কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার ফুলের রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে।

প্রথমে আপনাদের মাঝে যে ফুলটার সাথে পরিচয় করে দেবো এর নাম জবা ফুল। জবা ফুল বেশ কয়েক রকমের হয়ে থাকে। এটা বিদেশি জবা ফুল। এর আলাদা বিশেষ নাম রয়েছে। তবে আমরা বাঙালি জবা ফুল নামে এটাকে বেশি চিনে থাকবো। নতুন নতুন এই বিদেশী ফুলগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। পার্কসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেলে ঠিক এমন নতুন প্রজাতির ফুল গুলো দেখতে পাই।

এ পর্যায়ে আপনারা যে ফুলটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা ছিল লাউএর ফুল। লাভের ফুলটা দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। নিচের অংশে অনেক সুন্দর ভাবে লাউ ধরে রয়েছে আর উপরে তার ফুল।

এখন আপনারা যে ফুল দেখতে পাচ্ছেন এটা ফুলের বাগান থেকে ধারণ করা অনেক সুন্দর মাধবীলতা ফুল। মাধবীলতা ফুল সব সময়ই সুন্দর হয়ে থাকে। বেশ অনেকগুলো ফুল ফুটে থাকে একসাথে। গাছের একটি ডালে একবারে অনেকগুলো ফোটে। এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় তাই সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় সেভাবে।

এ পর্যায়ে আপনারা আরো সুন্দর একটি জবা ফুল দেখতে পাচ্ছেন। এই জবা ফুলের সৌন্দর্য অনেকগুলো আঁকাবাঁকা পাপড়ির জন্য। জবা ফুলের পাপড়িগুলোর সাথে শীষের শেষভাগে ফোঁটা ফোঁটা বিন্দুগুলো বেশি ভালো লাগে।

এখন আপনারা যে ফুলটা দেখছেন এটা কসমস ফুল। কসমস ফুল আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এই ফুলগুলো বেশ অনেকগুলো পাপড়ি দ্বারা সাজানো। এবং মাঝখানে ছোট্ট সুন্দর একটি অংশ থাকে যেখানে আরও কিছু লোমজাতীয় বিশেষ অংশ থাকে। গাছগুলো কিছুটা গাঁদা ফুলের গাছের মতো তবে ফুলগুলো কসমস ফুল।

এর ফুল গাছের নাম আমার তেমন জানা নেই তবে অনেকেই বাগান বিলাস নামে বলে থাকেন। এই গাছের পাতাগুলো কোন এক সময় বিশেষ আকৃতি হয়ে বেড়ে ওঠে। এটাই মূলত গাছের সৌন্দর্য। তবে এই জাতীয় গাছগুলো বর্তমান সময়ে মানুষ বেশি পছন্দ করে থাকে বাগানবাড়ি সাজানোর জন্য।

এখন আপনারা যে ফুল দেখতে পাচ্ছেন এটা একদম গ্রাম পর্যায়ের এখানে সেখানে ছড়িয়ে থাকা কচুরিপানা ফুল। ফুলগুলো বেশ অনেক সুন্দর ভাবে সবুজ পাতার ডাটার বিশেষ অংশ থেকে বের হয়ে আসে। এটা কিন্তু এক ভিন্ন ধরনের ফুল হওয়ার পর্যায়। হাওড়া বিভিন্ন রকমের ফুল বিভিন্নভাবে গাছের ডালে বা লতার আগায় দেখে থাকি। কিন্তু এই ফুলটা একদম গাছের ডাটার মধ্যে অংশ থেকে বের হয়।

গ্রাম বাংলার সুপরিচিত আকন্দ ফুল। অনেকে এই ফুলটাকে বিভিন্ন নামে বলে থাকে। তবে আমাদের স্থানীয় ভাষায় এটা আকন্দ ফুল। আর এই ফুলের বুকে ঠিক এমনই ছোট ছোট পিপড়ার আবির্ভাব অনেক থাকে। সব মিলে ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগে।

এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কেংরা ঘাসের ফুল। ক্যাংড়া ঘাসের ফুল আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমাদের বাড়ির আশেপাশে এমনকি পুকুর পাড়ে এই জাতীয় ফুলগুলো দেখতে পাই। ফুলগুলো কিন্তু অনেক ছোট। অনেক সুন্দর ভাবে এই ফুলগুলো ফুটে ওঠে।

আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।