জেলেদের মাছ ধরতে দেখার অনুভূতি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। এই পোস্টে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব পুকুরে মাছ ধরতে দেখার মুহূর্ত। আশা করব পুকুরে জেলেদের মাছ ধরা দেখতে অনেক ভালো লাগবে।
আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। দৈনন্দিন খাবার তরকারি হিসেবে আমরা অন্যান্য তরকারির পাশাপাশি মাছকে প্রধান হিসেবে দেখে থাকি। আমরা চেষ্টা করে থাকি প্রত্যেকদিন না হলেও প্রত্যেক সপ্তাহে মাছ দিয়ে ভাত খেতে। সেই জায়গায় নিজেদের যখন মাছ চাষ করে থাকে তখন মাছ খাওয়ার সুযোগ সুবিধা টা একটু বেশি। আমাদের এই এলাকা মাছে পুকুরে পরিপূর্ণ। বাড়ি থেকে বের হলেই চোখে পড়ে শুধু পুকুর। এছাড়া মাঠের দিকে তো পুকুরের শেষ নেই। যাই হোক মাছ ধরা দেখতে আমি কিন্তু অনেক পছন্দ করি। এছাড়াও বরশি দিয়ে মাছ ধরতেও আমার অনেক ভালো লাগে। তাই যখনই আমাদের পুকুরে মাছ বিক্রয় হয় আমি মাছ বিক্রি করার মুহূর্তে মাছ ধরতে দেখা মিসটেই না। বিভিন্ন কারণে যদি সমস্যা হয় তাহলে পারে হয়তো দেখা হয়ে ওঠে না। তাছাড়া সুযোগ পেলে আমিও বাড়ির পুকুর মাঠের পুকুরে উপস্থিত হয়ে যায়। আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করছি। এগুলো বেশ অনেকদিন আগের মাছ ধরার চিত্র। কেউ আমাদের পুকুরের জেলেরা এসেছিলেন। অনেক পাঙ্গাস মাছ ধরেছেন। কিছুটা ফটো ধারণ করার চেষ্টা করেছি। হবে সেগুলো পরবর্তীতে দেখানোর চেষ্টা করব। পুরাতন চিত্রগুলো আগে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চাই।
আমার কাছে মনে হয় বাড়ির পুকুর গুলোর চেয়ে মাঠের পুকুর গুলোর মাছ ধরতে দেখাটা একটু বেশি ভালোলাগার হয়ে থাকে। কারণ এখানে মনোরম পরিবেশ। বড় পরিসরের পুকুর। বেশি বেশি মাছ ওঠে। এছাড়াও ফটো ধারণ করার জন্য বেশি পারফেক্ট মনে করি। আকাশের সৌন্দর্য আশেপাশের গান সবকিছু মিলে ফটোগুলো দুর্দান্ত হয়ে ওঠে। এখানে আপনারা দেখছেন জেলেরা পুকুরের শেষ প্রান্তে মাছ ধরছিল এরপর সে মাছগুলো হাড়িতে বন্দী করে এই পারে চলে এসেছে। ওই পারে জাল থেকে মাছ ধরলেও আমার যাওয়া হয়ে ওঠেনি বোন জঙ্গলের জন্য। তবে তারা মাছ মেপে নেওয়ার জন্য যখন এই পারে চলে আসে তখনই আমার যথেষ্ট সুযোগ হয় কলাগাছের পাশে বসে ফটো ধারন করার।
মাছ ধরতে ভাল লাগে, মাছ ধরা দেখতে ভালো লাগে। তবে এখন যেন আরো বেশি ভালো লাগে মাছ ধরার ফটোগ্রাফি করতে। এই ভালোলাগা এনে দিয়েছে আমার বাংলা ব্লগ। এখন মোবাইল হাতে যেদিকেই তাকাই যেখানেই যাই শুধু এটুকুই মনে হয় ফটো ওঠালাম না কেন। ঠিক তেমনি অনুভব আর অনুভূতি থেকে এই ফটোগুলো তুলেছিলাম। ভেরিফাইড হওয়ার পরে ভালোলাগাটা আরও বেশি সৃষ্টি হয়েছিল আমার মধ্যে। সেই টানে টানে যেন একটার জায়গায় পাঁচটা ছবি উঠেছি। বুঝতে পারছেন ভেরিফাইড হওয়ার আনন্দটা কেমন ছিল। যাইহোক এভাবেই কিন্তু বেশ অনেকবার মাছধরা দেখেছি এবং ফটো ধারণ করেছি। সবগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়ে ওঠেন। আজকে মাছ ধরেছে তাই হঠাৎ মনে পড়লো মাছ ধরা বিষয়ে পোস্ট করা হচ্ছে না আজকে না হয় একটা পোস্ট উপস্থাপন করি। এতে আপনাদেরও ভালো লাগবে আমারও ভালো লাগবে। তবে মানুষের ভিড়ে আমি তো আর একদম মাপা মানুষের নিকটে পৌঁছাতে পারি নাই যার জন্য সেভাবে বড় বড় মাছের ফটো ধারণ করে দেখাতে পারি নাই। তবুও যতটুক সম্ভব হয়েছে মাছ মাপার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছি। এছাড়াও বাকি ফটোগ্রাফি গুলো আরও একটি পোস্টে উপস্থাপন করব। সুন্দর এই পরিবেশে মাছধরা দেখতে ভালো লেগেছিল। তাই সে ভালোলাগা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পেরে যেন আরো বেশি ভালো লাগছে আমার। দেখা করব সাথেই থাকবেন আরো অনেক সুন্দর ব্লগ দেখার সুযোগ করে দিবেন।
ধন্যবাদ সকলকে
বিষয় | মাছ ধরতে দেখা |
---|---|
স্থান | জুগীরগোফা |
লোকেশন | জুগীরগোফা,গাংনী-মেহেরপুর |
মোবাইল | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
দেশ | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের bidyut01 এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান শশুর শাশুড়ি দেবর জা সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
সত্যি আপু প্রতিদিন মাছ না হলে চলে না। আপনি তো দেখছি মাছ ধরার খুবই সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনাদের পুকুরে বেশ বড় বড় মাছ রয়েছে। অনেক জেলে এসেছে মাছ ধরতে। আমার কাছেও এভাবে মাছ ধরে দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। ধন্যবাদ আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