রেসিপিঃ তালের রসের তেল পিঠা
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব তালের রসের তেল পিঠা রেসিপি। এখন ভাদ্র মাস গাছে গাছে তাল পেঁকেছে। ভাদ্র মাসে গ্রামাঞ্চলে মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে দাওয়াত করা হয় তালের রসের পিঠাপুলি খাওয়ানোর জন্য। এসময় গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার ধুম পড়ে যায়। আমার শ্বশুরবাড়িতে ও প্রত্যেক বছরই দাওয়াত করা হয় তবে এবছর বাড়ি ভেঙেছে জন্য দাওয়াত করা হয়নি। তাতে কি হয়েছে আমরা যেহেতু আছি সবাই মিলে তাদের পিঠা খাব না সেটা তো হতে পারে না। আমার মা তাহলে রসের অনেক মজার মজার পিঠা বানিয়ে থাকেন। তার মধ্যে তালের রসের তেল পিঠা অন্যতম।আশা করছি আজকের এই রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। এইভাবে তালের রস দিয়ে তেল পিঠা বানালে খেতে খুবই মজা হয়।
তো চলুন রেসিপি টা শুরু করা যাক।
উপকরনসমূহঃ |
---|
তালের রস |
দুধ |
ময়দা |
ইস্ট |
চিনি |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে দুধ এবং তালের রস পাতিলে করে চুলায় বসিয়ে গরম করে নিয়ে সেগুলো আবার হালকা ঠান্ডা করে নিতে হবে।
ধাপ-২
এবার একটি বড় বাটিতে পরিমাণ মতো ময়দা নিয়ে দিয়েছি এক চামচ পরিমাণ ইস্ট।
ধাপ-৩
এবার ময়দার সাথে ইস্ট ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মতো তালের রস।
ধাপ-৪
এ পর্যায়ে পরিমাণ মতো দুধ দিয়ে ভালোভাবে সব উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৫
দুধ এবং রসের সঙ্গে ময়দা মেশানো হয়ে গেলে দিয়ে দিতে হবে চিনি। যে যার স্বাদমতো চিনি ব্যবহার করতে পারেন।এবার ভালোভাবে চিনি মিশিয়ে নিয়ে একটা ঘন বেটার তৈরি করতে হবে।
ধাপ-৬
এবার চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে কড়াইয়ে অনেকটা পরিমাণে তেল দিয়ে দিতে হবে। এখানে পিঠাগুলো গোল করার জন্য আমার মা কড়াই এর মধ্যে একটি গোল চামচ বসিয়ে দিয়েছিলেন।
ধাপ-৭
অল্প কিছু বেটার নিয়ে সেই চামচের মধ্যে দিয়ে পিঠাগুলো ভেজে নিতে হবে। এভাবেই সবগুলো পিঠা আমরা ভেজে নিয়েছি।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকে তালের রসের তেল পিঠা রেসিপি।রেসিপিটা কেমন লেগেছে জানাবেন। আপনারা হয়তো ফটোগ্রাফি তে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন পিঠাগুলো কতটা ফুলেছে। আর খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিলো। আমার ছেলে তেল পিঠা খেতে খুবই পছন্দ করে।তাই এই পিঠা ও খুব মজা করে খেয়েছিলো।তো যাইহোক আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী সময়ে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
তালের রসের তেল পিঠা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশনটা আমার ভালো লেগেছে। আমিও তালের বড়া রেসিপি খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনার ধাপগুলো দেখে শিখে নিলাম।
তালের বড়া খেতে আমারও খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
যে কোন পিঠা আমার খুব পছন্দের। তালের পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে আজ আপনি তালের রসের তেল পিঠা তৈরি করেছেন দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে । আপনার তালের পিঠা তৈরি প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। আপনার তালের পিঠা উপস্থাপন দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
যে কোনো পিঠা আমারও পছন্দের। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তালের রস দিয়ে তৈরি করা পিঠা দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না আপু। বিশেষ করে পিঠার কালার এত সুন্দর এসেছে। আর আপনি ভিন্নভাবে তৈরি করলেন দেখে ভালো লাগলো। এভাবে তৈরি করলে খেতে খুবই ভালো লাগবে। সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একবার বানিয়ে খাবেন আপু।বেশ ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
তালের রস দিয়ে তৈরি করা পিঠাগুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে খেতে। আপনি খুব মজার এবং লোভনীয় একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। যদিও এই পদ্ধতিতে তালের পিঠা কখনো তৈরি করা হয়নি তবে আপনার কাছে দেখে ভালো লাগলো। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এত মজার একটা পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। এই পিঠা খেতে খুবই মজার হয়।
তাল পিঠা ভীষণ লোভনীয় ও সুস্বাদু একটি পিঠা।আমার ভীষণ পছন্দের এই তাল পিঠা।তালের ঘ্রাণ ভীষণ ভালো লাগে আমার। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভ লেগে গেলো।ধাপে ধাপে তালের রসের পিঠা রেসিপিটি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর তাল পিঠা রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ আপু তালের ঘ্রান আমারও খুব ভালো লাগে। আর তালের রসের যে কোনো পিঠা তো আমার খুব পছন্দের। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভাদ্র মাসে তালের পিঠা খাবো না এটা তো হয়না।আমার কাছেও তালের পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। পাকা তালের রস দিয়ে যেকোনো পিঠা খেতে দারুণ লাগে। আপনার এমন মজাদার পিঠা দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তালের যে কোন পিঠা খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। আপনার পিঠা দেখে পিঠা খেতে ইচ্ছে করছে। যদিও তা সম্ভব নয় । তাই বাসায় তালের রস আছে একদিন বানাবো। বেশ লোভনীয় লাগছে পিঠাগুলো। ধন্যবাদ মজার পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
একদিন বানিয়ে খাবেন আশা করছি ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তালের রস দিয়ে খুবই চমৎকার একটি পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। আপনার তৈরি করা রেসিপিটি দেখতে বেশ আকর্ষণীয় লাগছে। আপনার তৈরি করা পিঠাগুলো দেখে ভীষণ লোভ লেগে গেল। পিঠার রেসিপিটা এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। যা দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু পিঠাগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মায়ের হাতে তৈরি করা পিঠা খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। তালের রস দিয়ে তৈরি করা পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। আপু আপনি এত সুন্দর করে পিঠা তৈরির পদ্ধতি তুলে করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর গরম গরম পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।
জ্বি আপু মায়ের হাতের রান্নার স্বাদই আলাদা।এই পিঠাও খেতে সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
তালের রসের পিঠাগুলো খেতে বেশ মজা লাগে। অনেক সুন্দর করে মজাদার তালের রসেরপিঠা বানিয়েছেন। সত্য বলতে আপনার তালের পিঠা রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল খাওয়ার জন্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে তালের রসের পিঠা বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।