ইলিশ মাছের মাথা এবং লেজ নিয়ে কচু শাকের রেসিপি 🥘
হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি পোস্টে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইলিশ মাছের মাথা এবং লেজ দিয়ে কচু শাকের এক মজাদার রেসিপি। কচু শাক, কচুর মুখি, কচুর লতি সবকিছুই আমার ভীষণ পছন্দের। তবে কচুশাক একটু বেশি পছন্দের।কিছুদিন থেকে মাছ-মাংস খেতে একদমই ভালো লাগছে না, তাই দুদিন আগে মাকে বলেছিলাম কিছু কচু শাক তুলে আনতে। আমাদের বাড়ির সামনে অবশ্য অনেক কচু শাক হয়েছে সেগুলো দিয়েই এই রেসিপি তৈরি করেছিলাম। যখন শহরে থাকতাম তখন প্রচুর কচু শাক খেতে ইচ্ছে করতো কিন্তু বাজারে যে কচু শাকগুলো কিনতে পাওয়া যায় সেগুলোতে গলা ধরত। তাই খুব একটা কিনে খাওয়া হতো না।
তাই আমার মা যখন গ্রাম থেকে শহরে যেতেন অনেকটা পরিমাণে প্রচুর শাক নিয়ে যেতেন আমার জন্য। আমি ফ্রিজে সেগুলো ভাপিয়ে রেখে সংরক্ষণ করতাম। আমার মতো বৃষ্টি চাকি বৌদিও কচু শাক খেতে ভীষণ পছন্দ করেন। উনার জন্যও আমার মা কচুশাক নিয়ে যেতেন।যাইহোক আমার কাছে কচুশাক মানে ইলিশ মাছের মাথা বা লেজ দিয়ে রান্না করা। অবশ্য চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলেও কচু শাক খেতে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক আমি এই রেসিপিটা ইলিশ মাছের মাথা এবং লেজ দিয়ে করেছিলাম। আশা করছি রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তো চলুন রেসিপিতে চলে যাই।
উপকরণ |
---|
ইলিশ মাছের মাথা এবং লেজ |
কচু শাক |
মসুর ডাল |
পেঁয়াজ কুচি |
কাঁচামরিচ ফালি |
আদা রসুন বাটা |
জিরা বাটা |
হলুদ গুঁড়া |
রসুন কুচি |
পাঁচফোড়ন |
গরম মসলা |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে ইলিশ মাছের মাথা এবং লেজ আর কচু শাক ভালোভাবে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার কচু শাকগুলো একটি কড়াইয়ে নিয়ে একে একে মসুর ডাল, বাটা মশলা, গুঁড়া মশলা, ইলিশ মাছ,পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ ফালি, পরিমাণ মতো তেল এবং লবণ দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্নার জন্য চুলায় বসিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৩
মিডিয়াম আঁচে রান্না করায় অন্যান্য উপকরণ খুব ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে গেছে।
ধাপ-৪
এ পর্যায়ে অনবরত নাড়তে থাকতে হবে। ভাজনির সাহায্যে সব উপকরণ একবারে মিশিয়ে নিতে হবে। সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে গেলে একটি বাটিতে তুলে নিতে হবে।
ধাপ-৫
এবার চুলায় একই কড়াই বসিয়ে কড়াইয়ে তেল দিয়ে প্রথমে দিতে হবে পাঁচফোড়ন। এরপর রসুন কুচি দিয়ে নেড়েচেড়ে রসুন কুচি গুলো লাল লাল ভেজে নিতে হবে।
ধাপ-৬
এবার বাটিতে তুলে রাখা কচু শাকের মিশ্রণ দিয়ে নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ রান্না করে নিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
পরিবেশন
তো যাই হোক বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। ইলিশ মাছের মাথা এবং লেজ দিয়ে কচু শাকের মজাদার একটি তরকারি। সত্যি কথা বলতে গরম গরম ভাতের সাথে খেতে এত ভালো লাগছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না।আমার মতো আপনারা কে কে ইলিশ মাছ দিয়ে কচু শাকের রেসিপি খেতে পছন্দ করেন অবশ্যই জানাবেন। আমার তো ভীষণ পছন্দের। যাইহোক আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন রেসিপি বা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
কচু শাকের রেসিপি খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি ইলিশ মাছের মাথা এবং লেজ দিয়ে কচুর শাকের রেসিপি করছেন। যদিও আমরা কচু শাক চিংড়ি মাছ শুটকি এবং ডাল দিয়ে রেসিপি করে খেয়েছি। কখনো ইলিশ মাছের মাথা বা লেজ দিয়ে রেসিপি করে খাওয়া হয় নাই কচুর শাকের। যাই হোক মজার রেসিপিটি সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
