নাটক রিভিউ "আলতা সুন্দরী" ৩৮ তম পর্ব
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি বাংলা নাটক রিভিউ নিয়ে। বৃন্দাবন দাস রচিত জনপ্রিয় এই নাটকের নাম আলতা সুন্দরী। এই নাটকে মোট ৬২ পর্ব। আজকে আমি উপস্থিত হলাম ৩৮ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করতে। চলুন তাহলে শুরু করি।
নাটকের নাম | আলতা সুন্দরী |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাহউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | চঞ্চল চৌধুরী, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, রহমত আলী, ম ম মোরশেদ, জয় রাজ, রাশেদা চৌধুরী, মনিরা মিঠু, সাইকা আহমেদ, লারা লোটাস, পুতুল, ডায়না সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ধরণ | হাস্যরসাত্মক এবং সামাজিক |
মোট পর্ব | ৬২ |
রিভিউ | ৩৮ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৬ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- শামীম জামান (আলতা সুন্দরী/নছের)
- আর খ ম হাসান (নায়ক মেসের)
- চঞ্চল চৌধুরী (রহিম বাদশা) সহ আরো অনেকে
বুলেট মেসেরের নামে আবোল তাবোল বলেছে। মেসের তাকে অনেক সতর্ক করে দিয়েছিল। সে যেন এই গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। অযথা নায়ক পরিচয় দিয়ে থেকে লাভ নেই। বরঞ্চ উল্টাপাল্টা বলে মানুষকে বিভ্রান্তি করছে। তবুও সে নিজের ডাট দেখিয়ে মেসিরকে অপমান করে। তাই মেসের তার উপর চড়াও হয়। বিষয়টা নায়িকা মিস রানীর কাছে বলার চেষ্টা করে। মিস রানী ও একটি কথাই বলে সে কেন পড়ে রয়েছে এখানে। সে চলে গেলেই তো ভালো হয়। কিন্তু বুলেটের কথাবার্তা এমনটা যে, রানীকে ভালবাসে তাই তার টানে এখানে এসেছে। রানীকে ছাড়া সে কিভাবে চলে যায়। কিন্তু মিস রানী পরিষ্কার করে তাকে বুঝিয়ে দেয় সে তাকে ভালোবাসে না কোনদিনও।
এদিকে আলতা সুন্দরী ও রূপে নসেরকে বিয়ে করতে পেরে পারল নিজেকে ধন্য মনে করছে। স্বামীর হাত ধরে গ্রাম ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে জাগে। আরো বেশি ইচ্ছে জাগে বিউটিকে দেখাতে। বিউটি একদিন তাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল নসেরকে স্বামী করে নিবে। পারুলের ভালোবাসার মাঝখানে শত্রুতা সৃষ্টি করেছিল বিউটি। মিথ্যা ভালোবাসা দিয়ে সে নসেরকে পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। সত্য ভালোবাসার জয় হয়েছে। সেই আনন্দে পারুল বিউটিকে দেখাতে চাই স্বামীর হাত ধরে ঘুরে বেড়িয়ে। কিন্তু পথের মধ্যে দেখা যায় বিউটির ভাই হাসেম জোয়ারির সাথে গল্প করছে। বিউটির ভাই গুলজার পারুল আর নসেরকে ঘুরে যেতে বলে। কারণ তার বোন বিউটির মনটা কেন জানি ভালো নয়। বাড়িতে প্রায় চলে এসেই পারুলের ইচ্ছা পূরণ হলো না।
এদিকে গানের দলে হাসেম জোয়ারী নিজের অধিপত্য বিস্তার লাভ করার চেষ্টা করছে। কিভাবে নায়ক মেসেরকে তাড়িয়ে দেওয়া যায়। একদিকে আলতা সুন্দরী অভিনয় করা নছের বিদায় হয়েছে বিয়ে করে। এবার নায়ক মেসেরকে এটাতে পারলে গানের দলটা পুরা হাসেম জোয়ারীর হাতে চলে যাবে। বিষয়টা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে রহিম বাদশা। মেসের যখন গানের রিহার্সাল না করে রাগ করে চলে যেতে চাই তখন গানের দলের বাজনা বাজানো সকল সদস্যরা চলে যেতে চাই। এখানে সবাই নসের আর মেসেরকে অনেক ভালোবাসে। হাসেম জোয়ারির কথায় তারা চলতে রাজি নয়। তাই এ দাফাই এত সুন্দর গুছিয়ে আনা খারাপ প্ল্যান পরিকল্পনা যেন ভেস্তে গেল হাসেম জোয়ারীর।
গুলজার বেশ মনের কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। হাসেম জোয়ারির কথা তার কানে নেওয়ার সময় নেই। সে এখন ভয়তে রয়েছে থানা পুলিশ নিয়ে। তার বউ তার নামের জিডি করেছে। না জানি কখন বাড়িতে পুলিশ চলে আসে। সে তার বোনের কাছে একটু মিনতি করে বোঝার চেষ্টা করছে। বউকে না হয় রাগের মাথায় দু'একবার মারতো তাই বলে বউ জিডি করবে। তখন তার বোন বিউটি বুঝিয়ে বলে, তার বউকে সে অনেকবার মেরেছে। তার বউ না হয় তাকে একবার জিডি করেছে। এখানে বোঝা যায় বিউটি তার বুদ্ধি দিয়ে ভাইকে শুধরানোর চেষ্টা করছে। জানো যে কোন কথায় যাকে তাকে মারার জন্য কাটার জন্য না তাড়ে।
