সুস্বাদু পাকান পিঠা তৈরির রেসিপি (১০% প্রিয় লাজুক খ্যাকের কের জন্য)।
আসসালামু আলাইকুম/আদাব। আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন। আমি @jahidulislam01 বাংলাদেশ থেকে আজকে শনিবার মার্চ (১২-০৩-২০২২)
আসসালামুয়ালাইকুম আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন। আমি অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে চিনি দুধ ময়দা দিয়ে সুস্বাদু পাকন পিঠা তৈরির রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি চলুন শুরু করা যাক।কিভাবে পাকান পিঠা তৈরীর রেসিপি করা হয়েছে। সবগুলো বিষয় নিয়ে খোলামেলা ভাবে আলোচনা করা হলো। কীভাবে রেসিপি তৈরি করা হয়েছে। তাহলে চলুন শেয়ার করা যাক ধাপে ধাপে রেসিপি তৈরির আলোচনা..............
ময়দা চিনি দুধ দিয়ে পাকান পিঠা তৈরীর রেসিপির উপাদান।
১. ময়দা
২. চিনি
৩. দুধ
৪. সোয়াবিন তৈল
৫. পানি
৬ লবণ
৭. দারচিনি
৮. এলাচ
ধাপ-১
প্রথমে আমি ময়দা গুলা একটা চালনের ওপর উঠিয়ে ময়দা গুলা ভালোভাবে চেলে নিলাম। এরপরে আমি ময়দা গুলা একটা নির্দিষ্ট গামলায় রাখলাম।
ধাপ-২
এরপরে আমি পাকান পিঠা তৈরির যাবতীয় জিনিস একত্রে একটা পাত্রে নিয়ে নিলাম। সেগুলো হলো দুধ ময়দা লবণ চিনি পানি ইত্যাদি। এরপরে আমি হাত দিয়ে কোনরকম নাড়াচাড়া করলাম।
ধাপ-৩
এরপর আমি একটা নির্দিষ্ট পাত্রের ভিতর দুধ পানি ঢেলে দিলাম। তারপরে হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে ভালোভাবে উপকরণ গুলো মিক্সট হয়ে গেল। এরপর আমি পাকান পিঠা তৈরির জন্য একটা প্রস্তুতি নিলাম। আমরা জানি এই পাকান পিঠা সাধারণত শীতকালে বেশি বানানো হয়ে থাকে। কারণ এই পিঠা শীতে বানালে অনেকদিন ভালো থাকে। যদি আমরা একটি ভালো বক্সে রাখতে পারে। এই পিঠা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে বাঙালিরা সাধারণত এই পিঠা শীতকালে বানিয়ে থাকে।
ধাপ-৪
এরপর আমি চুলার উপরে একটা লোহার কড়াই বসিয়ে নিলাম। বসানোর পরে কড়াই এর উপরে সোয়াবিন তৈল ঢেলে নিলাম। নেওয়ার পরে তৈল গরম করে নিলাম। গরম করার পরে যেটা করা হলো। আমরা পিঠা তৈরির একেবারে মূল ধাপে চলে এসেছে চলো ধাপগুলো সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হোক।
ধাপ-৫
গরম তৈলের ওপরে অরঙে করে ময়দা ঢেলে দেয়া হলো। ঢেলে দেওয়ার পরে আস্তে আস্তে পিঠার একটা রং ধারণ করল। এই পিঠা খেতে অনেক মজা হয়। তেমনি দেখতে অনেক সুন্দর। বাঙ্গালীদেরএকটা পরিচিত পিঠা হল পাকান পিঠা আর এই পিঠা মূলত শীতকালে বানানো হয়। বাঙালিরা শীতকালে নানান ধরনের পিঠা পুলি তৈরি করে থাকেন।তার ভিতরে জনপ্রিয় হলো পাকান পিঠা।
ধাপ-৬
গরম তৈলের ওপরে মিক্স করা ময়দা দেওয়ার পরে সুন্দর একটা পিঠা দেখা যাচ্ছে। টগবগে সয়াবিন তৈলের ভেতরে ময়দা দেওয়ার পরে আস্তে আস্তে পিঠাটা ফুলে উঠলো। ফুলে ওঠার পরে ভাজা ভাজা সুন্দর একটা কালার এসেছে এবার যেটা হলো পাকান পিঠা। একটা খুন্তি দিয়ে পাকান পিঠা উল্টিয়ে দেওয়া হল কারণ দুই পিঠ সমানভাবে ভেজে নিতে হবে। তাহলে একদিক ভাজা থাকবে এবং অন্য পিঠে কাছা কাছা হয়ে থাকবে। তাই আমাদের একটা খুন্তি দিয়ে পাকান পিঠা গরম তৈলের ওপরে নাড়াচাড়া করে দিতে হয়। যেন পিঠাগুলো সুন্দরভাবে ভাজা হয়ে থাকে।
