গল্প :- একজন দুখিনী মা। (প্রথম পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব একজন দুঃখিনী মায়ের গল্প। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার খুব ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর পরিবারের কথা। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নাম হচ্ছে মোশারফ। মোশারফ এর মা বাবা দুইজন চাচাতো ভাই জেঠাতো বোন। শুনেছি তারা ছাত্র জীবনে প্রেম করে বিয়ে করেছেন। ওই সময় তাদের পরিবারে তাদের বিয়েকে সুন্দরভাবে মেনে নিয়েছে। মোশারফদের ফ্যামিলিতে দুইজন ভাই এবং দুইজন বোন। তাদের ফ্যামিলি বলতে গেলে এক সময় খুব সুখী এবং ভালো ফ্যামিলি ছিল।
তবে দুইজন ভাই দুই বোন হওয়ার পর হঠাৎ করে তাদের ফ্যামিলিতে মা-বাবা ঝগড়া লেগে গেল। এক সময় মোশারফ এর মা-বাবা আলাদা হয়ে গেলেন। এবং মোশারফ এর বাবা অন্য জায়গা বিয়ে করে ফেলেছেন। আর মোশারফ এর মা চারটি ছেলেমেয়ে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। তবে মোশারফ এর মায়ের সম্পত্তি ছিল অনেক। এবং মোশাররফের মা চারটি ছেলে মেয়েকে লেখাপড়া করালেন। তবে বোন দুটি বড় ছিল পরিবারে। এবং বোন দুটোকে দেখে শুনে মোশারফ এর মা বিয়ে দিয়েছেন। যদিও বিয়ে দিতে অনেক কষ্ট হয়েছে।
বিশেষ করে বাবা যেই ফ্যামিলিতে থাকে না অন্য জায়গায় বিয়ে করে থাকে এইসব ফ্যামিলিতে মেয়েদের বিয়ে হতে একটু কষ্ট হয়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে দেখা যায়। এদিকে মোশারফ এবং তার ভাই নাম হচ্ছে সুমন। মোশারফ এবং সুমন দুইজন দুই বছরের বড় ছোট। তবে মোশারফ এর মা ছেলেমেয়েদেরকে লেখাপড়া করানোর সময় অনেক জায়গায় সম্পত্তি বিক্রি করে ফেলেছে। যদিও ওই সম্পত্তিগুলো মোশারফ এর নানার ছিল। এরপর মোশারফ এবং সুমন দুইজনকে তার মা পড়ালেখা কমপ্লিট করালেন। মহিলাটি অনেকেই বলতো আমি জীবনে অনেক কষ্ট করেছি আমার ছেলে দুটি বড় হয়ে মানুষ হয়ে আমাকে সুখে রাখবে।
এরপর মোশারফ এর মায়ের এক আত্মীয় বড়ই ব্যবসা ছিল। তার অনেক টাকা পয়সা আছে। ওই লোকের কাছে গেলেন তার ছেলেদেরকে চাকরি দেওয়ার জন্য। তবে প্রথমে সেই বলেছে তার একজন ছেলেকে সেই চাকরি দিবে। কারণ ছেলে দুটি লেখাপড়া করে প্রতিষ্ঠিত। যদিও ওই সময় ছেলে দুটি বেকার ছিল। এরপর তার মায়ের সুপারিশে মোশারফ এর চাকরি হয়। তা আবার সরকারি প্রতিষ্ঠানে। এর ফলে মোশারফ এর মা চিন্তা করলো ভালো মেয়ে দেখে তাকে বিয়ে করাবে। কারণ ছেলে সরকারি চাকরি করে আর ঘরে মানুষ নেই এই কারণে।
কারণ মোশারফ এর বোন দুটিকে বিয়ে দেওয়ার পর স্বামীর বাড়িতে চলে গেল। অন্যদিকে মোশারফ ঢাকাতে থাকে চাকরির কারণে। আর সুমন ফেনীতে থাকে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করে। যদিও এক বছর পর ভাইয়ের ওইখানে তারও চাকরি হলো। ওই সময় ভাই দুইজন ঢাকাতে থাকেন। এরপর মোশারফ এর মা অনেক দূরে একটি মেয়েকে পছন্দ করলেন কারণ ছেলের জন্য। যদিও এলাকাতে বিয়ে করাতে গেলে বাবার পরিচয় নিয়ে অনেক কথা বলে। এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যে কথাবার্তা বলে ওই মেয়েকে তার ছেলের জন্য ঠিক করলেন। এবং বিয়ে করালেন ওই মেয়েকে।( চলবে)
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/Jamal7183151345/status/1856951321154523293?t=_mJTkFHC6qHQNcjJn8Ep1A&s=19