দিনে দিনে পাওয়া ছোট আঘাতগুলো একদিন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে
আসসালামু আলাইকুম
জেনারেল রাইটিং পোস্ট
মানুষ ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। হাসি আনন্দ ভালোলাগা মন্ডল লাগা সকল বিষয়ের মধ্যে এমন কিছু মানসিক আঘাত পেয়ে থাকে যেগুলো ভুলিয়ে যাওয়ার নয়। আর ঠিক এভাবে একদম ছোট থেকে বুদ্ধি জ্ঞান হওয়া পর্যন্ত অথবা ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত অনেক অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন আঘাতের সম্মুখীন হয়ে থাকে। যে সমস্ত মানসিক আঘাতগুলো হৃদয়ে জমা থাকে সেই সমস্ত আঘাতগুলো একদিন বড় কোন দুর্ঘটনা বয়ে আনতে পারে। আর এই বিষয়গুলো যে মানুষ একা বহন করে বেড়ায় একমাত্র সেই বোঝে ছোট ছোট আঘাতগুলো তার ভেতরে কেমন রুপ ধারণ করেছে।
আমরা অনেক সময় অনেক মানুষের ডিপ্রেশনে চলে যাওয়ার কথা শুনে। ডিপ্রেশন মানুষের এক দিনের সৃষ্টি হয় না। মূলত বিভিন্ন দিনের ছোট ছোট আঘাতগুলো একত্রিত হয়ে যখন বড় আকার ধারণ করে মনে আঘাত দিতে থাকে তখন সেই মানুষের মন মানসিকতা একদম ডিপ্রেশনে পতিত হয়। আর ডিপ্রেশনটা মূলত মানসিক আঘাত থেকে সৃষ্টি। এটা একপ্রকার হতাশা জনক বিষয়। বিভিন্ন দিক থেকে আঘাত পাওয়া মনটা এক সময় হতাশায় পরিণত হয়ে যেকোনো ধরনের এক্সিডেন্টের দিকে নিয়ে যেতে পারে। অনেক মানুষ ডিপ্রেশনে ভোগে, জীবনে ছোট-বড় বিভিন্ন আঘাত সইতে পেরেছে খুব সহজে কিন্তু অধিক মাত্রায় যখন ডিপ্রেশন সৃষ্টি হয়ে গেছে ছোট ছোট আঘাত থেকে তখন সে আর নতুন করে কোন মানসিক আঘাত সইতে পারেনা। তাই যে কোন মুহূর্তে ছোটখাট কোন মানসিক আঘাত হৃদয় লাগলে মন চায় যে কোন মূল্যে খারাপ কিছু করে বসে। হতে পারে সেটা আত্মহত্যা অথবা অন্যান্য কোন ক্ষতির বিষয়। অনেক সময় দেখা যায় অনেক মানুষ অতিরিক্ত রাগের ফলে যে কোন জিনিস ভেঙে ফেলছে বা পুড়িয়ে ফেলছে অথবা আত্মহত্যা করছে। এই সমস্ত বিষয়গুলোর পিছনে রয়েছে চরম মানসিক আঘাত।
ভেবে দেখুন একটা মানুষ খুব সহজে কিন্তু আত্মহত্যা করে না। অতিরিক্ত মানসিক কষ্ট পাওয়ার ফলে সে সুইসাইডের পথ বেছে নেয়। তবে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে মানসিক যন্ত্রণাগুলো কখনো প্রিয়জনকে অথবা নিকটস্থ মানুষদেরকে বুঝাতে চায় না। কারণ সে সব সময় চায় এমন একজন মনের মানুষ হোক যে তাকে সামান্য বলা মাত্র বুঝে নিতে পারবে। কিন্তু প্রিয়জন থাকা সত্ত্বেও যখন বলতে চায় না, তখনই বুঝতে হবে সেই প্রিয়জন কখনো তার মনের কথা বুঝতে পারে না। তার জন্য সে কখনো মুখ খোলে না। একজন মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত মানুষেরা সব সময় চায় মনের মত মানুষের কাছে কষ্টের অনুভূতিগুলো খুলে বলি এবং হালকা হয়। এক্ষেত্রে মেয়েরা খুব সহজেই বলার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারে কিন্তু ছেলেরা সবসময় পারে না যার জন্য বড় ধরনের কোন ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তাই আমাদের সব সময় মাথায় রাখতে হবে কখনো কারো সাথে ইয়ার্কি ঠাট্টা অথবা অপমানজনক কথা বলার পূর্বে একটু ভেবে নেওয়া। কারণ আপনি কোন একটা বিষয়কে হাসির খোরাকি মনে করছেন কিন্তু সেটা অন্যের কাছে হাসির বিষয় নাও হতে পারে। মানুষের গায়ে আঘাত করলে যেমন ব্যাথা দেওয়া যায় ঠিক তেমনি অন্তরে আঘাত করা যায় যেটা অন্তরের ব্যাথা লাগে। অন্তরে ব্যথা দেওয়ার জন্য কোন কিছু দিয়ে আঘাত করা লাগে না মাত্র মুখের কথাতে হয়ে যায়। তাই মানুষের সাথে চলতি পথে মুখ থেকে এমন কোন বোকামি কথা বের করব না যে কথাগুলো মানুষের অন্তরে আঘাত দিয়ে ফেলে। আর সব সময় খেয়াল রাখতে হবে সাথে চলা মানুষদেরে হৃদয়ে আঘাত লাগা কোন কারণ আছে কিনা। কারন আমরা সবাই জানি সকল মানুষের মধ্যে কম বেশি আঘাত থেকে থাকে। তাই আমাদের এই বিষয়ে সজাগ থেকেই পথ চলতে হবে যেন আমাদের কোন হাসি ঠাট্টা তামাশা অথবা রাগ অহংকার এর মুহূর্তে মুখের কথাগুলো অন্যের হৃদয়ে আঘাত না দিয়ে ফেলে।