বাংলাদেশের বিখ্যাত ধারাবাহিক নাটক গুলোর মধ্যে আলতা সুন্দরী নাটক অন্যতম। নাটকে একটি গানের দলকে কেন্দ্র করে অভিনয়। গানের দলের ওস্তাদ ফেলু গায়ের। দলের সকল সদস্য ওস্তাদকে মান্য করে। কিন্তু গানের দলের নসু ভিলেন তলে তলে রামি করার চেষ্টা রয়েছে। সত্যিকারের সে ভিলেন হয়ে হাসেম জোয়ারীর সাথে হাত মিলিয়েছে। হাসেম জোয়ারী চাই দলের পুরাতন সদস্য কিভাবে বাদ দিয়ে তার নিজের মনের মত সদস্য এনে নায়ক নায়িকা ভিলেন তৈরি করা যায়। মূলত তার চিন্তা ধারা নিজের মতো করে গানের দলটা পরিচালনা করতে পারলে তার জোয়ার ব্যবসা বেশি হবে। কিন্তু দেখা যায় তার এই বুদ্ধিতে ফেলু গায়েনের ওস্তাদ গিরি কেউ মান্য করবে না। তাই গানের দলের সকল সদস্য গান বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। পারলে হাসেম জোয়ারী একলাই গান করুক। লাস্টে দেখা যায় হাসেম জোয়ারী সে ই পরিকল্পনাই করছে। অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বোঝা যায় গানের দলটা হাসেম জোয়ারে নিজের মতো করে পরিচালনা করে তার জোয়ার ব্যবসাকে উন্নতির দিকে নিতে চায়। এক্ষেত্রে এই পর্বে মুখ্য অভিনয়ে ছিলেন হাসেম জোয়ারী। এছাড়াও বিউটির বুদ্ধিমতী কথাবাত্রা গুলো আমাকে মুগ্ধ করেছে। আরো দেখেছি রহিম বাদশার সঠিক আইডিয়া। সে বুঝতে পেরেছে নসু ভিলেন কে গানের দল থেকে তাড়িয়ে দিলে হাসেম জোয়ারী কুমন্ত্র তৈরি করতে পারবেনা। এটাই সত্য। সবাই মিলে বেশ দারুন অভিনয়ের মধ্য দিয়ে এই পর্বের জয় পরাজয়ের বাস্তব রূপ তুলে ধরেছে। এতে বলা যায় নিরবতার মধ্য দিয়ে গানের দলের জয় রয়েছে।
রিভিউটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের bidyut01 এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। এক পরিবার থেকে "আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে" চারজন সদস্য রয়েছি। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ভালোলাগা রেসিপি তৈরি, নাটক রিভিউ, ভিডিও ও ফটোগ্রাফি করা সহ ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে সদস্য হয়ে পোস্ট শেয়ার করার।
X--promotion
আপনি আজকে চমৎকার একটি নাটক রিভিউ করেছেন। আপনার নাটক রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন আমি নাটকটি লাইভ দেখতেছি। আসলে নাটক রিভিউ পড়লে আর নাটক দেখার প্রয়োজন হয় না। আখম হাসান এর ধারাবাহিক নাটক গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ
তাহলে তো বেশ ভালোই ভাইয়া
আজকের কাজ সম্পন্ন
অনেক অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করে শেয়ার করতে দেখে। আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে আলতা সুন্দরী নাটকের 38 তম পর্ব রিভিউ করে দেখিয়েছেন। আপনার এই নাটক রিভিউ দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। বেশ দারুণ একটি নাটক রিভিউ করেছেন।
মুগ্ধ করতে পেরেছি জেনে খুশি হলাম।
এত মিনিটের একটা নাটক মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই পড়ে নেওয়া যায়। আমি তো মনে করি দেখার থেকে রিভিউ পড়ে নেওয়াই ভালো। তাহলে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনীটা মাত্র ২ মিনিটেই জেনে নেওয়া যায়। বেশি সময় আর অপচয় করা লাগে না দেখে। আমি তো এখন সব সময় চেষ্টা করি নাটকের রিভিউর মাধ্যমেই কাহিনীটা জেনে নেওয়ার জন্য। আর ঠিক তেমনি এখনো চেষ্টা করলাম আপনার শেয়ার করা আলতা সুন্দরী নাটকটার এই পর্বের রিভিউ পড়ার জন্য। ভালো লাগলো এই রিভিউ টা।
আশা করি অনেক কিছু জানাতে পেরেছি।
আপনার আজ আলতা সুন্দরী নাটকের ৩৮ পর্ব রিভিউ পরে বুঝতে পারছি নাটকটি অনেক সুন্দর। নাটকটা এত সুন্দর বলেই এত পর্ব পর্যন্ত এখনো চলছে। আর চঞ্চল যেই নাটকে থাকবে সে প্রত্যেকটা নাটকই অনেক সুন্দর হবে। খুব সুন্দর করে আপনি নাটকের রিভিউ লিখেছেন।
চঞ্চল চৌধুরী মানে হাসি।