কচুশাক চিংড়ি দিয়ে রান্না করলেও খেতে খুবই মজার হয়। আর এভাবে রান্না করলেও মজার হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ইলিশ মাছের মাথা এবং লেজ নিয়ে কচু শাকের লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এ ধরনের রেসিপি গুলো আসলেই অনেক বেশি লোভনীয় হয়ে থাকে। ব্যক্তিগতভাবে এই রেসিপিটা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
এই রেসিপিটা আমারও খুবই পছন্দের। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আজকে আপনি কচুর শাকের অনেক সুন্দর একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখতে এ লোভনীয় লাগছে। ইলিশ মাছের মাথা এবং লেজ দিয়ে কচু শাক রান্না করলে খাইতে ভীষণ মজার হয়। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি বিস্তারিত ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জ্বি ভাইয়া এভাবে কচু শাক রান্না করলে ভিষণ মজার হয়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গ্রাম অঞ্চলে আনাচে কানাচে লোভনীয় তরতাজা কচু পাওয়া যায়। সত্যি বাজারের কচু গলা ধরে।আমার প্রিয় রেসিপি এটি কচুশাক দিয়ে ইলিশ মাছের মাথা রেসিপি।মাঝে মাঝেই এই রেসিপিটি খাওয়া হয়ে থাকে।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপি ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচুশাক রান্না পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
কচুশাক আপনার পছন্দের জেনে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ইলিশ মাছের মাথা এবং লেজ দিয়ে কচু শাকের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন আপু আপনি। দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে।কুচ শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস রয়েছে। রেসিপির প্রতিটি ধাপ ধারাবাহিকভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপু আপনি। লোভনীয় রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ইলিশ মাছের মাথা এবং লেজ নিয়ে কচু শাকের রেসিপি শেয়ার করেছেন।ইলিশ মাছের ভুনা খেতে ভীষণ ভালো লাগে।আর ইলিশ মাছের সাথে যে কোন কিছুর মিশ্রণ করে রেসিপি তৈরি করলে খেতে অনেক মজা লাগে। আপনি সব উপাদান পরিমাণ মতো দিয়ে মিশ্রণ করে রেসিপিটি সম্পন্ন করেছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
https://x.com/HiraHabiba67428/status/1899234330771370457?t=9qSEnrArf7nlhEK_5f2oag&s=19
কচুশাকে অনেক বেশি পরিমাণ ভিটামিন ও আইরনে ভরপুর। এটা খেতে পারলে সবার জন্যই ভালো। তবে শহরের যে কচু শাকগুলো বাজারে কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো আসলে কতটুকু ভালো মানের সেটা সন্দেহ। কিন্তু বাড়িতে যেহেতু আন্টি আপনার জন্য নিয়ে আসে তাহলে সেটা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং সুস্বাদু হবে। তবে ইলিশ মাছ দিয়ে কচু শাক রান্না করলে সেটা খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়। আপনি তো দেখছি একদম ভিন্নভাবে রেসিপিটা তৈরি করেছেন।
শহরের কচু কিনতে আমিও ভয় পাই।কিন্তু নিজে হাতে যদি কচুশাক সংগ্রহ করা যায় তাহলে কোনো ভয় থাকেনা।যাইহোক রেসিপিটা সত্যিই খুবই মজার ছিলো।
জি আপু বাজার থেকে এরকম কচু বা কচু জাতীয় জিনিস গুলো কিনতে আসলেই ভয় লাগে। কোথাকার না কোথাকার সেটাই ভাবনার বিষয়।
কচুর শাক আমাদের চোখের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আমার নিজের কাছেও কচুর শাক খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর ইলিশ মাছের মাথা অথবা লেজ দিয়ে রান্না করলে স্বাদ বেশি বেড়ে যায়। দেখেই বুঝতে পারছি আপু এই কচু শাকের রেসিপিটা দারুন মজাদার ছিল।
জ্বি আপু কচুশাকের রেসিপিটা খেতে খুবই মজাদার ছিলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।