পুকুরে একদিন মাছ ধরার মুহূর্ত
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব পুকুরে মাছ ধরার মুহূর্ত। এখানে দেখতে পারবেন পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরার সুন্দর অনুভূতি।
পুকুর থেকে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যেমন আমার খুব ভালো লাগে। ঠিক তেমনি মাছ ধরতে দেখতেও অনেক ভালো লাগে। আর সেই জায়গায় যদি হয়ে থাকে নিজেরাই মাছ ধরছি তাহলে তো আনন্দটা একটু বেশি থাকবেই। আমি মাছ ধরতে এবং মাছ ধরা দেখতে উভয়ই পছন্দ করে থাকি। প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে যেন অন্যরকম প্রশান্তি মেলে। কিছুটা সময়ের জন্য বাইরের পরিবেশে আনন্দ উপভোগ করতে পারা যায়। তবে বরশি দিয়ে সব সময় মাছ ধরা যায় না। কিন্তু জাল দিয়ে যদি মাছ ধরে দ্রুত মাছ উঠে পড়ে, দ্রুত বাড়িতে আসা সম্ভব হয় এবং কুটে ধুয়ে রান্না করা যায়। ঠিক এমনই একটা দিনের কথা। বাড়ি থেকে আমরা পুকুর পাড়ে উপস্থিত হলাম। সেখানে উপস্থিত হয়ে বড় পুকুরটাতে মাছ ধরতে হবে। আমার দায়িত্ব মাছগুলো হাঁড়ির মধ্যে অথবা ব্যাগের মধ্যে পড়তে হবে। একটি ব্যগে করে মাছের কিছু খাবার নিয়ে যাওয়া হলো। এরপর রাজের আব্বু খাবারগুলো দুইটা পুকুরের পাশাপাশি একটু একটু করে দিয়ে রাখলো। খাবার দেয়ার পর দশ মিনিট অপেক্ষা করলো বসে থেকে। ততক্ষণে মাছ যেন খাবার খেতে এসে যায়। এরপর জালটা পরিষ্কার করে নিল।
সে আমার কাছে জানতে চাইলো প্রথম জাল ফেলায় কত কেজি মাছ উঠতে পারে। আমি আন্দাজে কিভাবে বলব কত কেজি মাছ উঠতে পারে। তারপরে বারবার জানতে চাইলো অনুমান করে বল কত কেজি মাছ উঠবে। তখন আমি মনে করেছিলাম আমাদের কথা হচ্ছে তো মাছ না উঠতে পারে। মানুষের শব্দ পেলে অনেক সময় মাছ পালিয়ে যায়। তাই বলেছিলাম ৬/৭টা উঠতে পারে। সে তো বলেছিল মাত্র পাঁচ সাত পিস? আমি বলেছিলাম হ্যাঁ। সে বলেছিল প্রথম জালে ৫-৭ কেজি তুলে দেখাবো। তখন আমি তো হাসিতে ফেটে পড়েছিলাম। বলে কি? পাশ্চাত কেজি মাছ উঠবে এত সোজা। বরশি দিয়ে মাছ ধরলে পাঁচ সাত কেজি মাছ ধরতে সারাদিন লেগে যায়। কিন্তু জালে ৫-৭ কেজি মাছ ধরা সত্যি কোন বিষয় নয়। প্রথম জাল ফেলে টেনে তুলেই দেখিয়ে দিল। আমি তো দেখে অবাক হয়ে গেলাম। তেলাপিয়া সিলভার মাছ সহ আরো অন্যান্য মাছ ছিল।
এই মুহূর্তে পুকুরের পানিতে বেশ দারুন ঢেউ ছিল। হালকা গরমের রোদেলা দিন। ঝিরিঝিরি বাতাস যেন মন রাঙিয়ে তুলছিল সুন্দর এই সুশীতল পরিবেশে। ঠিক তখন দেখার মতো মাছগুলো সে রেখে দিয়েছিল। ছোট ছোট মাছগুলো পুকুরে ফেলে দিতে লাগলো। আর এর সুযোগে সুযোগে আমি মাছগুলো গুছিয়ে সাইডে রাখলাম ফটো ধারণ করার জন্য। অতঃপর হাড়ের মধ্যে উঠে নিলাম। আর এভাবেই সুন্দর একটি দুপুর বিকেল এর মধ্যবর্তী মুহূর্তে আমরা মাছ ধরেছিলাম পুকুর পাড়ে।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | মাছ ধরার অনুভূতি |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আজকের কাজ সম্পন্ন
সেদিন জাল দিয়ে প্রথমবারেই অনেক মাছ বেধেছিল। আসলে একবারে যে এতোগুলো মাছ জালে উঠে আসবে সেটা আমারও চিন্তার বাইরে ছিল। যাহোক সেদিন খুবই ভালো লেগেছিল আমার একবারে এতগুলো মাছ জালে ওঠা দেখে। যাহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আশা করব এভাবেই পাশে থাকবেন
