জেনারেল রাইটিং || মানসিক আঘাত পেলে, মানুষ বদলে যায়।
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করব। আমার আলোচনার বিষয় থাকবে মানসিক আঘাত নিয়ে। অনেক মূল্যবান আলোচনা, সাথেই থাকুন সবাই।
মানসিক আঘাত, কথাটা খুবই ছোট। এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে অনেক কষ্ট অনুভব। আঘাত শব্দটা মুখে নিতেই যেন মনে আঘাতের অনুভব হয়। সেখানে মানসিক আঘাত অনেক কঠিন বিষয়। আঘাত সচরাচর দুই রকমের। একটা শারীরিক আঘাত, আর একটা মানসিক আঘাত। শারীরিক আঘাত যেমন বিভিন্ন ভাবে দেওয়া যায়। মানসিক আঘাত ঠিক তেমনি অনেক ভাবে দেওয়া যায়। তবে কিছু কিছু মানসিক আঘাত রয়েছে। যেগুলো মেনে নেওয়ার মতো হয়ে ওঠেনা। আর সেই মানসিক আঘাতগুলো মানুষকে পরিবর্তন করে ফেলে। একটি হাসি খুশি মানুষের মানসিক আঘাত দ্বারা থামিয়ে ফেলা যায়। স্বাধীনভাবে চলাচল করা মানুষকেও মানসিক আঘাতের মাধ্যমে পরাধীন বানিয়ে দেওয়া যায়।
জীবন চলার পথে অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হয়। অনেক আপন জন অথবা পর মানুষের সাথে চলাচল করতে হয়। এরই মধ্যে আমাদের ভুল-ভ্রান্তি কথাগুলো মানুষের আঘাত দিয়ে ফেলে। অনেক সময় আমরা এমন কিছু কথা বলি, যেই কথা দ্বারা কোন ব্যক্তির অন্তরে আঘাত করা হয়ে যায়। আমরা হয়তো ইচ্ছা করে এমন কিছু বলতে চায় না তবুও বলা হয়ে যায়। আবার এমন কিছু কথা বলি, ভেবে চিন্তে বলি না। তবে সেই কথাটা অন্য ব্যক্তির কাছে মন থেকে মেনে নেওয়ার মতো হয় না। ঠিক এমন নানান বিষয়ে মানসিক আঘাত সৃষ্টি করা যায়। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকমের আঘাতগুলো মন মানসিকতা পরিবর্তন করে ফেলে। আপনি কোন এক প্রতিষ্ঠানে জব করছেন। আপনার চেয়ে বড় বা উচ্চ পদস্থ কোন ব্যক্তি আপনার সাথে এমন খারাপ আচরণ করেছে, যেগুলো আপনার মানসিক আঘাত হবে। কিন্তু আপনার সেই শুভাকাঙ্ক্ষিত উচ্চপদস্থ মানুষটা ভুলে বুঝবে না আপনার আঘাত লাগাটা।
এভাবেই প্রতিনিয়ত শত শত মানুষ লাঞ্ছিত হচ্ছে এবং মনে আঘাত নিয়ে বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্যে জীবন পার করছে। তবে আমাদের জীবন চলার পথে একটু ভাবতে হবে। আমার কোন কথা বা খারাপ আচরণ অন্য কোন ব্যক্তির মানসিক আঘাত হওয়ার কারণ নয় তো। আমরা অনেক সময় ভেবে চিন্তে কথা বলি না। একটু ইয়ার্কির ছলে অথবা হাসা হাসির ছলে শুভাকাঙ্ক্ষিত মানুষদের সাথে আনন্দে মেতে উঠি। তবে তার মধ্যেই এমন কিছু কথা রয়েছে যেগুলো সব সময় আমাদের বর্জন করতে হবে এবং ভেবেচিন্তে বলতে হবে। যে কথাগুলো আমার কাছে হাসির তামাশার বা আনন্দের সেই কথাগুলো অন্যের কাছে আনন্দের নাও হতে পারে।
