রেনডম ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে আমার অনেক ভালো লাগে। একসাথে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করার মধ্যে রয়েছে অন্যরকম আনন্দ। তাই আজকে বিভিন্ন প্রকার রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে।
রেনডম ফটোগ্রাফি
প্রথমে আপনারা যে ফুল দেখতে পাচ্ছেন এটা সরিষা ফুল। এই ফুলটা আমাদের ঘরের সামনে ফুটেছিল। আমাদের ঘরের আশপাশে বেশ অনেক জায়গায় অনেকগুলো ফুল ফুটেছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল এত সুন্দর সুন্দর সরিষা ফুল দেখতে পেলে। তাই জুম করে এই সরিষা ফুলের ফটো ধারণ করেছিলাম। এই বছরে তত বেশি একটা সরিষা ফুলের ফটো ধারণ করতে পারি নাই। তবে ভালো লেগেছিল নিজের বাড়িতে বেশ আনাচে-কানাচে এমন সরিষা ফুল দেখতে পেলে।
এই পাখিটার নাম আমি জানিনা। আমাদের পুকুরপাড়ের কারেন্টের তারে এ পাখি বসে থাকতে দেখেছিলাম। সেখান থেকে ফটো ধারণ করেছিলাম অনেকদিন আগে। আজকে সৌভাগ্য হলো পাখিটার ফটোগ্রাফি আপনাদের দেখানোর। পাখির ফটোগ্রাফি করতে সচরাচর আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বেশি ভালো লাগে জুম করে ফটো ধারণ করতে পারলে। তাই খুব নিকট থেকে এ ফটো ধারণ করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
আপনারা এই মুহূর্তে দেখছেন হাঁড়ির মধ্যে তেলাপিয়া মাছ। এই তেলাপিয়া মাছ আমাদের পুকুর থেকে ধরা হয়েছিল। পুকুর থেকে যখন এ মাছ ধরা হচ্ছিল তখন আমরা বেশ কয়েকজন আনন্দের সাথে মাছ ধরা উপভোগ করছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে এই ফটোগ্রাফি করেছিলাম আমি। আনন্দঘন মুহূর্তটা স্মৃতি হয়ে রাখতে ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের গাছের শিমের ফুল ফটো। শিম আমার কাছে অনেক ভালো লাগার সবচেয়ে। তবে পাশাপাশি এত সুন্দর ভাবে ফুল ফুটে থাকে দেখলে মন ভরে যায়। অনেক সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফি টা। দেখে চোখটা জুড়িয়ে যাওয়ার মত ছিল। এটা আমাদের বাগান থেকে ধারণ করেছিলাম একদিন। সেই সৌন্দর্য এখন আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগছে।
আমাদের ডাব গাছের ডাব বিক্রয় করার মুহূর্তে এই ফটো ধারণ করা হয়েছিল। ডাব ক্রেতা আমাদের বাসাতে আসলে ডাক বিক্রয়ের পাশাপাশি ডাব খাওয়ার সুযোগ হয় সবার। এর আগে রাজের আব্বু রাজের ছোট আব্বু গাছে উঠতো। এখন তারা আর সেভাবে গাছে ওঠার চেষ্টা করেনা। সব সময় সবার পক্ষে সব কাজ সম্ভব নয়। ছোট ভাই আর পায়ে সমস্যা বাবুর আব্বা শরীর ভারি হয়ে গেছে তাই তারা আর আগের মতো পারতে সক্ষম নয়। তাই আমাদের নজর রাখতে হয় ডাব ক্রেতা কবে আসবে সেদিন ডাব খেতে পারব।
পাতি হাঁসগুলো যে সুন্দর ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেখে মনে হচ্ছে যেন তারা ঘুমিয়ে রয়েছে। আসলে তারা এভাবে এক পায়ে কিছুটা সময়ে দাঁড়িয়ে থাকে গোসল ছেড়ে এসে। অনেক সময় তারা ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে তারা এক পায়ে থাকে এই মুহূর্ত টাই। মুখটা পালকের মধ্যে গুজিয়ে রাখে আর এক পা উঁচা করে রাখে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন পুকুরের মাঝখানে একটি স্যালো মেশিন রেখেছে। মেশিনটা ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লেগেছিল। অনেক সুন্দর লোকেশন থেকে ধারণ করা হয়েছিল ফটোটা।
