গল্প :-কিছু ভুলের কারণে নিজেকে মানুষের কাছে অপরাধী করা।( প্রথম পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করব। গল্পটি আমার আপন জেঠাতো ভাইয়ের জীবনের কাহিনী। আমার আপন জ্যাঠাতো ভাই তার নাম হচ্ছে সবুজ। সে আমার মেজ ভাইয়ের ক্লাসমেট এবং ভালো বন্ধু। সে বয়সে আমাদের থেকে প্রায় 8 থেকে 9 বছরের বড়। তবে চলার পথে বড় ভাই এবং ছোট ভাইয়ের ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে আমার জেঠাতো ভাই এর ফ্যামিলি গরিব ছিল। অনেক কষ্ট করে জীবনে লেখাপড়া করে মানুষ হয়েছে। সেই লেখাপড়া করা অবস্থায় অন্যের বাড়িতে লজিং থেকে পড়ালেখা করল। এবং তাদের পরিবারে সবথেকে বেশি লেখাপড়া করেছে সবুজ ভাই। এবং পড়ালেখা করে সে ভালো অবস্থা তৈরি করতে পারলো।
আমরা যে স্কুলে লেখাপড়া করেছিলাম প্রথমে সেই ওই স্কুলের শিক্ষাগতা করলেন। যদিও সে অল্প সময় আমাদের স্কুলের শিক্ষকতা করেছিলেন। তারপর সে আমাদের পাশের এলাকায় একটি স্কুলের শিক্ষকতা করেছিলেন। ওই সময় ওই স্কুলের এক ছাত্রীকে দেখে তার ভালো লেগেছিল। যদিও ওই মেয়েটির বাবা অনেক পয়সাআলা এবং মেয়েদের আত্মিক অবস্থা খুব ভালো ছিল। এরপর সেই ঢাকা একটি ভালো কোম্পানিতে চাকরি হল সবুজ ভাইয়ের। তারপর কিছুদিন যাওয়ার পর হঠাৎ করে সেই ব্যাংকে ভালো একটি চাকরি পেলেন। চাকরি পাওয়ার পর তার জীবন অনেক সুন্দর হয়ে গেল। যখন সেই ব্যাংকে চাকরি করলে তখন তার মা এবং বড় ভাই তাকে বিয়ে করানোর জন্য মেয়ে দেখতে লাগলো।
এবং মেয়ে দেখলে সেই বলে মেয়ে তার পছন্দ হয় নাই। তারপর সবুজ ভাই বলল তার পছন্দের মেয়ে আছে। এবং ঠিকানা দিলেন দেখার পর পরিবারেরও পছন্দ হলো। পছন্দ হওয়ার পর দিন তারিখ ঠিক হয় ওই মেয়েটিকে সবুজ ভাই বিয়ে করলেন। মেয়েটি তার বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে। বিয়ে হওয়ার পর যখন সেই আমাদের বাড়িতে আসলো। তখন থেকে সে কারো সাথে কথা বলে না এবং কি নিজের মতো করে চলার চেষ্টা করে। এতে করে পরিবার এবং বাড়ির লোক গুলোর কাছে সবুজ ভাইয়ের ওয়াইফের কথা অনেক রকম শোনা গেল। এভাবে দিন যেতে যেতে হঠাৎ করে তাদের পরিবারে একটি নতুন অতিথি আসলো। এবং সবুজ ভাইয়ের একটি ছেলে সন্তান হয়েছে।
এবং ছেলেটির নাম অনেক বড় করে অনুষ্ঠান করে রাখা হলো। এরপর সবুজ ভাই তার পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে গেলেন। ঢাকা যাওয়ার পর সেই তার পরিবার নিয়ে ওখানে আছেন। মাঝেমধ্যে তার ভাই বোন গুলো সবুজ ভাইয়ের বাসায় গেলে তার ওয়াইফ সবুজ ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করে। এবং বিভিন্ন ধরনের কথা বলে সবুজ ভাইকে। গ্রামের লোক গুলো যেন তার বাসায় না যায়। একদিন সবুজ ভাইয়ের একজন শিক্ষক ঢাকায় যাওয়ার পর তার বাসায় গেলেন। এবং ঐ শিক্ষককে শুনিয়ে শুনিয়ে তার ওয়াইফ আজেবাজে কথা বলতে লাগলো সবুজ ভাইয়ের সাথে। সাথে সাথে তার শিক্ষকটি তার বাসা থেকে চলে আসলো।
এরপর একদিন সবুজ ভাইয়ের বড় ভাই তার ওয়াইফ কে নিয়ে তার বাসায় গেলেন। যদিও ওই সময় সবুজ ভাই বাসায় ছিল না। বাসায় যাওয়ার পর সবুজ ভাইয়ের ওয়াইফ তাদের সামনে আসলেন না এবং কথা বললেন না। সবুজ ভাইয়ের সন্তানটি ছোট ছিল সে এসে দুষ্টামি করছেন জেঠার সাথে। এদিকে সবুজ ভাই আসার পর সে সবুজ ভাইকে বলল তার ভাই ভাবিকে এখন বাসা থেকে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। যদিও সবুজ ভাইয়ের বড় ভাই বাসায় কয়দিন ছিলেন। তবে তার বড় ভাই বলতে লাগলো সবুজ ভাই চাকরি করে এসে বাসায় রান্না বান্না করে তার ওয়াইফকে খাওয়া-দাওয়া করায়। এবং পরিবারের কাপড় ও তার ছেলের কাপড় গুলো সবুজ ভাই চাকরি থেকে এসে পরিষ্কার করতে হয়। এবং কি বাসার কাজগুলো সবুজ ভাই নিজের করতেন। (চলবে)
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1888205888944758814?t=aLbin4ogRqNVNNI939Wkyw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গল্পটি একটি বাস্তব জীবনের উত্থান-পতনের পরিচয় দেয়, যেখানে সবুজ ভাইয়ের কঠোর পরিশ্রম এবং সংকল্পের মাধ্যমে তিনি নিজের জীবনে সফলতা অর্জন করেছেন। কিন্তু এর পাশাপাশি, তার সংসারে সম্পর্কের জটিলতা এবং স্ত্রী ও পরিবারের মধ্যে অশান্তি বাড়ে। এটি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হতে পারে যে, জীবনে সাফল্য অর্জন করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সম্পর্কের সৌহার্দ্য এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বাইরের সাফল্য নয়, অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আপনি আপনার চাচাতো ভাই সবুজ ভাইয়ের জীবন কাহিনী আমাদের মাঝে পোস্ট করেছেন। আসলে মানুষ যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন চেষ্টা করে ভালো জায়গা বিয়ে করতে। হয়তোবা সবুজ ভাই পছন্দের মানুষটিকে বিয়ে করলেন। তবে আমার মতে তার ওয়াইফ তার সাথে এবং তার আত্মীয়-স্বজনের সাথে খারাপ ব্যবহার না করলেও পারতো। আবার অনেক সময় দেখা যায় কিছু পুরুষ মানুষ আছে সংসারের কথা বা ওয়াইফের কথা কারো সাথে শেয়ার করে না। দেখি আপনার পরের পর্বে জানতে পারবো সবুজ ভাইয়ের জীবনের কাহিনী।
আপনার গল্পটি পড়ে সবুজ ভাইয়ের জন্য অনেক খারাপ লাগলো। আসলে ভাইয়া এমন লোক এখনো আমাদের সমাজে অনেকে আছে। তবে সবুজ ভাই তাহলে বেশ চাপে আছে তাহলে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।