মুচমুচে আলুর চিপস্ এর রেসিপি ভিডিও
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ভিডিওগ্রাফিতে স্বাগতম। অনেকদিন ধরে ব্যস্ততার কারণে কোন রেসিপি শেয়ার করা হচ্ছে না। আর এত ঝামেলার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছি যে নতুন কোনোো রেসিপি তৈরি করব সময়ই হচ্ছে না। ক'দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরির মুহূর্তগুলো শেয়ার করছি। আজকে এক পর্যায়ে চিন্তায় পড়ে যাই যে আজকে কি নিয়ে লিখবো। মোবাইল ফোনের গ্যালারি ঘাঁটছিলাম পুরনো কিছু পাই কিনা। কপাল ভালো ছিল একটি রেসিপি ভিডিও পেলাম। ভাবলাম এটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি তাই আর দেরি না করে এডিট করে ফেললাম।
সত্যি কথা বলতে বাবুকে নিয়ে তেমন একটা রেসিপি করার সময় হয়ে ওঠে না কারণ ও ভীষণ বিরক্ত করে রান্নাঘরে ঢুকলে। তাইতো আমার মা যখন আমার বাসায় আসেন তখন বেশ কিছু রেসিপি করে আমি স্টকে রেখে দেই। যাতে পরবর্তী সময়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি। এই রেসিপিটি আমার মায়ের হাতের করা।রেসিপিটি হচ্ছে ঘরে তৈরি মুচমুচে আলুর চিপস। সেদিন বিকেলে মাকে বলছিলাম কোন একটা কিছু বানিয়ে দিতে। আমার মা নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ভীষণ ভালোবাসেন। আমি প্রথমে মাকে বলেছিলাম আলুর চিপস্ রোদ দিয়ে শুকানো আছে সেগুলো তেলে ভেজে দিতে কিন্তু মা বললেন যে সরাসরি আলু দিয়ে চিপস বানাবেন।
যেই কথা সেই কাজ মা প্রথমে কিছু লম্বা সাইজের বড় বড় আলু নিয়েছিলেন কয়েকটি। এরপর সেগুলোকে বটির সাহায্যে গোল এবং পাতলা করে কেটেছিলেন। এরপর এগুলো পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে টিস্যুর সাহায্যে আলুর গায়ে লেগে থাকা পানি গুলো ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। এগুলোকে ডুবো তেলে ভাজতে হবে তাই চুলায় একটি বড় কড়াই বসিয়ে আরেকটা পরিমাণে তেল দিয়ে তেল গরম করে নিয়ে একে একে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে মিডিয়াম লো আঁচে মুচমুচে করে ভেজে নিতে হবে।
চিপসগুলো ভাজা হয়ে গেলে সামান্য একটু মরিচের গুড়া এবং লবণ মিশিয়ে উপর দিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। তারপর এটা গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। এই চিপস গুলো খেতে অসাধারণ লাগছিল। আরো অনেকগুলো চিপস বসে বসে খেয়ে ফেলেছিলাম এবং পরে গরম ভাত এবং ডালের সাথে খেয়েছিলাম। ভাতের সাথে এই মচমচে আলুর চিপস খেতে খুবই সুস্বাদু লাগছিলো।
ভিডিও টি উপভোগ করতে নিচে ক্লিক করুন। 🙏
তো এই ছিল আমার ঘরে তৈরি মুচমুচে আলুর চিপস। আশা করছি রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যারা চিপস জাতীয় জিনিস খেতে পছন্দ করেন এভাবে বাসায় বানিয়ে খেতে পারেন। আবার বিশ্বাস এটা আপনারা পছন্দ করবেন। তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
ছোট বাচ্চা থাকলে রান্নাঘরে কাজ করা খুবই কষ্টকর। তারপর যদি বাচ্চাকে একা সামলাতে হয় তাহলে তো কথাই নেই। ভালো করেন যে আপনার মা আসলে একবারে কিছু রেসিপি করে রাখেন। এরকম করে আলু ভাজা আগে আম্মা করে দিত। খুবই মজা লাগতো খেতে। অনেকদিন পর আপনার সেই আলু ভাজা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু ছোট বাবুকে নিয়ে রান্নাঘরে কাজ করা আসলেই অনেক কষ্টকর। অন্তত আমার পক্ষে কারণ আমি একা হাতে সংসারের সব কাজ সামলাই। যাইহোক আপু আমার রেসিপির ভিডিওগ্রাফি দেখে আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার ঘরে তৈরি আলুর চিপস এর ভিডিও দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।আসলে এই গুলো ঘরে তৈরি করতে অনেক সময় আর ধৈর্যের প্রয়োজন। তবে ঘরে তৈরি জিনিস গুলো অনেক মজার ও সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু রেসিপির ভিডিও গ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু ঘরে তৈরি রেসিপিগুলো একটু সময় সাপেক্ষ হলেও খেতে খুবই মজার হয়ে থাকে। এই চিপস্ গুলো খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
মাঝে মাঝে আমিও ব্যাস্ততার কারনে পোস্টের টপিক নির্বাচনে হিমসিম খাই। রেসিপি পোষ্ট আমার ভীষণ পছন্দের কিন্তু সময়ের অভাবে অনেক সময় করা হয় না। যাই হোক আপনার এলবামে থাকা রেসিপি ভিডিও দারুন ছিল।