একদিন রাস্তা দিয়ে লক্ষ্য করে দেখলাম একপাল বয়রা বা হেরি জাতীয় প্রাণী চরায় করিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মানুষের। আমরা ছোটবেলায় এই পশু চড়াই করে নিয়ে যেতে দেখতাম এবং কয়েকজন মিলে পিছু লাগতাম যতদূর সম্ভব দেখতে যেতাম। একদিকে ভয় পেতাম আবার আরেক দিকে সাহস করে যেতাম। এখনো সেই আগের মত লক্ষ্য করে থাকি অচেনা মানুষেরা এগুলো চরাই করতে আনে আমাদের এদিকে।
এই মুহূর্তে আপনারা দেখছেন কাঁঠাল গাছে কাঁঠাল ধরা শুরু হয়ে গেছে। এই কাঁঠালটা আমাদের নিজের গাছ থেকে ফটোগ্রাফি করেছিলাম। অনেক ভালো লাগছিল গাছে আবারো কাঁঠাল ধরতে দেখে।
মৃৎশীল পর ব্যবহার অনেক কমে গেছে। তবে এখনো মাঝেমধ্যে দেখা যায় অচেনা গ্রামের মানুষজন মাটির জিনিস তৈরি করে বিক্রয় করতে আসেন আমাদের গ্রামের দিকে। অন্য কোন জিনিস নেওয়া না হলেও রুটি তৈরি করার জন্য মেটে তাওয়া কেনা হয় এনাদের কাছ থেকে। ছোটবেলায় ৫ টাকা পিস কিনতাম এখন সেগুলো ৫০ টাকা ৬০ টাকা হয়ে গেছে। এই সমস্ত তামাগুলোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | রেনডম ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করছেন আজকে আপনি। আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। বিশেষ করে সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফিও শিমের ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশি ভালো লাগলো। এবং আপনার অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। সত্যি বলতে ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আজ আপনি আমাদের মাঝে রেনডম ধরনের বিভিন্ন ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আসলে এই ধরনের বিভিন্ন ফটোগ্রাফি দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। এছাড়াও খুব সুন্দর ভাবে আপনি প্রত্যেকটা ছবি সম্পর্কে দারুন মন্তব্য আমাদের মাঝে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন।
ওয়াও আজকে আপনি চমৎকার কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্ৰাফি গুলো দেখে অনেকক্ষণ তাকিয়েই ছিলাম চোখ সরাতে পারছিলাম না। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, বিশেষ করে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে সিম ফুলের ফটোগ্রাফিটি। এছাড়াও বাকি ফটোগ্ৰাফি গুলো বেশ দারুন হয়েছে আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি তো আজকে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।আমার কাছে এভরকম এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ ভালো লাগে। যাই হোক বিশেষ করে সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে।ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বেশ সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করছেন।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী দিয়ে একটি ফটোগ্রাফি অ্যালবাম সাজিয়েছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি টি একটু বেশি ভালো লেগেছে। এছাড়া ও বাকি সব ফটোগ্রাফী বেশ দারুন হয়েছে।
আজকে আপনি খুব চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। রেনডম ফটোগ্রাফির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। তবে আপনার এক একটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। তবে মাটির জিনিস গুলো আমরাও ছোটকালে দেখলাম 5 টাকা বা ছয় টাকা বিক্রি হয়। এখন এগুলোর দাম অনেক বেড়ে গেলো। ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।