ভ্রমণ :- ভাগিনা ভাগ্নিদের কে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ঈদের সময় ভাগিনা ভাগ্নিকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। ঈদের পরে আমার ভাগিনা ভাগ্নি আরো অন্যান্য মেহমান আসলো। আমাদের বাড়ি গ্রামাঞ্চলে এই কারণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই আত্মীয়-স্বজন আসলে। আর কোন আত্মীয় আসলে তারা নদীর ধারে ঘুরতে যায় তাদের কাছে নদীর ধার ঘুরতে গেলে ভালো লাগে। আর ঈদের দুই দিন পরে আমার ভাগিনা ভাগ্নি ছোট বড় সবাই আমাদের বাড়িতে আসলো। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া পর বড় ভাগ্নি বলতে লাগলো ঘুরতে যাবে। তারপর আমি নিজেও ফ্রি ছিলাম এই কারণে বললাম ঠিক আছে। তারপর সবাইকে বললাম রেডি হওয়ার জন্য।

এরপর বিকেল বেলা সবাইকে একসাথে নিয়ে ঘুরতে বাইর হলাম। আর আমাদের বাড়ির পাশে খালি ফসলের মাঠ অনেক আছে। আর আমাদের এইদিকে এমনিতে ঘর বাড়ি কম। বিশেষ করে গরমের সময় একটু বাইরে ঘুরতে গেলে ভালো লাগে বাতাস গুলো। তারপর আমরা বাড়ির সামনে দিয়ে মাদ্রাসার সামনে এসে চিন্তা করলাম কোথায় ঘুরতে যাব। এরপর আমরা ঠিক করলাম চর এলাকায় যাব এবং নদী দেখতে যাব। ওই সময় আমরা রাস্তার উপর কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। যদিও এখন ফসলের মাঠ নেই ফসল করে নাই অনেকে এখনও। এরপর আমরা কিছুক্ষণ ওই জায়গায় ঘুরাঘুরি করলাম। তবে আমাদের বাড়ি থেকে নদীর ধারে যাওয়ার পথে একটি জায়গা আছে।

ওইখানে বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপন করেছে এবং ওইখানে আবহাওয়া খুব ভালো লাগে বসলে। তারপর আমি আমার ভাগিনা ভাগিনা সবাইকে বললাম ওই জায়গা যাবো ঘুরতে। যদিও আমাদের বাড়ি থেকে দশ মিনিট লাগে জায়গাটিতে ঘুরতে যেতে। আমরা কথা বলতে বলতে সবাই ওই জায়গায় গেলাম ঘুরতে। এবং ওইখানে গিয়ে অনেকক্ষণ বসলাম এবং আরো কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। এবং গরমের কারণে অনেক মানুষ গরু ছাগল ওই গাছের নিচে বেঁধে রাখে। কারণ গরমের সময় গরু ছাগল রোদের মধ্যে থাকলে ক্ষতি হয়। আর এমনিতে গরমের সময় রাস্তাঘাট মানুষ কম দেখা যায় গরমের কারণে। মজার বিষয় হচ্ছে যাওয়ার সময় আমার মেয়ে মাইসুন ও সাথে গেল।

আর ওইখানে গিয়ে যখন আমি নিচে রাখলাম সে অনেক খুশি হল এবং দৌড়াদৌড়ি করতে লাগলো। যদিও গরু এবং ছাগল দেখে সে অনেক ভয় পেয়েছে। যখন গরুগুলো একটু আওয়াজ করে সে তাড়াতাড়ি দৌড়ে এসে আমার কোলে উঠে যায়। আর ভাগিনা ভাগ্নির সবাই অনেকক্ষণ সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করলো। বিশেষ করে গরমের সময় এরকম গাছের নিচে বসলে আবহাওয়া খুব ভালো লাগে। তবে ওই জায়গা আশেপাশে কোন দোকান নেই। আর নদীর তারে যখন আমরা গেলাম তখন দেখি নদীতে শুধু কাদামাটি। আর যখন নদীর ধারে গেলাম তখন নদীতে কাদা মাটি। কারণ জোয়ার আসলে পানি উপরে আসে।

আমাদের এইখানে সুইজগেট ভেঙে যাওয়ার পর থেকে নদীতে কাদামাটি বেশি থাকে। আর কাদামাটি গুলো যখন পায়ের সাথে লাগে সহজে সাফাই করা যায় না। আর নদীর ধারে সরকারি গাছ রোপন করেছে যদিও গাছগুলো এখন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে লবণ পানির কারণে। তবে আমার ভাগিনা নদীর কাদামাটিতে নামলো একটু দেখার জন্য। আর আমরা বাকি সবাই নদীর উপরে ছিলাম। এবং কিছুক্ষণ ওইখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। আর নদীর পানি একদম নদীর মাঝখানে সামান্য ছিল। এরপর আমরা সবাই আবার বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। সত্যি বলতে ঐদিন ভাগিনা ভাগ্নিকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে মোটামুটি ভালো লাগলো। আর গরমের সময় বিকেল বেলা ঘুরতে গেলে এমনিতে ভালো লাগে। এই হচ্ছে ভাগিনা ভাগ্নিকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

device : Huawei

_{লোকেশন}

আমার পরিচয়

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।