ধাপ-৭
এরপর খুন্তি দিয়ে পিঠা তুলে একটা নির্দিষ্ট গামলায় রাখা হলো। এভাবেই পর্যায়ক্রমে একটি একটি করে পাকান পিঠা ভাজা হচ্ছে । গরম পাকান পিঠা খেতে অনেক মজা লাগে এবং ঠান্ডা হয়ে গেল। খেতে ভালো লাগে আর এই পিঠা অনেকদিন ভালো থাকে যদি আমরা যত্ন করে একটা বক্সের ভেতর রাখি। আর এই পাকান পিঠা বাঙালিদের কাছে একটি জনপ্রিয় পিঠা নামে পরিচিত। আর এই পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে যদি আপনারা এই পিঠা বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন এই পিঠা খেতে কত মজা। আর যারা এই পিঠা সম্পর্কে জানেন না বা আজও তৈরি করে খাওয়া হয়নি আশা করি তারা এই পিঠা তৈরি করে খেলে বুঝতে পারবেন আসল এই পিঠা অনেক মজার।
ধাপ-৮
পিঠা তৈরি একেবারে শেষের দিকে। পাকান পিঠা গামলার ওপরে রাখার পর। যখন পাকান পিঠা গুলো ঠান্ডা হয়েছে তখন একটা ধারালো ছুরি দিয়ে এই পিঠা টুকরো টুকরো করা হয়েছে। টুকরো টুকরো করার পরে চিনি দুধ এবং লবণ একত্রে মিশানোর পরে। পাকান পিঠা গুলো মিশানো দুধের ভিতর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এর অনেকক্ষণ পরে দেখা যাচ্ছে পিঠাগুলো ফুলে ফুলে অনেক মোটা হয়ে গেছে। এই পিঠা দুধ দিয়ে ভেজে খেতে পারেন আবার শুকনাও খাওয়া যায়। সাধারণত দুধ দিয়ে খেলে অনেক অনেক মজার হয়ে থাকে। দুধ দিয়ে ভেজানোর পরে পিঠাগুলো অনেক নরম হয়ে গিয়েছে এবার খাওয়ার সময় পিঠাগুলো মুখে দিলে মনে হয় রসমালাই খাচ্ছি। তাই আমরা এই পাকান পিঠা তৈরি করলে সাধারণত দুধ দিয়ে ভেজিয়ে খেয়ে থাকি।
ধাপ-৯
রেসিপির একেবারে শেষ পর্যায়ে। পাকান পিঠা তৈরি করতে অনেক ভালোবাসি কারণ পাকান পিঠা তৈরি করতে অনেক ভালো লাগে। এবং খেতে অনেক মজার পাকান পিঠা প্রতিবছর আমাদের বাসায় দুই থেকে তিনবার তৈরি করা হয়। কারণেই পাকান পিঠা আমাদের বাসার সবাই পছন্দ করে। কারণ এই পিঠা খেতে আসলে অনেক মজার। বাঙালি নিজে হাতে পিঠা তৈরী করে খেতে আরো বেশি আনন্দ বোধ করে। তাই তারা নিজে হাতে পিঠা তৈরী করে খেয়ে থাকেন। পাকান পিঠা বাঙালির কাছে একটি জনপ্রিয় পিঠা। পিঠা তৈরি করে আমরা যদি মনে করি বাজারে বিক্রি করব তাও অনেক লাভবান হওয়া যায়। কারণ এই পিঠা সবাই পছন্দ করে থাকে। তাই পাকান পিঠা সম্পর্কে আমি আপনাদের মাঝে। আমার পাকান পিঠার সাথে একটা সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি ইনশাল্লাহ।
