প্রকৃতির এক নতুন রুপ📸
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। প্রকৃতি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রূপে নিজেকে সাজিয়ে তোলে।যা দেখে আমরা অনেক মুগ্ধ হয়।ছয়টি ঋতুরই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আলাদা আলাদা রুপে নিজেদের সাজায়।যা দেখে আমাদের চোখ জুড়িয়ে যায়, মন শান্ত হয়ে যায়। গ্রীষ্মকালের তীব্র তাপদাহ, বর্ষাকালে বৃষ্টি, শরতের আকাশ, হেমন্তের ফসল, শীতকালের শিশির এবং বসন্তের নানান রকম ফুলের সমারোহ।
আমি যে ঋতু নিয়ে কথা বলব সেটি হচ্ছে হেমন্তকাল। এখন মাঝে মাঝে ধান পাঁকতে শুরু করেছে। কৃষক মনের আনন্দে তার ফসল ঘরে তুলছেন। আমার বাড়ির দুইটা বাড়ির পর থেকেই ফসলের মাঠ। যতদূর যাবে শুধু ধান ক্ষেত। আজকে যখন বাসার বাহিরে বের হয়েছিলাম দেখলাম প্রত্যেকটা জমির ধান পেকে গিয়েছে। বিকেলবেলা ছিল যখন রোধ করেছে জমিতে মনে হচ্ছে না সোনা দেখছি সত্যি এগুলো কৃষকের সোনা বটে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আসছে শুক্রবার আমাদের গ্রামে নবান্নের উৎসব ঘরে ঘরে তৈরি হবে নতুন ধরনের চালের পিঠা পায়েস ইত্যাদি। কত বছর নবান্ন দেখিনি।বিয়ের পর প্রথমবার গ্রামের নবান্নের উৎসব দেখছি। এই দিনকে ঘিরে সবার কত শত আয়োজন। অনেকেই তো আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দিয়ে ফেলেছেন।
যাইহোক আমার কাছে এই দিনটা অনেক সুন্দর লেগেছে কেননা আপনারা হয়তো ফটোগ্রাফিরে দেখলে বুঝতে পারবেন সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্যটা কত সুন্দর লাগছে।আমিতো এই সময়টা অনেক উপভোগ করেছি এবং ভাবলাম এটা আপনাদের সাথেও শেয়ার করি। অন্তত যারা শহরে থাকেন আমার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নিজেদের চোখটা জুড়িয়ে নিতে পারবেন।
যাইহোক আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু শুক্রবার আপনাদের ওখানে নবান্নের উৎসব ।ঘরে ঘরে বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলির তৈরি করা হবে । আসলেই এই দিনটা হয়তো অনেক মজার হবে ধন্যবাদ আপু শুভকামনা রইল ।
এরকম সুন্দর গ্রামীণ পরিবেশে সূর্যাস্ত দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। সামনের শুক্রবারে নবান্নোর উৎসব জেনে খুব ভালো লাগলো। সত্যি বলতে গ্রামীণ এই নবান্নের উৎসবে অনেক মজা হয়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নবান্নের উৎসব সম্পর্কে সব সময় পড়েছি তবে কখনো এই উৎসব উদযাপন করতে দেখা হয়নি। গ্রামে থাকলে এরকম আসলে অনেক উৎসব উদযাপন করা যায়। গ্রাম বাংলার নতুন রূপের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ভীষণ সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ভাবি আপনাদের তো নবান্ন উৎসব বেশ তাড়াতাড়ি হয়। আমাদের হতে হতে সেই পৌষ মাসের শেষ। ধান ফলা মাসে প্রকৃতির অন্য রূপ থাকে। ধান পেলে গেলে অদ্ভুত সুন্দর দেখায়। ভালো লাগল আপনার লেখা পড়ে৷
হেমন্তকাল ভীষণ মনোরম একটি ঋতু। এই ঋতুতে প্রকৃতি যেন নতুন রূপে ধরা দেয়। না শীত না গ্রীষ্ম এই ঋতুকে আরো সৌন্দর্য এনে দেয়। সেদিক থেকে দেখতে গেলে আপনার তোলা ছবিগুলি অসাধারণ হয়েছে। এই সময়ের যে ব্যাখ্যা আপনি দিলেন এক কথায় অনবদ্য লাগল। আর আপনার বাড়ি গ্রামে বলে আপনি এত সুন্দর মুহূর্ত গুলির সাক্ষী থাকতে পারেন। আমরা তো ধোঁয়া আর কমপ্লিট এর জঙ্গলে দিন কাটাই।
নবান্ন উৎসবে যোগদান করার জন্য হলেও আপনাদের গ্রামের বাড়িতে এখন আসতে হবে। মূলত নবান্ন উৎসবের নাম শুনলেই পিঠাপুলির কথা মনে পড়ে যায় আর পিঠার লোভনীয়তা যেন মন থেকে সরতেই চায় না হা হা হা।
নবান্ন উৎসব মানে বিভিন্ন রকম আনন্দ। আসলে আপু হেমন্তকাল আসলে তখন ধান পাকা শুরু হয়। আর ফসলের মাঠের দিকে তাকালে মন ভরে যায় ধান দেখলে। যদিও আপনি এই উৎসব অনেক দিন মিস করেছেন। এইবার গ্রামে আছেন আশা করি এ নবান্ন উৎসব করবেন এবং আনন্দ আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।