ওয়াজ মাহফিলে কাটানো মুহূর্ত|| ২য় পর্ব
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ওয়াজ মাহফিলে কাটানো মুহূর্তের দ্বিতীয় পর্বে এ পর্বে আমি শুধুমাত্র চটপটি এবং ফুচকা খাওয়ার মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। মেলায় অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করে বাবুর জন্য খেলনা কিনে বাসার জন্য কিছু খাবার কিনে আমরা মাহফিলের মহিলা প্যান্ডেলের দিকে যাচ্ছিলাম। অনেকদিন পর রাত জেগে মাহফিল শুনলাম। আমার মা তো কিছুতেই বাবুকে নিয়ে ওখানে রাত জাগতে দেবে না কিন্তু আমি অনেকটা জেদ করে গিয়েছিলাম। যদিও মায়ের কথা না শুনে বেশ ভুলি করেছি। কি ভুল করেছি সেটা অন্য একটা পর্বে না হয় তুলে ধরার চেষ্টা করব।
যাইহোক আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমার ছেলে কতটা ফুচকা পাগল। এবার মেলা থেকে যখন বেরিয়ে আসবো তখন আমার ছেলে ফুচকার স্টল দেখতে পায় এবং সে বায়না ধরে ফুচকা খাবে। আর একবার ও যেটা চায় সেটা না দিলে অনেক কান্নাকাটি করে যদিও মোটেই এই জিনিসটা আমার ভালো লাগে না। তারপরও আমার মা ছিল সাথে সে তো তার নাতিকে কিছুতেই না খাইয়ে আনবে না। আমার মনটা কিছুতেই টানছিল না। কেননা এসব খোলা বাজারে খাবার আমার খুব একটা ভালো লাগে না।কান্নাকাটি সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম আমি আমার মা এবং ছোট বোন মিলে ফুচকা এবং চটপটি স্টলে।
সেখানে গিয়ে দেখলাম বেশ ভালই ভিড় লেগেছে। কেননা গ্রামের মানুষের কাছে এই খাবারগুলো একদমই নতুন। যাইহোক আমার এবং মায়ের জন্য চটপটি অর্ডার করি এবং আমার ছোট বোন আর বাবুর জন্য ফুচকা অর্ডার করি। ছেলে তো ফুচকা পেয়ে ভীষণ খুশি। খুব মজা করে ফুচকা গুলো খেয়েছিল। যদিও আমি ফুচকা একটাও টেস্ট করে নি তাই জানিনা ফুচকা কেমন ছিল জানিনা। তবে আমার ছোট বোন বলছিল বেশ ভালো খেতে। আর ব্যক্তিগত মতামত বলতে গেলে চটপটি টা ভীষণ মজার ছিল। আমি তো খুবই মজা করে খেয়েছি। যদিও ভেবেছিলাম খুব একটা ভালো হবে না খেতে তবে আমার ভাবনাটা একদমই ভুল ছিল।
যাইহোক খাওয়া-দাওয়া সেরে আমরা এবার চলে গিয়েছিলাম মাহফিলের মহিলা প্যান্ডেলের দিকে। মেলাতে আরো বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। অবশ্যই সেগুলো পরের পর্বে শেয়ার করার চেষ্টা করব। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ওয়াজ মাহফিলের স্থানে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। মাঝেমধ্যে ওয়াজ মাহফিলের স্থানগুলোতে গেলে পরে অনেক কিছু জানা যায় মেলা অবশেষে সমস্ত ইসলাম থেকে অনেক কিছু কেনা যায় এছাড়াও খাবার-দাওয়া জাতীয় জিনিস কিনে খাওয়া সম্ভব হয়। যাই হোক আপনাদের এই খাওয়ার মুহূর্তটা দেখে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ওয়াজ মাহফিলে কাটানো সুন্দর একটা মুহূর্তের আপনি আজকে দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এই পর্বে আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা দেখলাম। ফুচকা আর চটপটি সবকিছুই দেখতে অনেক মজাদার বলে মনে হচ্ছে। মজা করে কুচকা চটপটি সবাই খেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। এখন অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বটা দেখার জন্য।
হ্যাঁ আপু ফুচকা এবং চটপটি খেতে ভীষণ মজাদার ছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে তাহলে চটপটিও খেয়েছেন। আসলে ওয়াজ মাহফিলে বিভিন্ন ধরনের খাবার এগুলো কমন বিষয়। আমি তো ওয়াজ মাহফিলে গেলে জিলাপি খাওয়ার চেষ্টা করি। পূর্ব আকারে ওয়াজ মাহফিলের অনুভূতি শেয়ার করছেন। তার মানে ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। ধন্যবাদ।
জিলাপিও খেয়েছিলাম ভাইয়া। আসলে মাহফিলের মেলায় এ ধরনের খাবার গুলো খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ।