রেসিপিঃ পটলের খোসা ভর্তা
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। অনেকদিন ধরে আপনাদের সাথে কোন রেসিপি শেয়ার করা হয় না তাই ভাবলাম আজ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব পটলের খোসা ভর্তার রেসিপি। আমি মাঝেমধ্যেই এভাবে পটলের খোসা, শিম, বরবটি ভর্তা বানিয়ে থাকি। আমার বড় জা ঢাকায় থাকেন।ঈদ করতে বাসায় এসেছেন। উনি আসার পর থেকে আমার হাতের নতুন কিছু রান্না খেতে চাইছিলেন। উনি আমার সব রান্নার ভিডিও দেখেন এবং বলেন উনি বাসায় আসলে যেন মজার মজার রেসিপি রান্না করে ওনাকে খাওয়াই।যাইহোক আজ এই পটলের ভর্তা বানিয়েছিলাম সবাই খুবই মজা করে খেয়েছিল এবং প্রশংসা করছিল। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল রেসিপিতে চলে যাই।
উপকরনসমূহঃ |
---|
পটলের খোসা |
পেঁয়াজ কুচি |
রসুন কুচি |
কাঁচামরিচ ফালি |
হলুদ গুঁড়া |
পাঁচফোড়ন |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে পটলের খোসা গুলো ধুয়ে নিয়ে ব্লেন্ডারের জারে নিয়ে কাঁচা অবস্থায় ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি এবং কড়াইয়ে দিয়েছি পরিমাণ মতো তেল। তেল গরম হয়ে গেলে দিয়েছি সামান্য পাঁচফোড়ন। এবার নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার হলুদ গুঁড়া, পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে পেঁয়াজের সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এ পর্যায়ে ব্লেন্ড রাখা পটলের খোসা গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে মসলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৫
এবার অনবরত এটাকে নেড়েচেড়ে ভাজতে থাকতে হবে।
ধাপ-৬
যেহেতু আমি খোসাগুলো কাঁচা অবস্থায় ব্লেন্ডার করেছিলাম তাই সামান্য পানি দিয়ে রান্না করে নেব।
ধাপ-৭
এবার পানি শুকিয়ে গেলে লাল লাল করে ভেজে নামিয়ে নিলেই তৈরি মজাদার পটলের খোসা ভর্তা।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি "পটলের খোসা ভর্তা।" আশা করছি রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আমার মতো আপনারা কে কে এভাবে পটলের খোসা ভর্তা খেতে পছন্দ করেন জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
পটলের খোসা ভর্তা আমরাও তৈরি করি। তবে আমরা একটু ভিন্ন ভাবে তৈরি করি। আপনি আবার দেখলাম অন্যভাবে তৈরি করেছেন। ভিন্ন ধরনের রেসিপি গুলো দেখতে পারলে ভালই লাগে। বেশ দারুন লাগলো আপনার আজকের ভর্তা রেসিপি টা দেখে। নিশ্চয়ই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমরা অবশ্য পটলের খোসাটা প্রথমে সিদ্ধ করি তারপর সেটা কে ডিম দিয়ে মেখে ভর্তা করি। ধন্যবাদ আপু রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য
একেক জনের রান্নার ধরন একেক রকম আপু। তবে এভাবে পটলের খোসা ভর্তা বানালেও খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনি যেভাবে বলেছেন একবার রেসিপিটি বানানোর চেষ্টা করব।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পটল খেতে আমার খুব বেশি ভালো না লাগলেও আপনার রেসিপিন্দেখে খেতে ইচ্ছা হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি পটল খেতে পছন্দ না করলেও এই ভর্তা রেসিপিটি অবশ্যই পছন্দ করবেন যদি এটি বাসায় বানিয়ে ফেলেন।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পটলের খোসা ভর্তা রেসিপি তৈরি করে। আসলে রেসিপিটি আমার কাছে একদম ইউনিক মনে হয়েছে। আসলে আমরা মাঠে পটল চাষ করে থাকি কিন্তু কখনো পটলের খোসা ভর্তা রেসিপি খাওয়া হয়নি। কিন্তু পটল ভর্তা রেসিপি অনেক খেয়েছি। চেষ্টা করব আপনার এই ইউনিক রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
যেহেতু আপনার বাসায় পটল চাষ হয় তাহলে অবশ্যই একবার এভাবে ভর্তা বানিয়ে খাবেন ভাইয়া। আশা করছি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পটলের খোসা ভাজি অনেক খেয়েছি তবে কখনো পটলের খোসা ভর্তা খাওয়া হয়নি। আমার কাছে পটলেরই খোসা ভর্তা রেসিপি টা বেশ ইউনিক লেগেছে এ ধরনের রেসিপি মাঝে মধ্যে ট্রাই করলে মুখের স্বাদটাও পরিবর্তন হয়। যাই হোক আমার মনে হয় এটি গমের রুটির সঙ্গে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং মজাদার লাগবে আপনি অনেক সুন্দর একটি প্রসেস আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আপনার কাছে নতুন একটা রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম। পটলের খোসা কখনো ভেজে খাওয়া হয়নি। অবশ্যই একবার রেসিপিটি শেয়ার করার চেষ্টা করবেন ভাইয়া আর আমার ভর্তা রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে ভর্তা খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে ভর্তা খেতে অনেক বেশি মজা লাগে। আপনি আজকে পটলের খোসা ভর্তা করেছেন। এই রেসিপিটা আমার কাছে ভীষণ ইউনিক লেগেছে। তাছাড়া পটলের খোসা ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
গরম ভাতের সঙ্গে যে কোন ভর্তার কম্বিনেশন অসাধারণ। আর এভাবে পটলের খোসা ভর্তা বানালে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহূর্তের জন্য।
পটলের খোসা ভর্তা ভীষণ সুস্বাদু ও মুখরোচক টকটি খাবার।ভীষণ চমৎকার লাগে খেতে এই পটলের খোসা ভর্তা।আপনার জা আপনার রান্না পছন্দ করে জেনে ভালো লাগলো। সত্যি অনেক সুন্দর লাগে আপনার রন্ধন প্রনালী। ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে পটলের খোসা ভর্তা তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পটলের খোসা ভর্তা আমার খুব প্রিয়। আজকে আপনি দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এই ভর্তাটি অনেক বেশি পছন্দ করে। ছোটবেলা মায়েরা এ ভর্তাগুলো অনেক বেশি করত কিন্তু তা এখন আর সচরাচর দেখা যায় না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে দিন দিন এই ধরনের খাবারগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আপনার সুন্দর মন্তব্যটা পেয়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
সব ধরনের ভর্তাই আমার ভীষণ পছন্দ। আমিও পটলের ছোলা ভর্তা করি।তবে আপনি অন্য ভাবে করলেন।এভাবে ফোড়ন দিয়ে করলেও খেতে ভালো ই লাগবে।আপনি রেসিপির প্রতিটি ধাপ খুবই চমৎকার ভাবে তুলে ধরলেন। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
এ ধরনের সবজি খোসা ভর্তায় পাঁচফোড়ন দিলে খেতে একটু বেশি সুস্বাদু লাগে আপু। ধন্যবাদ রেসিপিটি দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।