দেশী চিংড়ি ও আলু দিয়ে পুঁইশাক রান্না || 10% to @shy-fox
হ্যালো বন্ধুরা, আমি তানিয়া আক্তার, ঢাকা বাংলাদেশ হতে।
দেশীয় সকল জিনিষগুলো খেতে একটু বেশী স্বাদ অনুভুত হয় আমাদের। দেশী বলতে এখানে প্রাকৃতিকভাবে তৈরী হওয়া কিছুকে বোঝায় কিন্তু কৃত্রিম উপায়ে নানা পদ্ধতি অবলম্বন করে যা উৎপন্ন করা হয় সেগুলোকে আমরা চাষের বলে গন্য করি। তুলনামূলকভাবে দেশীয় জিনিষগুলো আমরা বেশী পছন্দ করি কিন্তু সেগুলো সব সময় পাওয়া যায় না। আবার অনেকেই দেশীয় জিনিষ খুব একটা পছন্দ করেন না, কারন তারা বিদেশী ও চাষের জিনিষগুলো খেতে বেশী পছন্দ করেন। উপরটা চকচক দেখেই তারা সব কিছু পছন্দ করেন।
দেশীয় চিংড়ি মাছগুলো দেখতে একটু কালচে হয় এবং খুব বেশী বড় হয়না তাদের আকার। তাই সাইজে ছোট হওয়ায় অনেকেই সেগুলোকে পছন্দ করেন না। কারন তাদের পছন্দ চাষের সেই বড় বড় চিংড়ি মাছ। যেহেতু আমি এখন গ্রামের সাইডে থাকছি আমার শশুড়বাড়ীতে, তাই দেশীয় অনেক কিছুর স্বাদ এখন নিতে পারছি। মাঝখানে কিছু দিন আমি কার্যকর ছিলাম না, কিন্তু এখন চেস্টা করছি আস্তে আস্তে আবার নিয়মিত হওয়ার।
আজ দেশীয় চিংড়ি মাছ দিয়ে পুঁইশাক রান্নার রেসিপি শেয়ার করবো সকরের সাথে। এই পুঁইশাকগুলোকেও দেশীয় বলতে পারেন কারন এগুলো মাচায় বড় করা হয়েছে। গ্রামের বাড়ীতে সবাই বাড়ীর নিকটে মাচা তৈরীর মাধ্যমে সবজি বাগান করে থাকেন সেগুলো খেতে অনেক স্বাদের হয় কারন সার কিংবা কিটনাষক দেয়া হয় না বলে।
উপকরণ
- পুঁইশাক
- চিংড়ি মাছ
- আলু
- পেয়াজ
- কাচা মরিচ
- হলুদ
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে আমি পুইশাকগুলোকে পরিস্কার করে কেটে নিয়ে অন্য একটি পাত্রে রেখেছি, তারপর একটি পাতিল চুলায় দিয়ে তেল, কাঁচা মরিচ ও পেয়াজ দিয়ে একটু ভাজা ভাজা করে নিয়েছি।
এরপর পেয়াজগুলোর সাথে হলুদ দিয়ে এর মাঝে চিংড়িমাছ গুলো পরিস্কার করে একসাথে একটু কষা করেছি।
এখন এগুলোর সাথে আলু কেটে আরো কিছু সময় কষা করার জন্য রান্না করবো।
এখন পরিস্কার করে রাখা পুঁইশাকগুলো এর মাঝে ঢেলে দিয়ে একত্রে রান্না করবো।
যদি শাকগুলো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেই, তাহলে শাকগুলো তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হবে এবং একটু নেড়েচেড়ে দিতে হবে মাঝে মাঝে।
এখন এগুলোর সাথে কিছু পানি মেশাবো এবং কিছু সময় আরো রান্না করবো।
আলুগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে তরকারির পাতিল নামিয়ে নেব। দেখুন একটি বাটিতে নিয়েছি আমি। আমাদের আজকের পুঁইশাক দেশী চিংড়ি মাছ ও আলু দিয়ে রান্না হয়ে গেলো।
ফটোগ্রাফি ডিভাইস: রেডমি এসটু স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
Follow Me On Other Sides
পুঁইশাক তাও আবার দেশী চিংড়ি সাথে আলু ফি, বাহ! জমে যাবে আজ পুরাই। চমৎকার রেসিপি, এটা আমারও অনেক পছন্দের। ধন্যবাদ
দেশি চিংড়ি মাছ দিয়ে অনেক স্বাদের হয়।
খুব সুন্দর রেসিপি বানিয়েছেন আপু।দেশী চিংড়ির অনেক স্বাদ খেতে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু তোমাকেও।
এটা খুব খাই,অস্বাভাবিক ভালো লাগে।আপনার রান্নাও দেখে মনে হচ্ছে খুব ভালো হয়েছে।
রান্নাটি ভালো হয়েছিলো, বাড়ীর সবাই বলেছে।
খুবই সুন্দর এবং সুস্বাদু একটা রেসিপি। মাঝে মাঝে বাসায় এই ধরনের খাবার খেতাম। কিন্তু ম্যাচে এসে খাওয়া হয় না। শুভ কামনা রইল আপু।
কেন আপনারা একটু চেষ্টা করলেই রান্না করতে পারবেন।
হুম। এটা অবশ্য ঠিক।
খুব মজার ও স্বাদের রেসিপি। আমার কাছে খুব প্রিয়। ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর রেসিপি শেয়ার করেছেন। দারুন বানিয়েছেন রেসিপিটি।
আমার বাড়ীর সবাইও পছন্দ করে।
ওমানের থেকে মিস করছি এই খাবারগুলো। এখানে ফ্রেশ শাক-সবজি এবং চিংড়া মাছ পাওয়া যায় না।
ধন্যবাদ সুন্দর এই রেসিপি শেয়ার করার জন্যে।
তাহলে তো আপনি চিংড়ি মাছের স্বাদ নিতে পারেন না। ধন্যবাদ আপনাকেও ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।
হুম। এটা সত্য। দেশে গেলে হয়ত খাওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
আজকে আমার বাসায় কি তরকারি রান্না করা হয়েছে। সত্যিই অনেক মজার একটি তরকারি অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এই সময় অনেকেই চিংড়ি দিয়ে পুঁইশাক রান্না করে খান।
অনেক সুন্দর খুবই সুন্দর এবং সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।