জেনারেল রাইটিং - ভেদাভেদ ভুলে বন্ধু হয়ে চলি
জেনারেল রাইটিং পোস্ট
শুরুতে মহান সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট করতে চলেছি। বিষয়টা জাতীয় পতাকা। বেশ কিছুদিন মিডিয়াতে লক্ষ্য করে দেখছি এবং মানুষের মুখে শুনছি পতাকা অপমান এবং হিংসামূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়। যখনই দেখেছিলাম মিডিয়াতে কয়েকটা ভিডিও তখনই আমার কাছে বেশ আশ্চর্য লেগেছিল। ঢাকায় ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননা করা হয়েছে। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের আস্তানা এই কথাটা বারবার মনের মধ্যে যেন ঘুরপাক করছে ভিডিওগুলো দেখার পর। কেন ভাই একটি রাষ্ট্রের পতাকাকে অবমাননা করতে হবে অসম্মান করতে হবে। ছোটবেলায় দাদার মুখে একটা কথা শুনেছিলাম "যার সম্মান আছে, সে অন্যকে সম্মান দিতে জানে। যার সম্মান নেই সে অন্যকে সম্মান দিবে কিভাবে, সে তো সম্মানের মর্মই বোঝে না।" বর্তমান পরিস্থিতির এমন বিষয় লক্ষ্য করে বারবার মনে এসেছে এই কথাটা। সত্যি এতদিন কেউ কখনো রাষ্ট্রের পতাকা নিয়ে এমন কার্যকলাপ করল না আর এখন ভারতের পতাকা নিয়ে এমন শুরু করেছে এটা বেশ দুঃখজনক। মানুষ মাত্র ভুল করবে এটা স্বাভাবিক তাই বলে ভুলকে মনে চেপে রেখে খারাপ কার্যকলাপের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এটা কিন্তু বুদ্ধিমান মানুষের কাজ নয়। কারণ ভুল বোঝা মাত্র শুধরে যেতে হবে নিজেকে। তাই আমি মনে করি বাংলাদেশ এবং ভারত খুবই সুসম্পর্কিত দুইটা রাষ্ট্র। হয়তো দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন কারণ নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়েছে তাই বলে এই নয় যে দেশের পতাকাকে অপমান করতে হবে।
যে সমস্ত মানুষেরা আজকে দুইটা দেশের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে তাদেরকে খুব দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং দুইটা রাষ্ট্রের মধ্যে যেন শান্তি সম্প্রীতি গড়ে ওঠে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ আমরা জানি ঝগড়া-বিবাদ কখনো মানুষের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না। যেখানে গ্যাঞ্জাম ফ্যাসাদ সেখানেই রয়েছে ক্ষতি। তাই আমাদের দুইটা দেশের মধ্যে যেভাবে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠবে এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে সেই জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমরা যদি মহৎ এবং মহান ব্যক্তিদের জীবনী দেখি তাহলে পারে দেখব তারা কখনো মানুষকে ঝগড়া ফ্যাসাদের নির্দেশনা দেননি। বরঞ্চ একে অপরের সাথে সুন্দর সম্পর্ক কিভাবে বজায় রাখা যায় সেই জন্য অনেক কথা লিখে গেছেন অনেক জ্ঞানমূলক কথা বলে গেছেন। তাই আমাদের শিক্ষিত মহল কে জাগ্রত বিবেক দিয়ে চলা প্রয়োজন। গুজবে কান না দিয়ে দুইটা দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে এনে আগের মত বন্ধুত্ব সুলভ ভাবে চলতে হবে।
আজকে আমাদের দুইটা বন্ধু রাষ্ট্র যদি এভাবে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয় তাহলে অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো অবশ্যই সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করবে দুইটা দেশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার জন্য। অনেক রাষ্ট্র আছে তারা চায় কিভাবে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে দিয়ে রাষ্ট্রগুলো ধ্বংস করে দেওয়া যায়। আজ বাংলাদেশ এবং ভারত এর মধ্যে যদি ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে মারামারি হানাহানি যদি সৃষ্টি হয় তাহলে এই দুইটা দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এর পেছনে যারা ক্ষতির সুযোগ নিচ্ছে তারা সাকসেস হবে। তাই আমাদের সকল প্রকার ভুল ভ্রান্তি দূর করতে হবে। আর নয় জাতীয় পতাকার অবমাননা করা। নিজেদের মধ্যে সেই মনোভাব গড়ে তুলতে হবে যেটার মাধ্যমে সুন্দর সমাজ গড়া যায়। তাই আমি মনে করি নিজেরা নিজেদের মধ্যে ভুল ভ্রান্তি দূর করে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। আশা করব খুব শীঘ্রই দুইটা দেশের মধ্যে আবারো বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ ফিরে আসবে এবং দুই দেশের মধ্যে আগের মত মিলবন্ধন সৃষ্টি হবে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ব্লগিং ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আপনার বাবা যথার্থ একটি কথা বলেছেন। আপনার বাবার কথার সাথে আমি একমত।বর্তমান সময়ের পরিস্থিতির জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। সুবিধাবাদী এক গোষ্ঠী বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে।সেই সাথে বাংলাদেশ ভারতের বন্ধুত্বময় সম্পর্ককে এক ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। যা আমি একজন বাংলাদেশী হিসেবে কখনোই সমর্থন করি না। যাইহোক পুরো বিষয়টি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কথাটি আমার দাদা বলেছিলেন ভাইয়া।
আপনার বাবা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। বর্তমান সময় খুব খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে এভাবে চলতে থাকলে বেশ কিছু ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। ভেদাভেদ ভুলে বন্ধু হয়ে চলে হবে। আমাদের প্রতিটি দেশের পতাকা কে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করা উচিত। ভালোবাসার বন্ধন আজীবন অটুট থাকুক এই কামনাই করি।
আমার দাদা বলেছিলেন।
X-promotion
আজকের কাজ সম্পন্ন
ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা যেন মানুষত্বের পরিচয় নিয়েই একই কাঁধে কাঁধ রেখে চলি। আসলে সব ভেদাভেদ ভুলে একসাথে চলার মধ্যে যেন শান্তি রয়েছে। তাই একটি দেশের পতাকাকে অসম্মান করা এটা সুস্থ মানুষের কাজ নয়। এটার প্রতিবাদ জানাই। আর আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে একই ছাতার নিচে একই বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়।
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।