ঘরোয়া উপায়ে পারফেক্ট টমেটোর সস তৈরি
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
রেসিপিটির সর্বশেষ ফটোগ্রাফি
- পাকা টমেটো
- তেঁতুলের ক্যাচ আপ
- পেঁয়াজ
- রসুন
- আদা
- দারচিনি
- শুকনো মরিচ
- লবণ
- বিট লবণ
- চিনি
- কর্নফ্লাওয়ার
- ভিনেগার
এখানে আমি পাকা লাল টমেটো গুলো নিয়েছি যেন টক না থাকে আর রং টা যেন সুন্দর আসে।
এবার আমি টমেটো গুলো ভালো ভাবে ধুয়ে কুচি করে কেটে নিলাম।
এখানে আমি প্রায় আড়াই কেজি টমেটো টুকরো করে কেটে নিলাম।
এবার টমেটো গুলোর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, আদা কুচি, দারচিনি এবং শুকনো মরিচ দিয়ে দিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এরপর পাতিল টা চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। আর টমেটো গুলো রান্না করে নিয়েছি।
টমেটো কিছুটা গলে গেলে একটা ট্রে তে আমি টমেটো গুলো ঠান্ডা করে নিলাম।
এবার টমেটো গুলো ঠান্ডা করে ব্লেন্ড করে নিয়েছি। তারপর টমেটো ঝাঁঝরি তে ছেকে নিলাম। টমেটোর পিউড়ি নিলাম বাকি অংশ গুলো ফেলে দিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এখানে টমেটোর পিউরি গুলো নিলাম।
এখানে আমি কর্নফ্লাওয়ার এবং ভিনেগার একসাথে মিক্স করে নিলাম। তারপর টমেটোর পিউরির মধ্যে এগুলো দিয়ে দিলাম। তারপর আবারো এটা চুলায় বসিয়ে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো চিনি এবং বিট লবণ।
![]() | ![]() |
---|
তারপর দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো লবণ এবং কিছুটা তেঁতুল। বিচি ছাড়া শুধুমাত্র তেঁতুল টুকো ব্যবহার করেছি। এটা দিলে একটু টক ফ্লেভার টা খেতে ভালো লাগে।
![]() | ![]() |
---|
এবার বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে রান্না করে নিয়েছে
অনেকটা ঘন হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলবো। এরপর এটাকে ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করব।
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
খুব ভালো লাগলো আপু আপনি টমেটো সস কিভাবে নিতে হয় সেই রেসিপিটি শেয়ার করলেন। অনেক সময় নিয়েছি কিন্তু পারফেক্ট নিতে পারি নাই বলে নষ্ট হয়ে গেছে। আশা করি আপনারা আজকের শেয়ার করা রেসিপিটি টমেটো সসের বেশ ভালো একটি রেসিপি। সবার উপকারে আসবে এই রেসিপিটি। যেহেতু এখন টমেটোর সিজন সবাই সস সংগ্রহ করতে পারবে।
ঠিকই বলেছেন আপনি এখন টমেটো সব জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে চাইলে এখন রেসিপিটি তৈরি করে সংগ্রহ করতে পারব। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
https://x.com/IsratMim16/status/1890780886326514079?t=eNLTs0WZi6_XAE41YXaKvA&s=19
আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন ইংরেজিতে আমাদের একটা টপিক ছিল প্রসেসিং। সেখানে বেশিরভাগ সময় টমেটো সস মেকিং এর ধাপগুলো লিখতে হত। আজ আপনার সস তৈরির রেসিপি দেখে সেই কথাই মনে পড়ল।
খুব সুন্দর বানিয়েছেন আপু। আমি কোনদিন বানাইনি বাড়িতে টমেটোসস। দেখি কোন একদিন বানিয়ে দেখব৷
হ্যাঁ সম্ভব হলে একবার বানিয়ে দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
টমেটো সস এখন আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি জিনিস হয়েছে।প্রতিটি বাড়িতেই কোনো না কোনো কাজে ব্যবহৃত হয় বিশেষ করে সন্ধ্যায় মুখরোচক কোনো খাবারের সাথে টমেটো সস না হলে চলেই না।দোকানের কেনা হসে অনেক ধরনের ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।যদি সামান্য উপকরণ দিয়ে খুব সহজে বাসায় বানিয়ে খাওয়া যায় তাহলে তো কোনো কথাই নেই।আপু আপনি অনেক সুন্দর করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে টমেটো সস তৈরি করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো আমরা চাইলে যে কেউ এভাবে তৈরি করে নিতে পারবো।অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন যা সকলেরই কাজে লাগবে।ধন্যবাদ আপু।
এটা ঠিক বলেছেন এখন বেশিরভাগ বিকেলের নাস্তা গুলো সাথে টমেটো সস দিয়ে খাওয়া হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
টমেটো সস এভাবে বাসায় তৈরি করলে যখন ইচ্ছে তখন খাওয়া যায়। আর বাইরে থেকে কিনে আনা টমেটো সস বাড়িতে তৈরি করার মত এতটা স্বাস্থ্যসম্মত হয় না। আপনি খুবই সুন্দরভাবে টমেটো সস তৈরি করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপু রেসিপি। ধন্যবাদ আপু।
আমার রেসিপি তৈরি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুবই আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঘরোয়া উপায়ে পারফেক্ট টমেটোর সস দেরি করার খুবই সুন্দর পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। টমেটো সস সব সময় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি যেভাবে টমেটো সস তৈরি করেছেন তা দেখে খুবই ভালো লাগছে।
আপনাদের ভালো লাগাই আমার এই কাজের সার্থকতা। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
সাস্থ্যসন্মতো উপায়ে চমৎকার সুন্দর পারফেক্ট টমেটো সস বানিয়েছেন আপু। অনেক লোভনীয় হয়েছে। সস গুলো মনে হচ্ছে কেনা সস। খুবই সুন্দর বানিয়েছেন এবং সস বানানো পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধাপে ধাপে সস তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চমৎকার মন্তব্য করেছেন আপনি। চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঘরোয়া উপায়ে আপনি তো দেখছি বেশ সুন্দর করে টমেটোর সস তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা পোস্ট দেখে কিন্তু আমরা বেশ সহজেই নিজের জন্য সস বানিয়ে নিতে পারবো। ধন্যবাদ এমন দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকাঊ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে আপু নিজের তৈরি খাবার সব সময় সাস্থ্যসন্মত হয়। আপনার সস তৈরি করা দেখে অনেক ভালো লাগলো। নিশ্চয় অনেক মজার ছিল। ধাপ গুলো সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ সস গুলো খেতে আমার কাছে ভালই লেগেছে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।