৎ লাইনের উপরে অনেকগুলো ঘুঘু পাখি বসে আছে। দেখে তো খুবই ভালো লাগছে। আর এগুলো জুম করে খুবই সুন্দর করে কাছে নিয়ে এসেছেন। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এখানে আজও বসে থাকে
ঘুঘু দেখতে খুব সুন্দর পাখি।আপনাদের এলাকায় দেখছি ঘুঘুর স্বর্গরাজ্য। এতো ঘুঘু এক সাথে দেখে তো অনেক ভালো লাগছে এবং অবাক হলাম কিছু টা।অনেক সুন্দর লাগছে এতো এতো ঘুঘু এক সাথে দেখে।আমাদের এলাকায় দুটার বেশি ঘুঘু দেখা যায় না।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ এই পাখি খুব সুন্দর
ঘুঘু পাখি আমাদের এদিকেও দেখা যায় কারেন্টের তারের উপর বসে থাকে। আপনি দেখতেছি দূর থেকে ঘুঘু পাখির চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে সুন্দর কিছু দেখলে ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে বেশ ভালই লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ঘুঘু পাখির চমৎকার ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ডিভাইস আরো ভালো হলে সুন্দর হতো ভিডিও ও ছবি