রেসিপিঃ মোগলাই পরোটা
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মোগলাই পরোটা রেসিপি। হঠাৎ করে আমার ছেলেটার দুদিন থেকে জ্বর। টানা কদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে হয়তো এজন্যই একটু ঠান্ডা লেগেছে। বৃষ্টি হচ্ছে তো হচ্ছেই থামার কোনো নামই নেই। যাইহোক জ্বরের কারণে বাবু তেমন কিছু খেতে চাচ্ছে না। ওর কিছু পছন্দের খাবার আছে যেগুলো আমি চাইলেও হাতের নাগালে পাচ্ছি না। কারণটা তো আপনাদের হয়তো জানাই আছে কারণ আমি এখন গ্রামে আছি। তো আমার গ্রামে সব খাবার হাতের কাছে পাওয়া যায় না আর এখন বৃষ্টির মাঝে বাজারে গিয়ে খাবার কেনাও খুবই কঠিন ব্যাপার। কারণ আমাদের গ্রামের রাস্তায় খুবই কাদা হয়েছে। তাই ভাবলাম বাসায় বাবুর জন্য মোগলাই পরোটা বানিয়ে দেই। ও আবার ভীষণ মজা করে খায় মোগলাই পরোটা।
অনেক দিন থেকেই আপনাদের সাথে রেসিপি শেয়ার করা হয় না তাই ভাবলাম ফটোগ্রাফি করে রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। যে আমি কিভাবে ঘরে খুব তাড়াতাড়ি মোগলাই পরোটা বানিয়ে ফেলি। এটা খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়। আমার ছেলে তো ভীষণ মজা করে খায়। তো যাইহোক বন্ধুরা বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল রেসিপিতে চলে যাই। আশা করছি রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
উপকরণ |
---|
আটা/ময়দা |
ডিম |
আলু কুচি |
পেঁয়াজ কুচি |
কাঁচামরিচ কুচি |
লবণ |
সয়াবিন তেল |
সরিষার তেল |
ধাপ-১
প্রথমে সকল উপকরণ রেডি করে নিয়েছি। এরপর একটি বাটিতে নিয়েছি পরিমাণ মতো আটা।আটার মধ্যে সামান্য একটু লবণ এবং সামান্য সয়াবিন তেল দিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে হাতের সাহায্যে সামান্য পানি দিয়ে একটা শক্ত ডো/খামির তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার একটি পাত্রে ডিম ভেঙে নিয়ে ডিমের মধ্যে আলু কুচি, পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি, সামান্য একটু লবণ দিয়ে ভালোভাবে সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার যে খামিরটি তৈরি করে রেখেছিলাম সেটি দুই ভাগে ভাগ করে বেলে নিয়েছি। এরপর পরিমাণ মতো ডিমের মিশ্রণটি দিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার চারপাশ থেকে টেনে টেনে মোগলাই পরোটার শেপ দিয়েছি। একইভাবে দুটোই বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার মোগলাই পরোটা গুলো ভাজার জন্য চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে কড়াইয়ে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়েছি। তেল গরম হয়ে গেলে একটি করে মোগলাই পরোটা ভালোভাবে এপিট ওপিট ভেজে নিয়েছি।
ফাইনাল লুকঃ
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের মোগলাই পরোটা রেসিপি। আমার বাবার বাড়িতে সব সময় সরিষার তেলের রান্না খাওয়া হয়। তাই আমি এগুলো সরিষার তেলে ভেজেছি। আপনারা চাইলে সয়াবিন তেলে ভাজতে পারেন।তো যাই হোক এই মোগলাই পরোটা গুলো খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল। বাবুর সাথে সাথে আমরা বাসার সবাই খুবই মজা করে খেয়েছি। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
আজ আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে মোগলাই পরোটা খেতে মজা লাগে। আপনার শেয়ার করা মোগলাই রেসিপিটি দেখে অনেক লোভ লাগছে।আপনার বাবুর জ্বর এসেছে সেজন্য স্পেশাল ভাবে তৈরি করেছেন বাবুর জন্য তারপরও আমি একটু ভাগ বসাতে চাচ্ছি কারন আমি মোগলাই খেতে অনেক পছন্দ করি। আপনি প্রতিটা দাঁত খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু বৃষ্টির দিনে এই খাবারগুলো বেশ ভালো লাগে খেতে। সমস্যা নাই আপু বেশি করে বানিয়েছিলাম ভাগ বসালে কম পরত না। যাইহোক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপনাকেও সু স্বাগতম আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু একদিন সবাই এই বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল আর একটু বৃষ্টি হলেই কত খুশি হতো। কিন্তু দেখেন আজ না চাইতেই সেই বৃষ্টি আমরা পেয়ে যাচ্ছি কিন্তু তাতে সবাই বিরক্ত বোধ করছে। তবে আমার কাছে কিন্তু খুব ভালো লাগছে। গ্ৰামে তো এমনেতেই তেমন কিছু পাওয়া যায় না, তার উপর যদি বৃষ্টি হয় তাহলে তো আরও পাওয়া যায় না। আপু আপনার বাবুর জন্য দোয়া রইল যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে। বাচ্চারা এমনেতেই খেতে চায় না তারপর যদি অসুস্থ থাকে তাহলে আরও খেতে চায় না। তবে যদি তাদের পছন্দের খাবার বানানো যায় তাহলে খুব ভালো হয়। আমার ছেলেও মুগলাই খেতে খুব পছন্দ করে কিন্তু কখনো বাসায় কখনও তৈরি করা হয়নি। আপনার কাছ থেকে মুগলাই বানানো শিখে নিলাম। একদিন অবশ্যই বাসায় তৈরি করবো। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন এই বৃষ্টির জন্য কত অপেক্ষায় ছিলাম আর এখন বৃষ্টি হচ্ছে তাই বিরক্ত বোধ করছি। মনে যে কত কিছু চায় সেটা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি। যাই হোক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য। অবশ্যই এভাবে বাসায় তৈরি করবেন মোগলাই পরোটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।