হ্যাঁ ভাইয়া রেসিপি করতে গেলে অনেক সময় লাগে। পোষ্টের জন্য রেসিপি তৈরি করতে গেলে অনেক গুছিয়ে করতে হয় তো এর জন্য। যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তদের জন্য।
আপু পোস্ট করার জন্য কত টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন। যাক ভাগ্যে আপনার ফোনে এই ভিডিওটি ছিল তা না হলে আজকে আপনি পোস্ট করতে পারতেন না। তবে এটা জেনে আমার একটু হাসি পেয়েছিল আপু। এত পোস্ট তার মধ্যেও আপনি কোন পোস্টে পেয়েছিলেন না। যাক আপনার ফোনে একটি ভিডিও ছিল যেটা হলো আলুর চিপসের রেসিপি ভিডিও। আপনার আলোর চিপসের ভিডিও দেখে বেশ ভালো লাগলো আপনি খুব চমৎকারভাবে এটি তৈরি করেছেন। এবং সর্বশেষে পোস্ট না পাওয়ার কারণেই আপনি এই ভিডিওটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমি প্রায় অনেকটা টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম যে কি লিখব। তারপরে অনেক খুঁজে খুঁজে এই ভিডিওগ্রাফিটা পেয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এই চিপস সকলের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর ।বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য ঘরোয়া তৈরি একটি চিপস গুলো খুবই ভালো। বাহিরে বিভিন্ন কেমিক্যালযুক্ত মসলাযুক্ত চিপস গুলো বাচ্চাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আমিও মাঝে মাঝে আমার বাচ্চার জন্য এভাবে ঘরে চিপস তৈরি করি। কিন্তু ভাতের সাথে যে খাওয়া যায় তা আমার জানা ছিল না ।আপনার কাছ থেকে একটি টিপস জেনে নিলাম।
আমিও আমার বাবুকে বাহিরের জিনিস দেই না। ওর পছন্দের খাবারগুলো আমি ওকে ঘরে তৈরি করে খাওয়াই। বাহিরে চিপস গুলো বাচ্চাদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। আমিও মাঝেমধ্যেই এই চিপস গুলো ঘরে বানিয়ে দেই। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার মতো আমারো একই অবস্থা ছেলের জন্য রেসিপির ছবি একদমই ওঠাতে পারিনা। তারজন্য অনেক দিন হয়ে গিয়েছে কোনো রেসিপি শেয়ার করা হয়না। আপনার মোবাইলের গ্যালারিতে জমা ছিল বলে খুব সুন্দর একটি রেসিপির ভিডিওগ্ৰাফি শেয়ার করেছেন। আপনার কাছ থেকে অন্যরকম মজাদার রেসিপি শিখতে পারলাম। মুচমুচে আলুর এই খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপির ভিডিওগ্ৰাফি শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু বাবুর জন্য একদমই কোন রেসিপি করতে পারছি না। তাইতো ফোনের গ্যালারি ঘাটতে গিয়ে এই ভিডিওগ্রাফিটি পেলাম। আর সত্যি বলতে আলুর এই চিপস গুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। বাবুকে বাসায় বানিয়ে দিবেন।
ঠিকই বলেছেন আপু মাঝে মাঝে আসলেই চিন্তায় পড়তে হয় কি পোস্ট দিব । তখন ফোন ঘাটতে ঘাটতে অনেক কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় । আপনি তো আলুর চিপসের ভিডিওগ্রাফি টা পেয়ে গিয়েছেন বলে বেঁচে গেলেন আমার তো মাঝে মাঝে বিপাকে পড়তে হয় কি করব ।আপনার আম্মা নতুন নতুন রেসিপি ট্রাই করতে ভালোবাসেন আর আপনি সেখান থেকে রেসিপি সংগ্রহ করে রাখেন শুনে ভালো লাগলো । আলুর চিপসটি কিন্তু অনেক সুস্বাদু হয়েছে দেখে বোঝা যাচ্ছে ।
ইচ্ছে করে অনেক কিছুই তৈরি করতে কিন্তু আপু বাবুকে নিয়ে একা একা পারিনা। তাইতো আমার মা যখন আসেন তখন বেশ কিছু রেসিপি করে আমি রেখে দেই। সত্যিই আপু আলুর চিপস্ গুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা এমন আলুর চিপস আগে কখনো খাওয়া হয়নি। কিন্তু আপনার প্রস্তুত করা দেখে খুব লোভ হচ্ছে। খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।
মুচমুচে এমন খাবার সাথে যদি একটু ঝাল ঝাল হয় খেতে সত্যি অনেক মজা লাগে।
একবার অন্তত এভাবে আলুর চিপস বানিয়ে খেয়ে দেখবেন। আশা করছি আপনার কাছে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আলু দিয়ে মুচমুচে চিপস্ অনেক আগে আমাদের ঘরে বানাতো। যদিও অনেক বছর হলো এখন আর বানানো হয়না।তবে আপনার ভিডিওটি দেখে আবারও সে পুরনো কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
আলু দিয়ে এই মুচমুচে চিপস খেতে অনেক ভালো লাগে। এটি ডাল ভাতের সাথেও খেতে খুব মজা লাগে। আশা করছি আমার ভিডিওগ্রাফিটি দেখার পর অবশ্যই আবারও বানিয়ে খাবেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।