সুস্বাদু পাকান পিঠা তৈরির অনেক মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার। আপনার এই পাকান পিঠা তৈরীর রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল সেই সাথে অনেক লোভনীয়। এরকম রেসিপি দেখলে নিজেকে কন্ট্রোল করা সত্যিই কষ্টসাধ্য। সুন্দরভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে। আমার মনে হয় সব বাঙালিরই পছন্দের একটি খাবার পিঠা। পাকান পিঠার রেসিপি খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। এই পিঠাগুলো তেলে ভেজে তারপর দুধে ভেজানো হলে তুলতুলে হয়ে যায় ।যা খেতে অনেক মজা লাগে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ওয়াও ভাইয়া নতুন একটা রেসিপি দেখলাম। দেখে বেশ ভালো লাগল, আমার আগে জানা ছিল না এই রেসিপি সম্পর্কে। আজ সব শিখে নিলাম।উপস্থাপনা অনেক সুন্দর ভাবে করেছেন আপনি ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল☺️☺️
ওয়াও, খুবই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমি শুধু তেলের পিঠা খেয়েছি কিন্তু সেটাকে আবার দুধে ভিজিয়ে এভাবে খাওয়া হয়নি। যেহেতু দুধ দিয়ে বানিয়েছেন তার জন্য বুঝাই যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছে। আপনার রেসিপি দেখে খুবই ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পাকন পিঠা আমি অনেকদিন আগে খেয়ে ছিলাম এই পিঠাটি সত্যি খেতে খুবই সুস্বাদু। আপনার তৈরি করা পাকন পিঠা গুলো দেখতে খুবই মজার মনে হচ্ছে ভাইয়া আমারতো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। রেসিপিটি আপনি খুবই গোছালোভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ।
এই পিঠা আমি আগে কখনো দেখিনি আমরা এভাবে তেলে ভেজে পিঠা খেয়েছি তবে ওই পিঠকে তেলেভাজা পিঠা বলে ।পাকান পিঠা আমরা অন্য পিঠাকে বলি।আপনি পিঠাগুলো প্রথমে তেলে ভেজে তারপরে দুধের ভিতর দিয়ে দিলেন জানিনা কেমন লাগে খেতে নতুন একটি রেসিপি আপনার কাছ থেকে শিখলাম।
পাকান পিঠা খুবই মজার। কিন্তু অনেক দিন হলো আমি খাই নি এই পিঠা। নিজেও পিঠা বানাতে তেমন পারি না। আর আমার কাছে কেমন যেন নিজের বানানো পিঠা খেতে ভালো লাগে না। অন্য কেও বানিয়ে দিলে তা খেতেই বেশি ভালো লাগে। 😄
যাইহোক ভাইয়া আপনার রেসিপিটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর এবং সহজ ভাবে উপস্থাপন করেছেন। প্রতিটি ধাপের নিখুঁত বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
ওয়াও তেলের পিঠার মত বানিয়ে, তারপর আবার ভিজিয়ে রাখা হয়।আমি তেলের পিঠা খেয়েছি।কখনো এভাবে খাওয়া হয় নি।ভালো লাগলো রেসিপিটা,তবে ভিজানোর ছবি দিলে ভালো হয়তো।ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রাম বাংলার ঐতিহাসিক খাবার হচ্ছে পিঠা, আপনি বেশ চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের সামনে নতুন এক ধরনের পিঠা, বেশ ভালো লাগলো আপনার উপস্থাপন পিঠা গুলোকে কেটে দুধের শিরায় ভিজিয়ে রেখেছেন এতে করে পিঠার স্বাদ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়
পিঠা খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পিঠার রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। ভাইয়া এই পিঠার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আমিও মজার পিঠা তৈরি করা শিখে নিলাম। অনেক মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।