প্রথমবার ফুটপাতে নুডলস খাওয়ার অভিজ্ঞতা
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। গত কয়েকদিন আগে আমি প্রথমবারের মতো ফুটপাতে নুডলস খেয়েছিলাম আর সেখানকার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমাদের শহরে মার্কেটের সামনে রাস্তায় একটা ছোট্ট দোকানে নুডলস বিক্রি হয়। সবার মুখে মুখে অনেক শুনেছি এখানকার নুডলস খেতে খুবই মজার। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে বিয়ের ছয় বছর হয়ে গেলেও আমি কখনোই এখানকার নুডলস খাইনি।তাই অবশেষে এবার সেখানকার নুডলস আমি খেলাম।আর সেখানকার নুডলস খেতে কেমন ছিল সেটাই আপনাদের জানাবো এবং কিভাবে বানানো হয়েছিল সেই রেসিপিটাও আপনাদের সাথে বলবো।
কিছুদিন আগে মার্কেটে গিয়েছিলাম বাবুর জন্য কেনাকাটা করতে। আর সেই মার্কেটের নিচেই এই নুডলস বানানো হয়। কেনাকাটা শেষ করে নিচে এসে আমি তিন প্লেট নুডলসের পার্সেল নেই। যেহেতু বাসায় আরো বেশ কয়েকজন লোক আছে তাই সবার জন্যই নিয়েছিলাম। সম্ভবত এগুলোকে নুডুলস বায়না বলা হয় না এগুলোকে বলা হয় চাওমিন নুডলসের তুলনায় এগুলো একটু মোটা।
যাইহোক নুডলসগুলো আগে থেকেই সেদ্ধ করা ছিল। এরপর বড় একটা তাওয়াই তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে নেড়েচেড়ে সেদ্ধ করা নুডলস দিয়ে পেঁয়াজ এবং কাঁচামরিচের সাথে মিশিয়ে ফেটানো ডিম দিয়ে নুডুলস এর সাথে মিশিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ ভাজার পর সামান্য মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া এবং ওনাদের সিক্রেট একটা মসলা দিয়ে টমেটো সস এবং সয়া সস দিয়ে নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে নামিয়ে নিয়েছে। পর একটা প্লেটে পরিমাপ করে নিয়ে পার্সেল করে দিয়েছে।
এবার আসা যাক খাবারের রিভিউতে।সত্যি কথা বলতে খাওয়ার পর আমার কাছে এত ভালো লেগেছিল যে আমার খালি মনে হচ্ছিল আমি এতদিন এই জিনিসটা কিভাবে মিস করে গেলাম। তো মাঝেমধ্যেই সেখান থেকে নুডলস এনে খাব। আর বাসায় বাচ্চারাও খুবই পছন্দ করেছে।এই নুডুলস এর স্বাদ বড় বড় রেস্টুরেন্টের নুডুলসের থেকে কম কিছু না। যাই হোক আমরা খুবই মজা করে খেয়েছি এবং অভিজ্ঞতাটা বেশ ভালো ছিল।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাঝে মধ্যে বাইরের পরিবেশে এমন ভাজাপোড়া রেসিপি খেতে ভালো লাগে। নুডুলস অবশ্য কোনদিন আমি বাইরে এভাবে খাইনি তবে এই বিষয়টা আমার কাছে নতুন এক্সপেরিয়েন্স মনে হল। তবে আশা করি খেতে বেশ ভালো লেগেছে। এটাও ধারণা করতে পারে খুব সুন্দর একটা আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল আপনার ওই সময়টা।
আমার কাছেও এটা নতুন অভিজ্ঞতা ছিলো আপু। তবে খেতে বেশ ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে আপু আমরা বেশির ভাগ সময় নুডুলস কেন যেকোন জিনিস ফুটপাত থেকে খেতে বা নিতে চায় না। তবে এগুলো ে
যেসব সময় খারাপ হয় না। আসলে আমাদের মনের ভয় বড় ভয়।খাবারটি ভালো ছিল যেন অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
আসলে আপু বাহিরের যে কোনো খাবার খেতেই আমার একটু ভয় ভয়ই লাগে।তবে প্রথমবার খেয়ে বেশ ভালোই লেগেছিল খাবারটি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাহ খাবার গুলো দেখে তো লোভ সামলাতে পারছিনা। তবে খাবারের কালার আমার বেশ ভালো লাগলো। আশা করি খেতেও অনেক ভালো লাগবে। কারণ কিছু কিছু খাবার আছে অনেক স্বাদের হয়। তা যেখানে তৈরি করা হউক না কেন খেতে ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু খাবার গুলো দেখতে যেমন সুন্দর ছিল খেতেও বেশ স্বাদও ছিল। প্রথমবার খেয়ে বেশ ভালই লেগেছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এগুলো মোটেও স্বাস্থসম্মত না কিন্তু ভাবি। আর বার বার খাওয়ার বিষয়টিও কিন্তু আমি সমর্থন করছি না। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া সতর্ক করে দেওয়ার জন্য। 🙏
আপনাদের ওখানে মত আমাদের এখানেও নুডুলস দোকান আছে। তবে নুডুলস খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। সত্যি আপু আমাদের বিয়ের ছয় বছর হয়ে গেল এখানের নুডলস খাওয়া হয়নি আপনার। তবে এই রেসিপিগুলো অল্প সময়ের মধ্যে রেডি করে দেয়। আর এই দোকানের নুডুলস খেয়ে নিশ্চয় আপনি অনেক মজা পেয়েছেন। সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ বেশ মজা করেই খেয়েছিলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মাঝেমধ্যে বড় বড় রেস্টুরেন্টের চেয়েও স্ট্রিট ফুড খেতে দারুণ লাগে। আমিও সন্ধ্যার পর বিভিন্ন ধরনের স্ট্রিট ফুড খেয়ে থাকি। তবে অনেকে আবার ফুটপাতের জিনিস খেতে একেবারেই পছন্দ করে না। যাইহোক নুডলস বা চাউমিন এর ফটোগ্রাফি দেখেই মনে হচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।