লাইফস্টাইল: ডাঃ হামজা ভাইয়ের বিয়ের কেনাকাটা || চতুর্থ পর্ব
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম আমাদের প্রিয় খালাতো ডাক্তার ভাইয়ের বিবাহ উপলক্ষে আমার অনুভূতিমূলক পোস্ট। আমি বেশ কিছু পর্বে নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ভাইয়ার বিবাহর বিস্তারিত অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। আজকে আমি হামজা ভাইয়ের বিবাহের চতুর্থ পর্ব শেয়ার করতে চলেছি। যেখানে পাত্রীর জন্য এক্সট্রা শাড়ি কেনা অনুভূতি ব্যক্ত করব।
মেয়ের জন্য বিয়ের শাড়ি মেয়ের মার জন্য প্রিন্টের শাড়ি কেনা শেষ। এই মুহূর্তে মেয়ের ভাবির জন্য সেলোয়ার কামিজের পিচ নিতে হবে,এমন মুহূর্তে হঠাৎ হামজা ভাইয়া বলে বসলো ও মেয়ের বিয়ের শাড়ি চেঞ্জ করার জন্য নরমাল একটা শাড়ি নিতে হবে যে। আসলে একটা এক্সট্রা শাড়ি নিতে হবে এটা আমাদের তো মনেই ছিল না। এখনকার মেয়েরা তো এক্সট্রা শাড়ি পড়ে না তারপরেও প্রয়োজন রয়েছে। এইজন্য আবারো দোকানের ছেলেটাকে বলা হলো একটা দেখার মত শাড়ি বের করতে। ছেলেটা শুরু করল এক্সট্রা শাড়ি বের করা। প্রথমে ভাইয়া আমার কাছে প্রশ্ন করলেন কেমন শাড়ি নিলে সবচেয়ে ভালো হবে। তখন বললাম এমন একটা শাড়ি নিয়ে যেটা পরে আপনি তাকে ঘুরাতে নিয়ে যেতে পারবেন। তখন ছেলেটাকে বলা হল এমন শাড়ি বের করতে যেটা রং উঠবে না বা চোখে ধরার মতো থাকবে। যাই হোক ছেলেটা খুঁজতে থাকলো।
সে একটার পর একটা বের করে দেখাতে থাকলো আমাদের। এরপর সিদ্ধান্ত নিলাম মেয়ে কেমনটা পছন্দ করে। মেয়ে যেমনটা পছন্দ করবে সেটাই নিয়ে যাওয়া উত্তম হয়। তাই আবারও মেয়ের বড় বোনের কাছে ফোন দেওয়া হলো। এখানে কালো রংয়ের শাড়িটা সুমন ভাইয়ের চোখে ধরলো। উনি মনে মনে ভেবে বললেন এই শাড়িটা নিলে চেঞ্জ করার পর বাড়িতেও যেমন পড়তে পারবে পরবর্তীতে বাইরে কোথাও গেলে পরে যেতে পারবে। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল অনেক সুন্দর একটা শাড়ি। ফর্সা মানুষের জন্য এমন কালার বেশি মানায়। তবে দেখা গেল শাড়িটার দাম ২৫০০ টাকার মতো বলছিল। এদিকে মেয়ের কাছে যখন ফোন দেয়া হলো তখন এই শাড়িটা রেখে অন্যান্য শাড়ি যখন বের করতে ছিল সে সবগুলো দেখানো হলো।
বিভিন্ন ডিজাইনের বিভিন্ন কোম্পানির সুন্দর সুন্দর শাড়ি বের করতে থাকল দেখে আমার খুবই পছন্দ হচ্ছিল সব। আসলে ছাড়ি হচ্ছে মেয়েদের অন্যরকম ভালো লাগার পোশাক। আমরা যতই বানান বানান থ্রি পিস পড়ে থাকি না কেন, শাড়িতে একটা মেয়ের সৌন্দর্য বেশি দেখায়। কিন্তু সমস্যা শাড়ি পরলে মাঝেমধ্যে গায়ের যেকোন স্থান বের হয়ে যায় এটাই প্রবলেম। আর শাড়ি পরলে কাজ কাম করা ঝামেলা। তবুও শাড়ি সবচেয়ে ভালো লাগার পোশাক। তাই এখানে যখন সুন্দর সুন্দর শাড়িগুলো বের করে দেখাচ্ছিল তখন খুব ইচ্ছে হয়েছিল নিজের জন্য নেয়া হোক। কিন্তু দীর্ঘদিন তোর শাড়ি ব্যবহার করা হয় না। তাই আর কি করার।
মেয়েকে যখন দেখানো হলো এক্সট্রা শাড়ি হিসেবে তার কোনটা পছন্দ হচ্ছে। তখন সে সমস্ত শাড়িগুলো দেখে কালো শাড়িটা পছন্দ করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল আলোচনা সাপেক্ষে কারো শাড়িটা বাদ পড়ে গেল। শাড়িটা সুন্দর হলেও একটু পাতলা রয়েছে। তাই এরপরে এ সমস্ত শাড়ি গুলো বের করতে থাকলো। অতঃপর লাস্টের ফটোতে যেই শাড়িটা দেখতে পাচ্ছেন এটাই আমরা সবাই চয়েজ করলাম। এরপর সেটার দাম দর ঠিক হয়ে গেল। তারপর সেটা প্যাকেট করে আমাদের বাজার করা ব্যাগে দিয়ে দিলেন। এরপর লিস্ট থেকে এক্সট্রা শাড়ির নামটাও ক্রস করে দিলাম। আর এভাবেই পাত্রের জন্য এক্সট্রা শাড়ি কেনার কাজ শেষ হয়।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | হামজা ভাইয়ের বিয়ে |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আজকে আবারো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন হামজা ভাইয়ার বিয়ের কেনাকাটার মুহূর্ত। খুবই ভালো লাগলো নতুন আরো একটি পোস্ট দেখতে পেরে। চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আমজাদ ভাইয়ার বউয়ের জন্য কিনা সেই এক্সট্রা শাড়ির বিষয়টা। পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আগামীতে আরো সুন্দর পর্ব নিয়ে আসব।