আমার বাংলা ব্লগে সকলকে স্বাগতম

Photography device: Huawei P30 Pro-40mp
আম কোড়ানোর অভিজ্ঞতা নেই এমন মানুষ খুব কম রয়েছে। আমিও ছোটবেলায় অনেক আম কুড়িয়েছি। আমাদের আম গাছ থেকে শুরু করে আমাদের আশেপাশের বিভিন্ন জনের আম গাছের গোড়ায়। তবে আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ঝড়ের দিনে আম কোড়ানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে। তখন আমি কোন ক্লাসে পড়ি সেটা মনে নেই। তবে এটা মনে রয়েছে, প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পর পাড়ার বেশ কয়েকজন মিলে আম কুড়ানোর উদ্দেশ্যে বের হয়েছি আমাদের আম বাগানের দিকে। আর সে আম আমাদের নিজেদের গাছের। যেখানে ঝড় হলে পাড়ার অন্যান্য মানুষেরাও আম কোড়ানোর উদ্দেশ্যে এসে উপস্থিত হয়।
কিছুদিন আগে আমাদের এখানে যেমন ঘূর্ণিঝড় রেমাল হয়ে গেল ঠিক তেমনি দীর্ঘক্ষণ ঝড়ো হওয়া বয়েছিল হালকা বৃষ্টি সাথে সাথে। আর এভাবে ঝড় বৃষ্টি হতে হতে সন্ধ্যা লেগে এসেছে। আমরা জানি সন্ধ্যার সময় বৃষ্টি ঝরে আসে অথবা একটু থেমে যায়। ঠিক তেমনি ঝড়ো হাওয়া আর বৃষ্টি কিছুটা থেমে গেছিল। এই মুহূর্তে অনেকে আম কুড়ানোর উদ্দেশ্যে আমাদের আমগাছের এদিকে আসছিল। আমিও আমার ভাই আর বোনদের সাথে আম কুড়ানোর জন্য আমাদের সে বাগানের দিকে উপস্থিত হলাম। পথে যেতে দেখলাম জায়গায় জায়গায় অনেক আম ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। যে যার ইচ্ছামত কোড়াতে পারে।
এদিকে আম কুড়ানোর জন্য আমরা হাতে নিয়ে এসেছিলাম হাট করা ব্যাগ। কারণ হাট বাজার করা ব্যাগ ছাড়া তো বেশি আমরা আম কুড়াতে পারবো না, টেনে নিয়ে যেতে পারবো না। গাছের চারিপাশে লক্ষ্য করলাম এত বেশি আম পড়েছে কয়েক বস্তা হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের পরিবারের মানুষ এত আম কে কুড়াবে। শুধু আমরাই আম কোড়ানোর জন্য ছোটরা উপস্থিত হয়েছিলাম। কিন্তু ওই মুহূর্তটা ছিল আমাদের জন্য বেশ কঠিন। হঠাৎ প্রচন্ড বেগে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। তখন আমরা আম গাছের নিচে অবস্থান করলাম। এরপর ঝড় বৃষ্টির কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলো। আমরা আবার আম কোড়ানো শুরু করব। কিন্তু এই মুহূর্তে এমন ভাবে বিদ্যুৎ চমকালো যেন কেউ চোখে ভালো দেখতে পারলাম না।
আর তারপর পরেই বিকট শব্দ হয়ে বাজ পড়লো। আমরা ভয়ে তো সেই নাজেহাল অবস্থা। আমার সাথে থাকা ছোট ছোট ভাই বোনরা যেন কান্না শুরু করে দিল। এদিকে আমাদের বড় ভাই পাশে থাকায় তার সাহসের সাহসী আমরা আমাদের কোড়ানো আম ফেলে দিয়ে বাড়ির দিকে দৌড়ে চলে গেলাম। অর্থাৎ আমরা বৃষ্টির পর বৃথা আম কুড়িয়ে ছিলাম, আর বাজ পড়ার ভয়ে সেই মুহূর্তে আমগুলো ফেলে রেখে বাড়িতে চলে গেছি। এরপর বাসায় আমাদের সবাইকে কি বকা। সবাই বলতে থাকলো নিজেদের আম গাছে কি আম ফুরিয়ে যাচ্ছে। যদি বিপদ হত। কারণ আম বাগার আমাদের গাছে পচুর আম ছিল তখন। আর তারপর থেকে আর কোনদিন এভাবে আম কুড়াতে বের হয়নি আমরা।


গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ

বিষয় | অতীত গল্প |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।


এমন স্মৃতি আমার জীবনের সঙ্গে অনেক জড়িয়ে রয়েছে ছোটবেলায় আমিও এমন কত আম কুড়াতাম আপনার গল্পটা শুনে সেই ছোটবেলার কিছু স্মৃতি মনের ভিতরে দোল দিয়ে উঠলো। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আশা করি পোস্ট করে দিবে।
আপু আপনার ছেলে বেলার আম কুড়ানোর গল্পটি পড়ে ভালই লেগেছে। আমিও আম কুড়াতে যেতাম ছোট বেলায় এমন অনেক মধুর স্মৃতি রয়েছে। কিন্তু আপনাদের মত নিজের আম বাগান ছিল না। শহরের আমাদের বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে কয়টা আম গাছ ছিল। সেখানে যেতাম আর মাঝে মাঝে ধরা খেলে দৌড়ে আসার সময় পড়ে অনেক ব্যথাও পেয়েছি।আজ আবারও আপনার এই পোস্টটি পড়ে সেই স্মৃতি যেন হৃদয় আবার জেগে উঠলো।ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু এমন ঘটনা কমবেশি সবার রয়েছে
আপু এরকম আম কুড়ানোর স্মৃতি সবার জীবনেই কম বেশি আছে মনে হয় ।তবে আপনার স্মৃতি পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো ।ভাগ্য ভাল আপনাদের সেদিন কোন বিপদ হয়নি ।কারণ এরকম ঝড়-বৃষ্টিতে বাইরে যাওয়া সত্যি বিপদজনক ।ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু আমরা বুঝতে না পেরে চলে গিয়েছিলাম আনন্দে।
ঝড় বৃষ্টিতে আমার কখনো বাইরে যাওয়া হয়নি।তবে ঝড়ের শেষে আম কুড়ানো দেখেছি আমার আত্মীয় স্বজনের।আপনি নিজেদের বাগান থেকে আম কুড়িয়েছেন ঝড়ে।বেশ ভালো লাগলো স্মৃতিমূলক গল্প। গ্রামে বাড়ি থাকলে এরকম স্মৃতি সবারই থাকে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
তাহলে তো আম কোড়ানোর মজায় বোঝেন না
আসলে ঝড় বৃষ্টিতে আম কুড়াতে খুব ভালো লাগলোও খুব ভয়ংকর কারণ এখন আকাশ খারাপ করলেই বাজ পড়া শুরু হয় তাই বের না হওয়াই মঙ্গল।ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপনি
বেশ বানান ভুল রয়েছে, পোষ্ট করার পর অন্তত একবারের জন্য হলেও পোষ্টটি পড়ে দেখার অনুরোধ রইল। ধন্যবাদ
ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।