জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফটো ধারণ
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আমি, জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ধারণ করা কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমার ধারণা করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে থাকবে, শাপলা পুকুরের কিছু চিত্র।
আমাদের মহান জাতীয় স্মৃতিসৌধ ঢাকা সাভারে অবস্থিত। ঢাকা সাভারের নবীনগরে বিশাল এরিয়া জুড়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। আমাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশমাইল থেকে লোকাল বাসে মাত্র ১০ টাকা ভাড়া। তাই যখন ইচ্ছে তখন এখানে ঘুরতে পারি খুব সহজে। মাঝেমধ্যে ছুটি পেলে অথবা বাসায় থাকলে একটু ঘুরাঘুরি করতে উপস্থিত হতে পারি স্মৃতিসৌধের ভালোলাগা সাইটগুলো দেয়। আজকের ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন মিষ্টি মুখোর এক পরিবেশে আমার এই ফটোগ্রাফি করা। টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছিল। আমি যখন হেলিপ্যাড অতিক্রম করে শাপলা পুকুরের দিকে বসে ছিলাম। স্মৃতিসৌধের এরিয়ার মধ্যে এমন কিছু কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে এমনিতে বসে থাকলে মন ভালো হয়ে যায়।
সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিয়ত প্রচুর মানুষ এখানে এসে থাকেন। প্রায় প্রত্যেকটা দিন মানুষের উপস্থিতি দেখলে বোঝা যায়, কতজন মানুষ কত আশায় থেকে স্মৃতিসৌধ দর্শন করতে আসতে পেরেছে। সেই জায়গায় আমাদের বাসার অনেকটা নিকটে থাকায় তেমন কিছু মনে হয় না। প্রথম অবস্থায় আমরা যখন গাংনী মেহেরপুরে থাকতাম, তখন বেশ ভালো লাগতো। নতুন স্থান দেখতে কার না ভালো লাগে। তবে এখন আগের মতো সেই ভালোলাগা আর খুঁজে পাওয়া যায় না। যতটা ভালোলাগা খুঁজে পাওয়া যায় সেটা প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষের উপস্থিতির জন্য আর খুব সুন্দরভাবে গোছানো সাজানো রয়েছে এজন্য। শুধু নতুন কালের ফিলিংসটা কমে গেছে। আমি যখন শাপলা ফুল দেখব আর ফটো ধারণ করব এমন ভেবে হেলিপ্যাডের পাশ থেকে নেমে আসলাম। তখন এত বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। ভিজতে ভালো লাগছিল। আবার ভিজলে সর্দি জ্বর হওয়ার ভয় ছিল। তবুও হালকা হালকা ভেজার চেষ্টা করছিলাম। স্মৃতিসৌধের এরিয়ার মধ্যে রয়েছি তাই একটু ভালো লাগা ছিল অন্যরকম। আমার এই পাশের লোকেশন টা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। যেন এক অন্যরকম ভালোলাগা খুঁজে পাওয়া যায় এই সাইডে।
টিপ টিপ বৃষ্টির মুহূর্তটা বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মানুষদের একটু বিভ্রান্তিতে ফেলেছিল। সব মানুষের হাতেই মোবাইল রয়েছে। মোবাইল ভিজে যাওয়ার ভয় রয়েছে। তাই যে যার মত একটু মাথা গুজার ঠাই খুঁজছিল এদিকে সেদিকে। তবে জায়গায় জায়গায় মানুষ দাঁড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। তবে কিছু কিছু মানুষ আমার মত একটু পানিতে ভেজার চেষ্টা করছিল আর ফটো ধারণ করছিল। এ মুহূর্তে আকাশে অনেক সুন্দর মেঘ ছিল। যে মেঘেকে বেশি বৃষ্টি হবে না, এমনটাই আশা করেছিলাম। ভালোলাগার অনুভূতি নিয়ে চলছিলাম আর শাপলা পুকুরের চারিপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। আর এভাবে একাকী বৃষ্টি হওয়ার মুহূর্তটা উপভোগ করছিলাম।
ফটোগ্রাফি | রেনডম |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei mobile |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
আমার আজকের টাস্ক
আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। জাতীয় স্মৃতিসৌধ হতে আমি ছোটবেলায় গিয়েছিলাম। সুন্দর একটি স্থান তৈরি করেছে। সবাই এখানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়ে থাকে। আপনার ধারণ করা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক অনেক ভালো লাগলো দেখে।
হ্যাঁ বিজয় দিবসে অনেক মানুষ এসেছিল।
অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি ক্যাপচার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে ভাই। সাভার স্মৃতিসৌধ এখনো যাওয়া হয়নি তবে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সুযোগ করে ঘুরে যাবেন
স্মৃতিসৌধ এর এরিয়া গুলো খুব সুন্দর এবং মনোরম। ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। আমি খুব ছোটবেলায় একবার গিয়েছিলাম। এত বছর আর যাওয়া হয়নি। পদ্ম ফুল কচুরিপানা সব মিলিয়ে খুবই ভালো লাগছে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
এরিয়া টা খুবই সুন্দর