আলু টমেটোর সমন্বয়ে ছোট মাছের রেসিপি
আজ - বুধবার
কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছেন সকলের। আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মহান সৃষ্টিকর্তার নাম মুখে রেখে উপস্থিত হলাম আপনাদের মাঝে সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য, আশা করি আমার এই রান্নার উপস্থাপনা আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে। আর এই পোষ্টের মধ্য থেকে জানতে পারবেন আমি কিভাবে রান্নার কাজ সম্পন্ন করেছি। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে, রান্নার কার্যক্রম শুরু করি।
১. | ছোট মাছ | এক পোয়া |
২. | পেঁয়াজ কুচি | ৬ পিস |
৩. | রসুন কুচি | ১ পিস |
৪. | কাঁচা মরিচ | ১৭ পিস |
৫. | সয়াবিন তেল | ৭৫ গ্রাম |
৬. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৭. | মরিচের গুঁড়া | আধা চা চামচ |
৮. | হলুদের গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
৯. | ধনিয়া গুড়া | পরিমাণ মতো |
১০. | পানি | পরিমাণ মতো |
১১. | পাকা টমেটোর ফালি | ৪ পিস এর |
১২. | আলু | ৩ পিস |
প্রথমে চুলার পাড়ে উপস্থিত হলাম। চুলা অন করে কড়াইটা বসিয়ে দিলাম। এরপর কড়াইয়ের মধ্যে সয়াবিন তেল নির্দিষ্ট পরিমাণে ঢেলে দিলাম। সোয়াবিন তেল কিছুটা সময় ধরে একটু গরম হয়ে গেল।
এখন কড়াইয়ের মধ্যে ঝাল পেঁয়াজের কুচি গুলো সহ ঝাল হলুদের মসলা ও লবণ সমস্ত দিয়ে দিলাম। তেলের মধ্যে এই সমস্ত মসলাগুলো ভাজি হতে থাকলো।
এবার মসলাগুলোর উপরে আলুর ফালি গুলো দিয়ে দিলাম।
আলুর ফালি গুলোর উপরে টমেটোর ফালি গুলো দিয়ে দিলাম।
এর কিছুক্ষণ পর আবার ছোট মাছগুলো কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিলাম।
এখন সমস্ত মসলা ও তরকারির উপাদান গুলো একত্রে মিক্সচার করতে থাকলাম। একদিকে চুলা জ্বলতে থাকলো আরেক দিকে চামচ দিয়ে আমি সমস্ত উপাদান উলটপালট ভাবে মিক্সচার করতে থাকি। আর এভাবে কিছুটা সময় অতিবাহিত হতে থাকে।
এরপর কড়াইয়ের মধ্যে এক কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে দিলাম। তারপর কড়াইটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। বেশ কিছুটা সময় ধরে কড়াইয়ের মধ্যে সমস্ত উপাদান সিদ্ধ হতে থাকলো।
অনেকক্ষণ সিদ্ধ করার পর কড়াই থেকে ঢাকনাটা হেটিয়ে নিলাম। এরপর আবারো হালকা ভাবে সমস্ত উপাদান গুলো মিক্সচার করে দিলাম। ঝাল হলুদ লবণ সহ সমস্ত উপাদান যেন ভালোভাবে যুক্ত হয়ে সিদ্ধ হতে পারে।
এরপর একটি পর্যায়ে কড়ায়ের সমস্ত পানি শুকিয়ে আসতে থাকলো। ততক্ষণে আমি পরীক্ষা করে দেখে নিলাম ঝাল লবণ ঠিকঠাক আছে কিনা। আর এভাবেই একটি মুহূর্তে আমার রান্নার কার্যক্রম শেষ হয়ে আসলো।
রান্না শেষ হয়ে গেলে চুলা অফ করে দিলাম, কড়াই থেকে রান্না তরকারি একটি গামলার মধ্যে উঠিয়ে নিলাম। আর এভাবে আমার রান্নার কাজ শেষ হয়ে যায়।
পরিবেশন
খাবার টাইমে পরিবারের সবার সাথে আমার রান্না করা এই সবজির সমন্বয়ে ছোট মাছের রেসিপি ভাগাভাগি করে নিলাম। পরিবারের সবাই আমার এই রান্নাকৃত সুন্দর রেসিপি পেয়ে অনেক খুশি হল। আর এভাবেই ছোট মাছের সুস্বাদু রেসিপি বণ্টনের কাজ সম্পন্ন হল।
Photo device | Itel vision 1 |
---|---|
বিষয় | সুস্বাদু মাছের রেসিপি |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আসলে এই ধরনের রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি প্রিয়। কেমন না ছোট মাছ দিয়ে এই ধরনের রেসিপি যেহেতু আমি এর আগে খেয়েছি তাই আমি এর স্বাদ জানি। এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই
আজকের কাজ সম্পন্ন
বেশ মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার তৈরি করা সুন্দর এই রেসিপি দেখে খুশি হলাম। বড়ই লোভনীয় ও রুচি সম্মত ছিল আপনার এই রেসিপি।
বেশ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে।
টমেটো আলু দিয়ে ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজার হয়েছিল। অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে।
আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম
আমি ছোট মাছ খেতে অনেক ভালোবাসি। শীতকালে আবার টমেটো দিয়ে সুন্দর করে টকটক ছোট মাছের তরকারি রান্না করা হয় খেতে যা অমৃতের মতো লাগে! আপনার রান্না আর পরিবেশন দেখেই বুঝা যায় রান্নাটা অনেক সুস্বাদু।এই মাছ খেলে এমনিতেই আমদের শরীরের অনেক উপকার হয়।আপনার রান্নার প্রতিটি ধাপ সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লেগেছে।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ
টমেটো দিয়ে সুস্বাদু ছোট মাছের এই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন।। রেসিপি পরিবেশনটা আমার কাছে ভালো লেগেছে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি
ছোট মাছ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। সেই সাথে টমেটো এবং আলু দিয়ে মজাদার একটি চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপিটি তৈরি করার রন্ধন প্রণালীও খুবই সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। যা দেখেই ভীষণ ভালো লাগলো। এরকম স্বাস্থ্যকর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
আলু দিয়ে ছোট মাছ রান্না খেতে হবে খুব পছন্দ করি।আজকে আপনি আলু ও টমেটো দিয়ে ছোট মাছের মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছে।নিশ্চয়ই খেতে খুবই মজা হয়েছিল।মজাদার এই রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।
শীতকাল হলো সবজির রাজ্যকাল হিসেবে বলা হয়। কারন শীতের সময় প্রচুর পরিমাণে নিত্য নতুন শাকসবজি পাওয়া যায়। আজকে আপনি টমেটো ছোট মাছ দিয়ে দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটা দেখে বেশ ভালো লাগছে নিশ্চয়ই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে আপু। ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই সুস্বাদু ছিল
ছোট মাছগুলো আলুর সাথে রান্না করলে খুবই ভালো খেতে লাগে। আপনি দেখছি আলু টমেটো দিয়ে চমৎকারভাবে রান্না করেছেন। রান্না সব থেকে বড় পাওনা হলো রান্না যখন মানুষ তৃপ্তি ভরে খায়। আপনার বাড়ির সবাই যে ভালোবেসে খেয়েছে এটাই কিন্তু আপনার প্রাপ্তি।
একদম ঠিক কথা বলেছেন