হলুদের রাজ্যে কিছু নীল পরী🌼💙
হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি পোস্টে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার কাটানো সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করতে চলেছি। মাঝেমধ্যে আমাদের এত সুন্দর সময় কাটে যেগুলো চাইলেও আমরা ভুলতে পারিনা। শীতকালে সরিষা ফুলে ভরে উঠে পুরো মাঠ।আর এই সময় ঝাঁকে ঝাঁকে বাংলার মেয়েরা শাড়ি পড়ে সরিষা ফুলের সাথে মিশে যায়। প্রত্যেক বছর আমিও শাড়ি পড়ে সরিষা ক্ষেতে গিয়ে ফটোগ্রাফি করে থাকি তবে এ বছর শাড়ি পড়া হয়নি। দুদিন ঘুরতে গিয়েছিলাম নরমালি পোশাক পড়ে।
আমার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে বগুড়া থেকে পড়াশোনা করে। গত কয়েকদিন আগে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। আর এসেই বায়না ধরেছে শাড়ি পরবে। সাথে ছিল আমার ছোট বোন এবং পাশের বাড়ির আরো দুটো ছোট বোন। এবার ওরা বিকেলবেলা থেকে শুরু করেছিল বায়না যাতে করে আমি শাড়ি। কিন্তু সেদিন বিকেলবেলায় বেশ ঠান্ডা পড়েছিল তাই একদমই ইচ্ছে করছিল না শাড়ি পড়ি। তাই ওদেরকে বললাম যেন ওরা শাড়ি পড়ে।
ওরা সকলেই নীল শাড়ি পড়েছিল। আমি নিজের হাতে ওদেরকে সাজিয়েছি। এরপর বাবুকে রেডি করে দিলাম। ওদের সাথে ম্যাচিং করে বাবুকে একটি নীল গেঞ্জি পরিয়ে দিলাম। ছেলে তো আমার মহা খুশি। যাইহোক এরপর আমরা আমাদের বাড়ির পাশেই একটি সরিষা ক্ষেতে গেলাম। সেখানে ওরা ইচ্ছামত ওদের ফটোগ্রাফি করল। সাথে আমার ছেলেরও কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। যদিও আরো অনেকেই ছিল কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে ফটোগ্রাফি করতে ব্যস্ত ছিল। তাই তাদেরকে আমার ক্যামেরায় আনতে পারিনি।
যাইহোক শেষে সবাই মিলে একটি সেলফি তুলে বাসায় চলে আসি। মনে হচ্ছে একদম হলুদের রাজ্যে কিছু নীলপরী ঘুরে বেড়াচ্ছে তাই না। সবাইকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। আর আমার ছেলে তো ওখান থেকে কিছুতেই আসতে চাইছিল না অনেক জোর করে এনেছি। বলতে গেলে সেদিন বিকেলটা আমার খুবই ভালো কেটেছে। এমন সময় মাঝে মাঝে এই ফিরে আসা দরকার।আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
https://x.com/HiraHabiba67428/status/1883569854608965665?t=28Z8Pv3j-QDPvgGGLOHf9g&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হলুদ সরিষা ক্ষেতের মাঝে নীল রঙের শাড়ি পরে ঘুরে বেড়ানো যেন এক অপরূপ দৃশ্য। এই রঙের সংমিশ্রণটি প্রকৃতির সাথে মানবের শৈল্পিক মিলন তুলে ধরে। হলুদ সরিষার সোনালী আভা এবং নীল শাড়ির শীতলতা একে অপরকে সম্পূরক করে, যেন একটি স্বপ্নময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আপনার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে বগুড়া থেকে এসেছে। তাদের সঙ্গে আপনি বেশ সময় হলুদ সরিষা খেতে ঘুরে বেড়ানো মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।
বাবুকেও দেখছি ম্যাচিং করে নীল রং পড়িয়েছেন। আপনি নীল রঙের শাড়ি পরলে আরো সুন্দর লাগতো আপু। হলুদ সরিষা ফুলের রাজ্যে দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এ ধরনের জায়গাগুলোতে আসলে শাড়ি পড়ে ছবি তুলতে ভালোই লাগে। আপনাদের কাটানো মুহূর্ত দেখে ভালো লাগলো। খুব সুন্দরভাবে ওদেরকে সাজিয়ে দিয়েছেন আপনি। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার বোন ও চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে সত্যি নীলপরি হয়ে গেছে । হলুদের রাজ্যে ডানাকাটা নীলপড়ি।আপনার ছেলে ও নীল গেন্জি পড়েছে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।অসাধারণ সুন্দর মূহুর্ত পার করেছেন সকলে মিলে।আপনি নিজ হাতে ওদের কে সাজিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য
হলুদের রাজ্যে নীল পরীদের দেখে স্বর্গের পরীরা ও লজ্জা পেয়ে যাবে!!অসম্ভব সুন্দর লাগছে সবাইকে।মাঝে মাঝে এরকম হলুদের রাজ্যে হারিয়ে যেতে মন চায় কিন্তু সেই সুযোগ আর হয়ে ওঠেনা।সব পরীদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।💙💙💙
সরিষা ফুলের মধ্যে ঘুরতে গেলে আলাদা একটা মজা লাগে। আর এই সময় সবাই তাই সরিষা ক্ষেতে ঘুরতে। আর আপনারা দেখছি কয়েকজন মিলে ঘুরতে গেলেন এবং ভালই সময় কাটিয়েছেন। তবে অনেকে অনেক সময় সরিষা খেতে আলাদা করে সেজে যায় সৌন্দর্য হোক করার জন্য অনেকেই। কিছুদিন আগে আমরাও গেলাম ঘুরতে পরিবার নিয়ে। এবং আপনার চাচাতো বোন ও নিজের বোন সবাই ভালই সময় কাটিয়েছেন। এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পোস্টটি।
সায়ান তো তার আন্টিদের সাথে সরিষা ক্ষেতে খুবই হাসি খুশি সময় কাটিয়েছে। এরকম পরিবারের সাথে যে কোনো জায়গায় সময় কাটাতে পারলে আসলেই ভালো লাগে। ঠিকই বলেছেন আপনি হলুদের রাজ্যে মনে হচ্ছে যেনো , একেবারে আকাশ থেকে নীল পরীরা নেমে এসে সরিষা ক্ষেতে ঘুরে বেড়াচ্ছে হা হা হা। যাই হোক পরিবার নিয়ে সরিষা খেতে কাটানোর অনুভূতি আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।