পারিবারিক বিভিন্ন কথাবার্তা এবং মানসিক চাপ দেওয়ার মধ্য দিয়েও মানসিক আঘাত সৃষ্টি হয়। যেটাকে আমরা পেশার দেয়া বলে থাকি। একজন মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম টেনশন এর সম্মুখীন হয়ে থাকে। নিজের কর্মব্যস্ততাকে কেন্দ্র করে অথবা সাংসারিক জীবনকে কেন্দ্র করে অথবা লেখাপড়ার জীবনকে কেন্দ্র করে অনেকটা টেনশন থাকে। সেই টেনশন ফ্রি হতেই অনেক সময় বা অনেক ও হয়রানির শিকার হতে হয়। তার মধ্যে যদি মানসিক টর্চারের শিকার হতে হয়, তাহলে মন মানসিকতা অবশ্যই বদলে যেতে পারে। তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে, আমাদের দ্বারা অন্য কারো যেন মানসিক চাপ দেওয়া না হয়। যার জন্য স্বাধীনতা, হাসি আনন্দের অনুভূতিটা নষ্ট হয়ে যায়। মানসিক প্রশান্তি একটা অন্যরকম ভালো লাগার জিনিস। আপনি আমি যদি একজনের মানসিক প্রশান্তি কেড় নেই,মানসিক চাপ দিয়ে। তাহলে আমরা কেমন মানুষ, কেমন আপনজন। তাই এই বিষয়টা আমাদের মাথায় থাকতে হবে। কখনো কাউকে মানসিক চাপ দিব না, মানসিক টেনশন দেবো না।
কোন ব্যক্তি কোন মানুষই টেনসনে থাকলে, সেখানে আরো বাড়তি টেনশন এনে দিব না। বরং চেষ্টা করতে হবে তার মানসিক টেনশন দূর করে দেওয়ার। এতে একজন ব্যক্তি টেনশন মুক্ত এবং হাসিখুশি ভাবে জীবন যাপন করতে পারবে। আর আমরা যদি সেই দিক বিবেচনা না করে প্রতিনিয়ত মানসিক আঘাত দিতে থাকি, তাহলে অবশ্যই হাসি আনন্দের মানুষটাকে হারাতে পারে। তার মধ্যে পরিবর্তন চলে আসবে। যে পরিবর্তন একদিন আপনার কাছেও ভালো লাগবে না। মনে হবে পূর্বেই ভালো ছিল সে। এখন কেন তার এমন পরিবর্তন। কিন্তু তার পিছনে নিজেদেরই কারণ থাকে। এই সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের বুঝতে হবে। আর এই বিষয়ে যথেষ্ট সুযোগ হতে হবে। কারন আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি হাতুড় দিয়ে একটি ইটের উপর বারবার আঘাত করলে; সেই ইটটা ভেঙে যায়। ঠিক তেমনি মানসিক আঘাত পেতে পেতে একজন মানুষ পরিবর্তন হয়ে যায়। এমন কিছু পরিবর্তন রয়েছে যেগুলো সে মানুষের জীবনের জন্য বড় ক্ষতির কারণ। পাশাপাশি অন্যান্যদের জন্যও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ব্লগিং ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
---|---|
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
আলোচনার বিষয় | মানসিক আঘাত |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার ও ব্লগার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
আমার আজকের টাস্ক
এটা কিন্তু একদম সত্যি কথা বলেছেন। মানুষ মানসিক আঘাতের ফলে পরিবর্তন হয়ে যায়। তবে সেই পরিবর্তনটা কিন্তু বেশ ভয়ানক। আমি এমনও মানুষকে দেখেছি। হাসিখুশি জীবনটা বিসর্জন দিয়ে ভবঘুরে হয়ে গেছে। এর পেছনে অবশ্যই বিভিন্ন রকম কারণ থাকে।