কুমড়ার বড়ির সমন্বয়ে মৃগেল মাছের রেসিপি
আজ - বুধবার
কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছেন সকলের। আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মহান সৃষ্টিকর্তার নাম মুখে রেখে উপস্থিত হলাম আপনাদের মাঝে সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য, আশা করি আমার এই রান্নার উপস্থাপনা আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে। এই পোস্ট ভিজিট করার মধ্য দিয়ে জানতে পারবেন আমার কুমড়ার বড়ি এর সমন্বয়ে মৃগেল মাছের রেসিপি তৈরি করার সম্পূর্ণ কার্যক্রম। আশা করব এই থেকে আপনারাও শিখে নিতে পারবেন খুব সহজে, কিভাবে কুমড়ার বড়ি দিয়ে মাছ রান্না করতে হয়। তাহলে চলুন রান্নার কাজ শুরু করি।
১. | মৃগেল মাছের খন্ড | ৫ পিস |
২. | পেঁয়াজ কুচি | ২ পিস |
৩. | রসুন কুচি | ১ পিস |
৪. | সয়াবিন তেল | ৭৫ গ্রাম |
৫. | কুমড়ার বড়ি | ২০ পিস |
৬. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৭. | মরিচের গুঁড়া | আধা চা চামচ |
৮. | হলুদের গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
৯. | ধনিয়া গুড়া | পরিমাণ মতো |
১০. | পানি | পরিমাণ মতো |
প্রথমে একটি পাত্রের মধ্যে মাছগুলো নিলাম। এবার সে মাছগুলো ঝাল লবণ হলুদের গোড়ার সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে নেই। কিছুটা সময় ধরে সুন্দরভাবে সমস্ত মসলাগুলো মাখিয়ে নিলাম।
এখন চুলার উপর কড়াই বসিয়ে, চুলা অন করে দিলাম। এরপর কড়াইয়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। তেল গরম হতে থাকলো।
কড়াইয়ের গরম তেলের মধ্যে মাছ এর খন্ডগুলো দিয়ে দিলাম। কিছুটা সময় ধরে মাছগুলো তেলের মধ্যে ভাজি হতে থাকলো। নির্দিষ্ট সময় ধরে মাছগুলো ভালোভাবে মুচমুচে করে ভেজে নিলাম।
মাছগুলো যখন খুব সুন্দর ভাবে ভাজা হয়ে গেল তখন চুলার জ্বাল কমিয়ে দিলাম। এরপর মাছগুলো কড়াই থেকে নামিয়ে আবার সে পাত্রের মধ্যে রেখে দিলাম।
কড়াই থেকে মাছগুলো উঠিয়ে নেওয়ার পর, কড়াইতে আরো কিছু তেল দিয়ে ঝাল পেঁয়া জ সহ বাকি মসলাগুলো দিয়ে ভেজে নিলাম।
এবার কড়াই এর মসলা গুলোর মধ্যে চাল কুমড়ার বড়ি দিয়ে দিলাম। চাল কুমড়ার বড়ি গুলো ভাজি হতে থাকলো। পূর্বে একটু গরম কড়াইতে সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম। এবার তেল মসলার মধ্যে ভাজি হতে থাকলো।
একটা পর্যায়ে লক্ষ্য করে দেখলাম কুমড়ার বড়িগুলো সাদা থেকে লালচে রং ধারণ করল এবং ভাজি ও সিদ্ধ হয়ে গেল।
এরপর কড়াইয়ের মধ্যে হাফ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে আরো সিদ্ধ করে নিলাম। তারপর মাছ ভাজা গুলো কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিলাম। এরপর আরো একটু পানি দিয়ে কড়াইটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। এভাবে কিছুটা সময় ধরে মাছগুলো ঢাকনার নিচে ঢাকা থেকে সিদ্ধ হতে থাকলো। আমি মাঝেমধ্যে ঢাকনা উঁচু করে খুন্তি দিয়ে নেড়ে দিলাম। আর এভাবে কিছুটা সময় সিদ্ধ হতে থাকলো।
কিছুটা সময় পর ঢাকনা তুলে ফেললাম। এরপর চামচ দিয়ে কড়াই এর মধ্যে ভালোভাবে নাড়তে থাকলাম। এক পর্যায়ে ঝাল লবণ কেমন হয়েছে পরীক্ষা করে দেখলাম। ততক্ষণে কড়াই এর ঝোল শুকিয়ে আসতে থাকলো। যখন দেখলাম সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে, তখন চুলার জ্বাল কমিয়ে দিলাম। এরপর একপর্যায়ে চুলা বন্ধ করে দিলাম।
রান্নার কাজ যখন সমাপ্ত হলো, কড়াইটা চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম। এরপর কড়াই থেকে রান্না করো মাছ তরকারি নির্দিষ্ট প্লেটে উঠিয়ে নিলাম। এভাবেই আমার কুমড়ার বড়ির সমন্বয়ে মাছ রান্না সম্পূর্ণ হলো।
পরিবেশন
