কাঁঠালের রেনডম ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আবার আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি কাঁঠালের ফটোগ্রাফি নিয়ে। ভেরিফাইড হওয়ার মুহূর্তে অনেক অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম। ফল ফুল মাছধরা দেখাসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি করে ছিলাম।এখন সেই সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করে চলেছি। আশা করব আজকের কাঁঠালের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে।
কাঁঠালের রেনডম ফটোগ্রাফি
কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। শীতের পরেই কাঁঠাল গাছে ছোট ছোট কাঠাল ধরতে দেখা যায়। এরপর দীর্ঘদিন পাড়ি দিয়ে জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় মাসে এই ফল পাকতে দেখা যায়। কিন্তু প্রচণ্ড রোদ গরমের মুহূর্তে পাকা কাঁঠাল অনেকে খেতে চায় না। গত কিছুদিন আগে কাঁঠালের ফটোগ্রাফির পোস্ট করেছিলাম। অনেকের মন্তব্যে আমি এমনটাই লক্ষ্য করেছি। এছাড়াও অনেক মানুষ রয়েছে সত্যিই কাঁঠাল পছন্দ কম করে। কিন্তু আমার কাছে কাঁঠাল অনেক প্রিয় ফল। একদম রান্না খাওয়া থেকে শুরু করে কাঁঠালের বিচির রেসিপি এছাড়া পাকা কাঁঠাল তো জাস্ট অসাধারণ লাগে আমার কাছে। কাঁঠালের মধ্যে বিভিন্ন রকমের জাত রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন জাতের কাঁঠালের সাধ ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। আমাদের বাগানে অনেক রকমের কাঁঠাল রয়েছে। তার মধ্যে একটি কাঁঠালের যাত্রা হয়েছে বারোমাসি। যে সময় বাজারে কাঁঠাল দেখেন না সে সময় আমাদের গাছে কাঁঠাল থাকে। সে কাঁঠাল রান্না করে খেতে বেশ ভালো লাগে। এছাড়াও সিজনের মুহূর্তেও আমাদের সেই গাছে কাঁঠাল থাকে।
ফল মহান সৃষ্টিকর্তার দান। তাই আমি মনে করি খাবার ফল সব কিছুই সময়মতো কাছে পেলে কম বেশি খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এখানে ভালো লাগা না লাগার কোন বিষয় নেই। কারণ কাঁঠাল অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। তাই আমি মনে করি, প্রচন্ড গরমের সময় কাঁঠাল ফল পাকলেও সুযোগ বুঝে খাওয়া দরকার। যাইহোক এই মুহূর্তে আপনাদের মাঝে আমি যে সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো উপস্থাপন করেছি তার বেশিরভাগ ফটোগ্রাফি আমার খালাম্মাদের বাসার পাশ থেকে ধারণ করা। আমি লক্ষ্য করে দেখেছিলাম খালাম্মাদের বাসার নিকটে বেশ বড় একটি কাঁঠাল বাগান রয়েছে আবার রাস্তার পাশ দিয়ে অনেকগুলো কাঁঠাল গাছ রয়েছে। উনাদের বাসায় বেড়াতে গিয়ে ফিরতে পথে ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। এছাড়াও নানীদের বাসায় বেড়াতে গিয়ে কাঁঠালের ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তাই এখানে আপনারা বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি লক্ষ্য করছেন।
আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করে থাকি আমাদের মেহেরপুরে কাঁঠালের বিখ্যাত। প্রচুর পরিমাণ কাঁঠাল হয়ে থাকে আমাদের এই এলাকায়। আর আরেকটা ভালোলাগার বিষয় যে কাঁঠাল বাগানের পাশাপাশি রাস্তার পাশ দিয়ে বেশিরভাগ কাঁঠাল গাছ দেখতে পাওয়া যায়। গ্রামীণ রাস্তায় কাঁঠাল গাছের দেখাটা একটু বেশি মেলে। আমাদের যত আত্মীয়স্বজনের বাসা রয়েছে, সেখানে যাওয়ার সময় আমি এই জিনিসটা একটু বেশি লক্ষ্য করে দেখি। আর চোখে পড়ে বেশ। নানি বাড়িতে যাওয়ার পথে নানীদের বাসাতে কাঁঠাল গাছ দেখি