কারণ দেখা গেছে মানুষের কিছু কিছু বোকামি কথাবার্তা অন্য মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমাদের সবসময় চেষ্টা থাকতে হবে মানসিক আঘাত দিয়ে কথা বলা থেকে যেন আমরা বিরত থাকি। আপনার সজাগ সচেতনতা এবং সাবধানতা হতে পারে অন্যের বেঁচে থাকার কারণ।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আপনিও দেখছি বেশী দারুন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। আসলে এগুলো মানুষের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে থাকে। মানুষের জীবনে অনেক আঘাত এসে থাকে। তবে কিছু কিছু মানসিক আঘাত শক্তি এমন একটা পর্যায় সৃষ্টি করতে পারে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
আজকের কাজ সম্পন্ন

আপনার লেখাগুলো আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে। একদম বাস্তবতা আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার লেখার মধ্যে। আমরা মানুষের সাথে হাসি ইয়ার্কি করে থাকি কিন্তু কখনো ভেবে দেখি না আমাদের সেই কথাগুলো সত্যিকারের আঘাত দিচ্ছে কিনা। আরো অনেক মানুষ রয়েছে ছোট ছোট আঘাত পেয়ে খুব খারাপ দিকে চলে যায়। তাই সত্যিই আমাদের অবশ্যই এ বিষয়টা মাথায় রাখা প্রয়োজন।
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া
আপনার কথাগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপু। আপনার লেখার মধ্যে বাস্তবতার মিল রয়েছে। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আসলেই আমরা অনেক সময় অনেক ঠাট্টা, ইয়ার্কির মাধ্যমে একে অপরকে অনেক কষ্ট দিয়ে থাকি তা আমরা নিজেরাও জানি না। আমাদের প্রত্যেকের উচিত ঠাট্টা, ইয়ার্কি করার সময় ভেবে চিন্তে ঠাট্টা ইয়ার্কি করা যাতে করে কেউ কোন কষ্ট না পায়।
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম
দিনে দিনে পাওয়া ছোট আঘাতগুলো একদিন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে আপনি একেবারে বাস্তব কথা বলেছেন। ছোট ছোট আঘাতগুলো থেকে হৃদয় অনেক বড় কষ্ট জমা হয়ে থাকে। প্রতিদিনের পাওয়া কষ্ট গুলো একসময় ভয়ংকরুপ ধারণ করে তা খুবই বাস্তব। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর বিষয় শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ
X--promotion
আসলে যে মানুষগুলো নরম থাকে তারা কিন্তু বিভিন্ন ধরনের আঘাত সহ্য করতে করতে একটা সময় অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায়। কেননা এই মানুষগুলো যদি কঠিন না হয় তাহলে তারা জীবনে কখনো বেঁচে থাকতে পারবে না। আজ আপনি দারুন একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মনে করি এই সমস্ত বিষয়ে আমাদের অবগত হতে হবে।
দিনে দিনে পাওয়া ছোট আঘাতগুলো একদিন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে।এটি একটি খুব শক্তিশালী সত্য। ছোট ছোট মানসিক আঘাত, অবহেলা বা কষ্টগুলো যখন দীর্ঘ সময় ধরে জমে যায়।তখন তা এক সময় বড় ধরনের চাপ এবং কষ্টের রূপ নেয়। আমরা অনেক সময় এগুলোকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করি।কিন্তু এগুলো আমাদের মনের উপর প্রভাব ফেলে এবং একদিন তা অস্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পেতে পারে। তাই, অনুভূতিগুলো সময় মতো মূল্যায়ন করা এবং সুস্থভাবে মোকাবেলা করা অত্যন্ত জরুরি।
অবহেলা করার পূর্বে আমাদের বুঝা উচিত।
অতিরিক্ত মানসিক কষ্ট মানুষকে পাল্টায় আবার মানুষকে একদম শেষ করে দেয়। তবে আঘাতটা যদি প্রিয় মানুষটার কাছ থেকে হয় তাহলে কষ্ট আরো বেশি হয়। ছোট ছোট বালু কনা জমতে জমতে যখন বিশালতার রূপ নেয় ঠিক তেমনি আঘাত ও অল্প অল্প করে পেতে পেতে একসময় অনেক বড় রূপ ধারণ করে। তাই ছোট ও বড় কোন আঘাত দেওয়া উচিত না। তাই আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন আমাদের কথায় আচরণে কেউ কখনো আঘাত না পায়। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ তাইতো আমাদের এই বিষয়ে সজাগ হতে হবে