গল্প :- চুরি করে ভাগ করতে গিয়ে ঝগড়া।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব চুরি করে ভাগ করতে গিয়ে ঝগড়া চোরদের। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব চোরদের একটি ঘটনা। আমাদের পাশের বাড়ির কয়েকটা ছেলে আছে তারা দিনের বেলা ভদ্রলোক রাতের বেলা ভয়ংকর চোর। এবং আমাদের বাড়ির এক ভাতিজার ঘরে বিগত একমাস আগে চুরি হয়েছে। মূলত আমার ভাতিজাটি দোকান আছে ব্যবসা করে। এবং মোটামুটি তার কাছে ভালোই টাকা-পয়সা আছে। এবং আমার এই ভাতিজার ঘর হচ্ছে টিনের। এবং ভাতিজার নাম হচ্ছে শাহাদাত। শাহাদাতের ফ্যামিলিতে একটি ছেলে একটি মেয়ে। ছেলে মেয়ে দুটি এখনো ছোট।
সেই প্রতিদিন রাত্রে দশটা বাজে বাড়িতে আসে। এবং ব্যবসার টাকা-পয়সার সব সাথে নিয়ে আসে। রাত্রেবেলা খাওয়া-দাওয়া করে তারা পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লো। মূলত রাতে ঘুমানোর সময় তাদের ঘরের মাঝখানের লাইট জ্বালিয়ে রাখে। হঠাৎ করে রাত্রেবেলা তার ঘরে চোর আসলো। তবে মাটি কেটে গর্ত করে ঘরের ভিতরে গেল চোর। এবং আমার ভাতিজার নগদ টাকা পয়সা ও মোবাইল এবং ঘরে কিছু দামি জিনিস চোরে নিয়ে গেলেন। তবে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখতেছে তার ঘরের দরজা খোলা এবং ঘরের পিছনে মাটির গর্ত। এবং তাড়াতাড়ি শাহাদাত দেখতেছে তার টাকা পয়সা আছে কিনা।
দেখতেছেন তার টাকা পয়সা এবং ঘরে অনেক জিনিস নেই। এবং ভাতিজা ও তার ওয়াইফ অনেক কান্নাকাটি করতে লাগলো তাদের টাকা-পয়সার সব চোর নিয়ে গেলেন। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে চোরকে সে বুঝতে পারে নাই। এবং রাত্রে কখন চোর এসে তার টাকা পয়সা নিয়ে গেল সেটিও জানেনা। অনেক জানার চেষ্টা করেছে চোর সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে চোরদের টাকা নিয়ে তিন জনে ঝগড়া লেগে গেলেন। মূলত তারা শাহাদাতের ঘরে চুরি করার পর টাকাগুলো একজনের কাছে রাখলো। যখন এই টাকাগুলো ভাগ করতে লাগলো। একজন চোর বলতেছে টাকা আরো বেশি ছিল।
এখন তুমি আমাদেরকে কম টাকা দিচ্ছো। এত কষ্ট করে টাকা চুরি করেছি তুমি টাকাগুলো মেরে দিলে। এবং অন্যান্য জিনিসপত্র যেগুলো চুরি করেছে সেগুলোর হিসাবও কম দিয়েছে। এতে করে তিনজন চোর অনেক ঝগড়া লেগে গেলেন। এবং চোরদের বাড়িতে আরো কিছু লোক আছে। তারা জিজ্ঞেস করতেছে কি কারন তোমরা ঝগড়া করতেছো। আবার চোর তিনজন চাচাতো ভাই জেঠাতো ভাই। হঠাৎ করে একটি চোর বলতেছে চুরি করা টাকা নিয়ে ঝগড়া করতে লাগলো। যখন এই কথা বলার সাথে সাথে কয়েকজন লোক কথাগুলো শুনে গেল। এরপর জিজ্ঞেস করতেছে কোথায় থেকে কার টাকা আবার কার ঘরে চুরি করেছে। প্রথমে তিনজন নীরব থাকলো চোর।