খাবার টাইমে আমার এই রেসিপি পরিবারের সবার মাঝে বন্টন করে দিলাম। সবাই খাওয়ার সময় আমার এই রেসিপি পেয়ে অনেক আনন্দের সাথে খেলো এবং অনেক অনেক খুশি হল। আর এভাবেই চাল কুমড়ার ভোরের সমন্বয়ে মাছ রান্নার রেসিপি পরিবেশন করলাম। এভাবেই সম্পূর্ণ হলো আমার রান্নার কার্যক্রম আর রেসিপি বন্টন।
Photo device | Itel vision 1 |
---|---|
বিষয় | সুস্বাদু মাছের রেসিপি |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আসলে কুড়মো ব্যবহার করে যে কোন ধরনের রেসিপি তৈরি করলে অনেক বেশি মজাদার হয়। আপনার তৈরি করা কুমড়ার বড়ির সমন্বয়ে মৃগেল মাছের রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
হ্যাঁ অনেক সুস্বাদু হয়েছে
আমার আজকের কাজ সম্পন্ন
ইস আপু আপনার রেসিপির কালারটা দেখেতো খাওয়ার জন্য অনেক লোভ লেগে গেল। লোভ লাগেও কোন লাভ নেই। আপনি আমার প্রিয় একটি খাবারের রেসিপি করলেন। তাহলো কুমড়োর বড়ি। অনেক লোভনীয় করে আজ আপনি রেসিপিটি রান্না ও তার সাথে সুন্দর পরিবেশনাও করে আমাদের মধ্যে শেয়ার।করেছেন।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপু
শীতের সময় কুমড়া বড়ি দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আর আপনি এত সুন্দর করে এই রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি তুলে ধরেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
আমি ছোট থেকে এই ধরনের কুমড়ার বড়ি খেতে খুবই পছন্দ করি। যদি মাছের সমন্বয়ে অথবা ফুলকপির সমন্বয়ে রান্না করা হয় খেতে খুবই ভালো লাগে। তাই যতটা অনুমান করি আপনার এই রেসিপিটাও খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে।
খুশি হলাম ভাইয়া মন্তব্য পড়ে
আপু অপনার কুমড়ার বড়ির সমন্বয়ে মৃগেল মাছের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। দেখেই তো খাওয়ার লোভ লেগে গেল। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপি তৈরি । সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপু
কুমড়ার বড়ি আবার কখনোই খাওয়া হয়নি। প্রায় সময় দেখি অনেকেই কুমড়ার বড়ি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে। আপনি আজকে কুমড়ার বড়ি দিয়ে মাছ রান্না করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটা দেখে। কালার টা বেশ লোভনীয় লাগছে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
রেসিপিটাও বেশি লোভনীয় ছিল
বেশ মজার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপু আপনি। কুমড়োর বড়ি দিয়ে যেকোনো কিছু খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি যেহেতু মৃগেল মাছ রান্না করেছেন খেতে অবশ্যই অনেক মজার হবে। সুস্বাদু রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু অনেক সুস্বাদু হয়েছে
প্রায় সময় অনেকেই দেখি কুমড়ো বড়ির রেসিপি শেয়ার করে কিন্তু আমি এখনও কুমড়ো বড়ি দিয়ে কোন কিছু খাইনি। তবে আপনাদের কুমড়ো বড়ির রেসিপি দেখে খাওয়ার খুব ইচ্ছে জেগেছে, অবশ্যই একদিন খেয়ে দেখবো কেমন লাগে। যাই হোক আপনি কুমড়ো বড়ি দিয়ে মৃগেল মাছের খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। এভাবে মাছ ভুনা করলে খেতে খুব ভালো লাগে। রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কমলার বড়ি দিয়ে রান্না করলে ভালো লাগে খেতে।
কুমড়ার বড়ির সমন্বয়ে মৃগেল মাছের রেসিপি শেয়ার করেছেন।আমি কুমড়া এমনিতে খাই না কিন্তু এভাবে যদি মাছের সাথে একসাথে রান্না করে তাহলে তো অবশ্যই খেতে মন চাইবে।আপু সব উপাদান পরিমাণ মতো দিয়ে মিশ্রণ করে রেসিপিটি ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে
পরিবেশন করা রেসিপির ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। ঝোলের কালার দেখে লোভ লেগে গেল। কুমড়ো বড়ির সাথে মৃগেল মাছের রেসিপি তৈরি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার হাতের রান্না বলে কথা