অনেক অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর ভাবে মাছ ধরার দৃশ্য গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে। মাছ ধরতে আমারও ভালো লাগে। আর এটা সত্য নিজেদের মাল তার মধ্যে অন্যরকম আনন্দ রয়েছে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
আপনাদের পুকুরের মাছ ধরার দৃশ্য দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আপনারা তো দেখছি অনেক মাছ ধরেছেন। আমি কখনো সামনাসামনি সেভাবে মাছ ধরা দেখিনি যদিও দেখার অনেক ইচ্ছে আছে। মাছগুলো বেশ বড় বড়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ প্রথম খেপেই 5 কেজির বেশি
থেকে পুকুর থেকে মাছ ধরার দৃশ্যগুলো আমারও অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে সেই মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলে, দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।
পোস্ট দেখার জন্য ধন্যবাদ
পুকুর থেকে তরতাজা মাছ তুলে কেটে রান্না করে খাওয়ার মজাই আলাদা।আপনি চমৎকার সুন্দর করে মাছ ধরার বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। বেশ ভালো লাগলো।মাছ কে খাবার দিয়ে জাল ফেললে অনেক মাছ ওঠে কারণ মাছ খাবার খেতে এসে জমায়েত হয় আর তখনি হাল ফেল্লে অনেক মাছ ওঠে একজন্য ভাইয়া বলেছেন দশ কেজি উঠিয়ে দেখাবে।বেশ ভালো লাগলো ও এতো এতো তেলাপিয়া মাছ দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো।তেলাপিয়া মাছ আমার অনেক পছন্দের। ধন্যবাদ আপনাকে মাছ ধরার গল্পটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ এজন্যই তো কিছুটা সময় অপেক্ষা করছিল
আপু আপনার মতো আমারও মাছধরা দেখতে এবং মাছ ধরতে ভীষণ ভালো লাগে। এখানে থেকে তো সম্ভব হয় না তবে মায়ের বাসায় আমার আব্বুদের পুকুরে আব্বুর সাথে মাছ ধরতে যাই। পুকুরে গেলে রোদের মধ্যে ঝিরঝিরি বাতাস ভীষণ ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আমি বেশ অনেকদিন মাছধরা দেখেছি কিন্তু এখন দিন দিন আর হয়ে উঠছে না।
এই ধরনের দৃশ্যগুলো দেখতে ভালোই লাগে। যদিও সামনাসামনি বসে মাছ ধরার দৃশ্য আমি খুব কম দেখেছি। লাস্ট কবে দেখেছি সেটাও মনে নেই। অনেকগুলো মাছ ধরা হয়েছে দেখছি। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে। খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
রকি ভাইদের মত চলে আসেন ঘুরে যান
আপু আপনাদের পুকুরে দেখছি বিভিন্ন রকমের মাছ রয়েছে। পুকুরের মাছ ধরার দৃশ্যগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। আর সুন্দর করে আপনি এই অনুভূতি তুলে ধরেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো আমার
হ্যাঁ আপু মাছ ধরা এবং মাছ ধরতে দেখা দুটোই ভালো লাগে সবার কাছে কম বেশি। তবে আপনারা দেখতেছি জাল মারলে প্রথম বার কত মাছ উঠবে এই নিয়ে কথা বলেছেন। তবে ভাইয়ার কথা সত্যি হল ৫ থেকে ৭ কেজি উপরে মাছ উঠল জালের মধ্যে প্রথমবার। তবে আপনাদের পুকুরে মনে হয় মাছ অনেক। যাইহোক আপনার পোস্টটি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আমি তো বরশি দিয়ে বেশি পছন্দ করি