এরপর অন্য এক চোর বলতেছে তুমি এখনো টাকা পয়সা সঠিক হিসাব দাও না হলে সবাইকে বলে দেব। এই কথা বলার পর অন্য চোর কিছুই বলতেছে না। এক পর্যায়ে একজন চোর বলে দিল এই শীতের মধ্যে শাহাদাতের ঘরে আমরা তিনজন চুরি করেছিলাম। কিন্তু টাকাগুলো আমাদেরকে দিচ্ছে না সঠিকভাবে। এই কথা শোনার পর ওই বাড়ির একজন লোক এই কথা ভাতিজা শাহাদাতকে বলে দিলেন। এরপর শাহাদাত আরো কয়েকজন লোক গিয়ে তিনজন চোরকে ধরে ফেললেন। তারপর তারা তিনজন আবার অস্বীকার করতে লাগলো। তারা এ ধরনের কথা বলে নাই তাদের মধ্যে কোন ঝগড়া হয়নি। এবং তাদের বাড়ির লোকগুলো তাদেরকে শত্রুতামি করে বিপদে ফেলানোর চেষ্টা করতেছে। যখন একবার তাদের মুখ থেকে চুরির কথা শোনা গেল সবাই তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো।
এক পর্যায়ে শাহাদাত বলতেছে যে তাদের ঘরে চুরি করার উদ্দেশ্য বলেছে ঠিক করেছে তার বিচার হবে। বাকি দুজনকে সে মাফ করে দেবে। এই কথা শোনার পর তাড়াতাড়ি দুইজন বলতেছে সোহাগ আমাদেরকে বুদ্ধি দিয়েছে চুরি করার জন্য। তার কথা মতে আমরা দুইজন তার সাথে চুরি করতে গেলাম। আমাদের কোন দোষ নেই। সম্পূর্ণ দোষ সোহাগের। এই কথা বলার সাথে সাথে সবাই তাদের চুরির কথা শুনে গেল। এরপর সবাই তিনজনকে বেদে এলাকার মাতবরকে খবর দিলেন। এবং তাদের সামাজিকভাবে বিচার হলো। এবং ভাতিজা শাহাদাতের টাকা-পয়সার সব ফেরত দেবে। এবং শরীর অপরাধে তাদের মাথার চুলগুলো কেটে দিল। আসলে চোর গুলো নিজেদের কারণে ধরা খেলে অনেক দিন পর। কারণ তারা নিজে নিজে চুরি কথার কথা বলে দিল। এই হচ্ছে চুরি করার বাস্তব একটি গল্প।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1878001249309561078?t=547RxQuOitAYqgbV3SLLlg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
অনেক সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো বিস্তারিত করে। অনেক সময় এমন ঘটনা শুনতে পাওয়া যায়। চুরি করে ছিনতাই করে বা ডাকাতি করে ভাগাভাগি করার সময় ঝগড়া সৃষ্টি হয়, মারামারি সৃষ্টি হয়। যাই হোক খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এত সুন্দর একটি বাস্তব গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাইয়া। আপনার এই গল্পটি আমাদের চোখে সমাজের কিছু দুষ্ট প্রবণতা তুলে ধরেছে। একই সঙ্গে চোরদের নিজেদের ভুল ও ঝগড়ার কারণে ধরা পড়ার ঘটনাটি বেশ চমকপ্রদ ছিল। আশা করি, এমন গল্পগুলো আমাদের সবাইকে সতর্ক হতে এবং সচেতনভাবে জীবনযাপন করতে অনুপ্রাণিত করবে।
বেশ দারুন একটা গল্প আপনি শেয়ার করেছেন। এই জাতীয় গল্পগুলো বাস্তবধর্মী। বাস্তবে এমন অনেক ঘটনা শুনতে পাওয়া যায়। দারুন একটি ঘটনা লিখে প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।