এই বৃষ্টির দিনে মোগলাই পরোটা খেতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে আপু ।যেহেতু বাবুর জ্বর এসেছে বাবুর জন্য স্পেশাল তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ছোট বাচ্চাদের জ্বর হলে এমনিতে কিছু খেতে চায় না ।তবে এটি পছন্দ করে নিশ্চয়ই মজা করে খেয়েছে। আর আপনার রেসিপিটি কিন্তু চমৎকার হয়েছে। দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল ।ধন্যবাদ আপনাকে।।
জ্বী আপু এই মোগলাই পরোটা আমার ছেলে অনেক মজা করে খেয়েছে। দোয়া রাখবেন আপু তাড়াতাড়ি যেন বাবু সুস্থ হয়। ধন্যবাদ।
এখানেও একটানা অনেকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে আপু। বিশেষ করে বৃষ্টি দিনে গ্রামের রাস্তায় অনেক বেশি কষ্ট হয়। আর ছোট বাচ্চা থাকলে তো অসুখ-বিসুখ হলে অনেক বেশি কষ্টের কথা। যাক হাতের নাগালে যা ছিল চমৎকার একটি নাস্তা তৈরি করে নিলেন। মোগলাই পরোটা কিন্তু খুবই ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা পরোটার কালারটি অসাধারণ হয়েছে। অনেক ভালো লাগলো দেখে খেয়ে নিতে ইচ্ছা করতেছে আপু।
আর বলবেন না রাস্তাঘাটের কথা আপু বাহিরে বের হওয়া খুব কষ্টের হয়ে গেছে। তার মধ্যে বাবু অসুস্থ। সব মিলিয়ে খুবই খারাপ সময় যাচ্ছে। তারপরও ভালো থাকার চেষ্টা করছি। মোগলাই পরোটার কালো যেমন সুন্দর হয়েছে খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিল আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মোগলাই আমার খুবই প্রিয় প্রায় প্রতিদিন বিকেলেই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় খাওয়া হয়।
তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কখনোই প্রস্তুত করা হয়নি।
আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে প্রস্তুত প্রণালী এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ লোম লেগে গেল নিশ্চয়ই খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল।
এভাবে মোগলাই পরোটা বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া বেশ ভালো লাগে সেটা। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অবশ্যই একবার প্রস্তুত করব খুব ভালোভাবে প্রস্তুত প্রণালী দেখে নিয়েছি।
ধন্যবাদ আপু।
মোগলাই পরোটা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজ আপনি আমাদের সাথে মোগলাই পরোটার রেসিপি শেয়ার করেছেন। সুন্দর ভাবে রেসিপিটি উপস্থাপনা করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রথমেই শায়ানের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আপু। আসলে গ্রামে হাতের নাগালে সবকিছু পাওয়াটা খুবই কঠিন। আর যদি বৃষ্টির কারণে রাস্তায় কাঁদা না হতো,তাহলে তো বাজারে কাউকে পাঠাতে পারতেন মোগলাই পরোটা নিয়ে আসতে। যাইহোক ঘরোয়া পদ্ধতিতে যেকোনো জিনিস তৈরি করে খাওয়ার মধ্যে অন্য রকম তৃপ্তি কাজ করে। তাছাড়া বাসায় তৈরি করা খাবার স্বাস্থ্যসম্মত হয়ে থাকে। মোগলাই পরোটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া মোগলাই পরোটা গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আর বাসায় তৈরি যে কোনো খাবারই স্বাস্থ্যকর। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার বাবুর সুস্থতা কামনা করছি।আসলেই গ্রামের রাস্তা গুলো বৃষ্টি হলে এতোটাই কাঁদা হয় যে ইচ্ছে থাকলেও কোথাও যাওয়া হয় না।গ্রামে থাকলে সত্যি পছন্দের খাবার গুলো পাওয়া যায় না যা শহরে অতি তারাতাড়ি পাওয়া যায়।আপনি আপনার ছেলের জন্য মোগলাই ভেজেছেন দারুণ হয়েছে আপনার বানানো মোগলাই গুলো। বৃষ্টির দিনে এরকম খাবার খেতে খুব ভালো লাগে।লোভনীয় হয়েছে আপনার মোগলাই গুলো।আপনার ছেলে মজা করে মোগলাই খায় জেনে ভালো লাগলো।ধাপে ধাপে মোগলাই তৈরি পদ্ধতি সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রেসিপিটি দেখে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।