অনেক। এদিকে নানীর শাশুড়িদের বাড়িতেও কাঁঠাল গাছ অনেক। খালাম্মাদের বাড়িতে কাঁঠাল গাছ রয়েছে। আমাদের তো নিজেদের বাড়িতে একটা মাত্র গাছ রয়েছে সেখানেও অনেক ধরে। আর বাবার বাড়িতে কাঁঠালের তো বড় বাগানে রয়েছে। ছোট থেকে প্রচুর কাঁঠাল খেয়েছি। তাই যাই হোক এবারও যদি সৃষ্টিকর্তার সুযোগে রাখেন কাঁঠালের ফটোগ্রাফি করব। আমি মনে করি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারাটাও কিন্তু দক্ষতা। তাই পূর্বের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করে দেওয়ার চেষ্টা। আশা করবো আপনারা সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করবেন কাঁঠালের।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | কাঁঠাল ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আজকের কাজ সম্পন্ন
আপনাদের মেহেরপুর আসলেই কাঁঠালের জন্য বিখ্যাত মনে হচ্ছে কারণ এত এত কাঁঠাল গাছ দেখতে পাচ্ছি। আপনার খালাম্মাদের বাড়ির পাশে তো অপরূপ সৌন্দর্যের সমাহার। প্রকৃতি আসলেই সুন্দর আর সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি তো সুন্দর হবেই। কাঁঠাল গাছে যে এরকম সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করা যেতে পারে সেটা আমার মাথায় কখনো আসেনি আপনার মাথায় এসেছে। সত্যি ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। ঠিক বলেছেন আপু প্রত্যেক সিজনের ফল খাওয়া উচিত আমাদের তাই গরম হলেও কাঁঠাল খেয়ে দেখতে হবে।
কি চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো। একদম মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত ছিল আপনার কাঁঠালের ফটোগ্রাফি গুলো। কাঁঠাল খেতে কিন্তু আমিও পছন্দ করি। তবে একটা বিষয় থাকে গরমের সময় খেতে ইচ্ছে হলেও যেন খাওয়া যায় না। এত চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের দেখানোর জন্য ধন্যবাদ।
আপনি কাঁঠাল গাছের দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন। কাঁঠাল গাছে দেখছি অনেক কাঁঠাল ধরেছে অনেক ভালো লাগছে দেখতে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আসলেই ভালো লাগার বিষয়। যেটা আমাদের কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত দেখতে পাই ।সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনাদের বারোমাসি কাঁঠাল গাছ সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো। আপনি বেশ অনেক গুলো কাঁঠালের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। দেখা যাচ্ছে প্রতিটি গাছেই বেশ অনেক গুলো করে কাঁঠাল ধরে রয়েছে। বেশ ভালো লাগলো অসময়ে কাঁঠালের ফটোগ্রাফি গুলো।
এখন কাঁঠাল গাছে নতুন নতুন কাঁঠাল এসেছে। দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দারুন কিছু কাঠালের ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ।
আপনার এই কাঁঠালের ফটোগ্রাফি গুলি দেখে মনে হচ্ছে চারপাশে শুধু কাঁঠাল গাছ আর সবুজের সমারোহ। প্রকৃতির এক অপূর্ব রূপ সত্যিই, সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি কত সুন্দর। কাঁঠাল গাছের এই ফটোগ্রাফি গুলি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। আপনার তোলা ছবিগুলো মন ছুঁয়ে গেল। প্রত্যেক ঋতুর ফল উপভোগ করা উচিত, তাই গরমের মাঝেও কাঁঠাল না খেয়ে থাকা যায় না। আমিও কাঁঠাল ভীষণ পছন্দ করি, যদিও গরমে খেতে কষ্ট হয়। এত সুন্দর কাঁঠাল গাছ এবং কাঁঠালের ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।