গ্রামীণ পরিবেশে বিয়ের দাওয়াত
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
বেশ কয়েকদিন আগে একটা পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছিলাম ঈদ এর পরদিন আমি আমার নানুর বাড়ী গিয়েছিলাম। আসলে বছরে একবার আমাদের যাওয়া হয়। আর ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি যাওয়া হয় কারণ আমাদের সব আত্মীয় রাও আসে। বিশেষ করে কাজিন দের সাথে সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রত্যেকবার গেলে চার থেকে পাঁচ দিনের বেশি আমাদের ওইখানে থাকা হয় না। তবে এবার বিয়ের অনুষ্ঠান থাকার কারণে প্রায় দশ দিন ছিলাম নানুর বাড়িতে। গ্রামের পরিবেশে অনেকদিন হলো বিয়ের দাওয়াত খাওয়া হয়নি। বিয়েটা ছিলো আমার এক মামার। হলুদ অনুষ্ঠান সেভাবে করা হয়নি। আর আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছি মেয়েদের বাড়িতে গিয়ে। আমার নানুদের ওইদিকে গ্রামীণ প্রকৃতি সেভাবে দেখা যায় না আশেপাশে অনেকটাই উন্নত। সেখানে গিয়ে এরকম পরিবেশ দেখে সত্যিই আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বিয়ের প্যান্ডেলের চারপাশের পরিবেশ টা অসাধারন ছিলো। সেদিনের ওয়েদার টাও খুব সুন্দর ছিলো। আর আকাশ টাও সাদা মেঘে দারুন লাগছে দেখতে।
আমরা সকাল সকাল রেডি হয়ে বের হলাম। এরপর সবাই গাড়িতে উঠে মেয়েদের বাড়িতে গেলাম। যাওয়ার সময় মাঝরাস্তায় বরের গাড়ি সাজানো হয়। তবে সেখানে পৌছানোর পর গ্রামের পিচ্চিরা সব ফুল ছিঁড়ে ফেলেছিলো পরে আবারও সাজানো হয়েছে। যাইহোক, সেখানে যাওয়ার পর আমরা হালকা নাস্তা করে নিলাম। এরপর বউ কে সাজানোর পালা। আমি এবং আমার দুই জন কাজিন মিলে বউ কে সাজালাম। আসলে গ্রামে সেভাবে পার্লারে সাজানো হয় না। আর সেই ফ্যামিলি টা ধার্মিক হওয়ার কারণে সেভাবে কোনো ছবি শেয়ার করিনি।
গ্রামীণ পরিবেশে হলেও খাওয়া দাওয়ার আয়োজন বেশ ভালো ছিল। পোলাও, রোস্ট, খাসি, চিংড়ি, চাটনি, ভর্তা, টমেটো সস। সেই সাথে ড্রিঙ্কস, মিষ্টি এবং দই ছিলো শেষে। আমরা পুরো সময় টা বেশ এনজয় করেছি। গ্রামীণ পরিবেশ টা দারুন লাগছিলো দেখতে। তাই আমরা বেশ কিছুক্ষণ আশেপাশে ঘুরে দেখলাম। ছবি তুললাম। বেশ দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি।
আমি ইসরাত জাহান মিম। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত, কারণ বাংলা আমার অহংকার। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে ছোটবেলা থেকেই অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি আমার পড়াশুনা এইচ এস সি পর্যন্ত করেছি এবং এখন পরবর্তী পর্যায়ের ভর্তি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X - promotion
ভেবেছিলাম বিয়ের গেইটের সুন্দর সুন্দর কিছু আপুদের ছবি দেখতে পারবো, সেটা দেখা আর কপালে জুটলো না,হা হা হা। কারন আপনি সেই মূহর্তের ছবিই শেয়ার করেন নি। তবে আপনার চারপাশের ছবি গুলো দারুন লেগেছে। মামার বিয়েতে গিয়ে ভালোই খাওয়া করে এনজয় করেছেন। ধন্যবাদ।
আহা,ভাইয়ার কত শখ🤣🤣
উনারা অনেক ধার্মিক তাই কেউ ছবি তোলেন না। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার মামার বিয়ে খাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। এখন গ্রামীণ পরিবেশে বিয়ে হলেও খাবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আইটেম থাকে। আমার কাছে মনে হচ্ছে এখন আস্তে আস্তে গ্রামগুলো অনেক উন্নত হয়ে যাচ্ছে কিছুটা শহরের মতো। বিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি গ্রামীন পরিবেশের দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। দেখি খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
এটা একদম ঠিকই বলেছেন। শহরের পাশাপাশি গ্রাম গুলো এখন অনেক উন্নত হয়েছে। সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
বর্তমান মনে হয় বিয়ের সিজন চলতেছে।প্রতি বছর ঈদুল আজহার পর শুরু হয়ে যায় বিয়ের একটি সিজন। আপনি দেখছি আপনার মামার বিয়ের মধ্যে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন। আসলে গ্ৰামের বিয়ে গুলোর মধ্যে একটু বেশি মজা হয়।আর আপনার মামার বিয়ের মধ্যে দেখছি অনেক কিছুর আয়োজন করেছিল।
এটা ঠিক গ্রামের বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ করতে একটু বেশি ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
শহরে যেগুলো বিয়ে হয় সেগুলো তো সেজেগুজে যাওয়া এবং খেয়ে দেয়ে ফিরে আসায় হচ্ছে কাজ। কিন্তু গ্রামীন বিয়ের মধ্যে বেশ ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। যেহেতু গ্রামের সব আত্মীয়-স্বজনরা আসেন গ্রামীণ স্টাইলে বিয়ে শাদি হয় সবাই বেশ সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারেন। নানুর বাড়িতে গিয়ে তাহলে অনেক আনন্দ করলেন বিয়ে বাড়িতে গেলেন। আর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।
নানু বাড়িতে গিয়ে আসলে এবার অনেক আনন্দ করেছি। এবং আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
গ্রামে আপনার মামার বিয়ে খাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে গ্রামের বিয়েই বেশি ভালো লাগে। সেখানে খাওয়া-দাওয়া ছাড়াও গ্রামীন পরিবেশে ঘোরাঘুরি করা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
নানু বাড়ি গিয়েছিলেন ঈদের পর।আর মামার বিয়ের জন্য ১০ দিনের মতো থাকা হয়েছিল আপনাদের।মামার বিয়ে গ্রামীন পরিবেশে খুব বেশী ইনজয় করেছেন।কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে সময় কাটিয়েছেন আশাকরি।অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
গ্রামীন পরিবেশে বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার দারুন কিছু অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপু। বিয়ে খাওয়ার সাথে আশেপাশের সুন্দর পরিবেশ গুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছেন আপু। গ্রামে গেলে এমনিতেই মনটা ভালো হয়ে যায়। আরো যদি গ্রামের এই সুন্দর পরিবেশের মধ্যে বিয়ে খাওয়া যায় তাহলে আনন্দটা আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আপনি খুবই মজা করেছেন আপনার মামার বিয়েতে তা দেখে খুবই ভালো লাগলো।আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমরাও কিছুটা আনন্দ উপভোগ করতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মামার বিয়েতে দারুন মজা করেছেন আপু।আসলে মামা বাড়ির সবার অনুষ্ঠানগুলোতে একটু বেশিই মজা হয়।ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ছিল গ্রামীণ পরিবেশের।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।