রেসিপিঃ চ্যাং মাছ ভুনা🥘
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে যে রেসিপিটি শেয়ার করব এটি অনেকেরই অপরিচিত বা অজানা একটি খাবার। আবার যারা গ্রামে থাকেন তারা এটি চিনে থাকবেন। এটি হচ্ছে চ্যাং ভুনা। চ্যাং মাছ টাকি মাছের আরেকটি জাত। এই মাছ যখন ধুয়ে পরিষ্কার করা হয় পুরো মাছের শরীর লাল হয়ে যায়। গুণীজনরা বলে থাকেন এই মাছ খেলে শরিরে প্রচুর পরিমাণে রক্ত হয়। গুগলে সার্চ দিয়েও এই মাছ সম্পর্কে অনেকগুলো তথ্য পেলাম।এই চ্যাং মাছের প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে।যাইহোক মাছগুলো আমার নানু বাড়ি থেকে আনা ছিল। একদম দেশি, পুকুর থেকে ধরা।
আজ আমি চ্যাং মাছ ভুনা বানিয়েছিলাম। আর ভাবলাম রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। হয়তো নতুন একটি রেসিপি সাথে পরিচিত হতে পারবেন। আমি কিভাবে রেসিপি বানিয়েছি সেটা আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করার চেষ্টা করব। আশা করছি ভালো লাগবে। তো চলুন রেসিপি শুরু করা যাক।
উপকরণ |
---|
চ্যাং মাছ |
পেঁয়াজ কুচি |
জিরা বাটা |
আদা রসুন বাটা |
হলুদ গুঁড়া |
মরিচের গুঁড়া |
গরম মসলা |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে সবগুলো উপকরণ সাজিয়ে নিয়েছি। এরপর প্রথমে মাছগুলো ভাজার জন্য মাছের গায়ে লবন এবং হলুদ গুঁড়া মাখিয়ে নিয়ে চুলায় একটি ফ্রাইপেন বসিয়ে তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে গেলে তেলের মধ্যে মাছগুলো দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে কড়াইয়ে তেল দিয়ে গরম মসলার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে পেঁয়াজ কুচি গুলো হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে একে একে বাটা মশলা এবং গুঁড়া মসলা দিয়ে পেঁয়াজের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৪
এবার সামান্য একটু পানি দিয়ে মসলাটা বেশ কিছুক্ষণ ধরে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
মসলা কষানো হয়ে গেলে আগে থেকে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে মসলার সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৬
এবার পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পানি ফুটে ওঠা পর্যন্ত রান্না করে নিয়েছি। এবার একটু পাতলা ঝোল থাকা অবস্থায় আমি রান্না টা নামিয়ে নিয়েছি।
রেসিপির ফাইনাল লুক
রেসিপি ভিডিও টি দেখতে নিচে ক্লিক করুন। 🙏
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি আপনারা কে কে এই রেসিপিটা খেয়েছেন অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন আর যারা এখনো এই মাছ চিনে থাকেন না কিংবা খাননি তারা অবশ্যই একবার হলেও খেয়ে দেখবেন আশা করছি এটা আপনারা পছন্দ করবেন। আমার এই রেসিপিটি কিন্তু খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আমার বাসার সবাই খুবই মজা করে খেয়েছে।যাইহোক আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি।দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে।সবাই ভালো থকবেল এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাছগুলো ভাজি করার পরে সবচেয়ে বেশি লোভনীয় লাগছিল তবে পরিবেশন করার পরেও বেশ লোভনীয় লাগছে কারণ রেসিপির কালার টা বেশি সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে যেহেতু রেসিপিটা দেখতে অনেক সুন্দর সেহেতু খেতেও সুস্বাদু হবে এটা স্বাভাবিক যাই হোক তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
চ্যাং মাছ দেখে তো টাকি মাছের মতই লাগছে। এই মাছের নাম কখনো শুনেছি বলে মনে পড়ছে না। যাইহোক যে মাছই হোক না কেন রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। এভাবে যে কোন মাছ রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। কালারও খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে।
গ্ৰাম এলাকা গুলোর মধ্যে চ্যাং মাছ একটু বেশি দেখতে পাওয়া যায়। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে চ্যাং মাছ ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা চ্যাং মাছ ভুনা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
আমাদের গ্রামের পুকুরে এক সময় প্রচুর চ্যাং মাছ হতো। তখন কিন্তু আমরা খেতাম না, যে সমস্ত জেলেরা এসে মাছ ধরে নিয়ে যেত তারা এমনিই নিয়ে চলে যেত। আপনার এই লোভনীয় রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে ইস সেই দিনগুলোতে মা ঠাকমারা কেন চ্যাং মাছ রান্না করত না!
খুব সুস্বাদু হয়েছিল নিশ্চয়ই রান্নাটা?
এই চ্যাং মাছ কি টাকি মাছ নাকি আপু? খুব মজার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। যেকোনো মাছ এভাবে একটু ঝাল ঝাল করে ভুনা করলে ভালোই লাগে খেতে। রেসিপির কালার টা দেখেই তো লোভনীয় লাগছে। গরম ভাতের সাথে ঝোল মেখে খেতে ভালোই লাগবে। সুস্বাদু এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
টাকি মাছের মতোই দেখতে এই চেং মাছ ভীষণ সুস্বাদু। আমাদের এলাকায় কথিত আছে চ্যাং মাছের তরকারি নয় ভেজে খেতে হয় আর সেজন্য আমি ভেজে খেয়েছি অনেকবার। অনেক সুস্বাদু রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে । ধাপে ধাপে চ্যাং মাছ রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
আমাদের পুকুরগুলোতে এ মাছ মাঝে মধ্যে পাওয়া যায়। এই মাছগুলো আমাদের এলাকাতেও চ্যাং নামে পরিচিত। তবে অনেক জায়গায় টাকি মাছ হিসেবে পরিচিত। যাইহোক এ মাসের রেসিপি এর চেয়ে ভর্তা বেশি ভালো লাগে আমার।
আপু আপনার কাছ থেকে প্রথম চ্যাং মাছের নাম জানতে পারলাম। তবে দেখতে অনেকটা টাকি মাছের মতোই লাগছে। আপনি চ্যাং মাছের খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার উপস্থাপনা দেখেই লোভ লেগে গিয়েছে। গরম ভাতের সাথে এমন মজাদার মাছ ভুনা খেতে দারুণ লাগে। রেসিপি তৈরির প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।