আটটি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। সকালের শুরুতে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে আটটি ফটো নিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার। আমি মনে করি, আমার এই রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্টটা আপনাদের ভালো লাগবে।
রঙ্গন ফুল, সবুজ পাতা ভেদ করে যেন সামনের দিকে বের হয়ে আসে। অনেক সুন্দর ভাবে ডালের উপর সাজিয়ে গুছিয়ে নিজেকে প্রেজেন্ট করেন। ফুলের এই সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি, রঙ্গন ফুল শীতের সময় বা শীতের পর থেকে ফুটতে শুরু করে। এ ফুলগুলো ফোটার পর বেশ অনেকদিন থাকে। এরপর আস্তে আস্তে ঝরে যায়। তবে একত্রে বেশ অনেকগুলো ফুল ফোটায়,ফুলের চাকটা যেন অনেক সুন্দর হয়।
এটা জবা ফুলের কলি। জবা ফুলের কলি গুলো বেশি দারুন লাগে। একটি জবা ফুল গাছের যখন চারিপাশে অসংখ্য কলি এভাবে বেড়ে উঠতে থাকে তখন গাছটাকে বেশ দারুন মানায়। গাছের ডালপালা কিছুটা সাদা চামড়া বিশিষ্ট এরপর ডালে ডালে সবুজ পাতা। তারপর সুন্দর এই লাল আকৃতির কলিগুলো গাছটাকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে তুলতে থাকে।
কিছু পাখি রয়েছে পুষে রাখতে অনেক ভালো লাগে। আবার কিছু পাখি রয়েছে যেগুলো পোষ মানানো বেশ কঠিন। এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন খাঁচায় বন্দি থাকা বেশ কয়েকটা লাভ বার্ড পাখি। এই পাখিগুলো বিভিন্ন রঙের আর বিভিন্ন সৌন্দর্যে সৃষ্টি। পালকগুলো আমার এতটাই ভালো লাগে। এ পাখি পোষার অনেক শখ রয়েছে।
পোষা প্রাণের মধ্যে অন্যতম খরগোশ। অনেকের সখের বসে এই প্রাণীকে পুষে থাকেন। আবার অনেকে এর মাংস খাওয়ার জন্য। আমার অনেক দিনের ইচ্ছে রয়েছে বাড়িতে এক জোড়া খরগোশ পোষার। এগুলো অনেক ভালো লাগার প্রাণী। বাসায় এই সমস্ত প্রাণী পুষে রাখতে পারলে নিজের কাছে ভালোলাগা থাকে। আমার একজন গেস্ট খরগোশ পুষে থাকেন। কার কাছ থেকে বেশ ধারণা পেয়েছিলাম।
গাংনী উপজেলার মধ্যে অবস্থিত বড় মসজিদ। মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে সিঁড়ির পাশে অবস্থান করেছিলাম। অনেক সুন্দর এই মসজিদের আকৃতি। মসজিদের এরিয়াটুকু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। নামাজের মুহূর্তে গেট খোলা থাকে। হয়তো সেই সুযোগে ছোট একটি ছাগলছানা গেটের মধ্যে প্রবেশ করে হাসপাতালে খুঁজে পাচ্ছে। বসে থাকা অবস্থায় লক্ষ্য করে দেখলাম সুন্দর এই ছাগল ছানাটা। তাই দূর থেকেই ফটো ধারণ করেছি।
জন্মদিন বছরে একবার ফিরে আসে। কেউ নিজের জন্মদিন মনে রাখে আবার অনেকেই রাখেনা। বর্তমান সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সঠিক জন্ম তারিখটা বাদ রেখে দুই বছর কমিয়ে দেয়। এতে ভবিষ্যতে চাকরি-বাকরির জন্য সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি হবে এই আশায়। তবুও আমি সঠিক দিনটাকেই প্রাধান্য দেই। প্রিয় মানুষের জন্মদিনটাতে উপহার দেওয়ার আশায় উপস্থিত হয়েছিলাম উপহারের সন্ধানে। আর সেই থেকে একটি সুন্দর জন্মদিনের গিফট এর ফটো ধারণ করেছিলাম।
জিলাপির দোকানগুলোতে এত সুন্দর ভাবে জিলাপি সাজিয়ে রাখা হয় দেখেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। আমি মাঝেমধ্যে জিলাপি কিনে খেতে পছন্দ করি। তবে গরম গরম জিলাপি গুলো বেশি ভালো লাগে। বিভিন্ন স্থানে লক্ষ্য করে দেখেছি। কাস্টমারদের নজর আকর্ষণ করতে এভাবেই জিলাপি গুলো সাজানো হয়।
এটা দুপুর মনি ফুল। ফুলগুলো অনেক সুন্দর। সবুজ পাতার উপরে উপরে ফুটে থাকা হলুদ ফুলগুলো বেশ দারুন দেখায়। আমাদের বাসার পাশেই বেশ কয়েকটা বাড়িতে এ ফুল গাছ দেখি। আমাদের বাসা থেকে বের হয়ে বাম পাশে একটি বাড়িতে রয়েছে দুপুর মনি ফুল গাছ তবে সেই ফুলগুলো গোলাপী বর্ণের। আর কিছুটা পথ এগিয়ে আসতেই কবরস্থান রোডে একবারের পাচিলের পাশে এই ফুলের গাছটা। বিভিন্ন ফুলের বাগানে বা নার্সারিতে এই গাছগুলো দেখানা মিললেও বেশ কিছু বাড়িতে দেখা মিলে। ফুল প্রেমিক এমন কিছু ভাই বোনেরা রয়েছে যারা বেশ যত্ন সহকারে এই গাছগুলোকে দেখাশোনা করে রাখেন। তাইতো এত সুন্দর ফুল ফুটে থাকে।
ফটোগ্রাফি | রেনডম |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei mobile |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফিই খুব সুন্দর হয়েছে। আমি মনে করি ফটোগ্রাফি ও একটা আর্ট। তাইতো সঠিক এঙ্গেল থেকে সঠিক ফটোগ্রাফি করতে না পারলে ফটোগ্রাফি দেখতে একদমই ভালো লাগে না। ধৈর্য সহকারে ফটোগ্রাফি করতে পারলে দেখতে খুব ভালো লাগে। জিলাপির সাজিয়ে রাখার ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
এটা কিন্তু আপনি ঠিক বলেছেন
Twitter-promotion
সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন সবগুলো ফুলের দৃশ্য আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে ভাইয়া। স্বচ্ছ সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
দুপুর মনি ফুল গুলো কে আমরা সন্ধ্যা মালতি ফুল নামে চিনি। এই ফুলগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। আপনার আজকের প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল। পাখির ফটোগ্রাফি এবং রঙ্গন ফুলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ও আচ্ছা যে যেখানে যে নামে জানে আর কি।
অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি আজকের এই অ্যালবামটা তৈরি করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটা ফটোগ্রাফি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল। আমার কাছে আপনার প্রথম তিনটা ফটোগ্রাফি একটু বেশি ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর করে বর্ণনা সহ তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো।
আমি চেষ্টা করব এভাবে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির অ্যালবাম প্রকাশ করতে
বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী দিয়ে একটি ফটোগ্রাফি অ্যালবাম সাজিয়েছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী চোখ জুড়ানোর মতো। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা জিলাপির ফটোগ্রাফি টি দেখে লোভ লেগে গেল ভাইয়া। আসলে গুড়ের তৈরি করা জিলাপি আমার খুবই প্রিয়।
বেশ সুন্দর প্রশংসা করেছেন ভাই।
ওয়াও বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি দেখলাম আপনার আজকের শেয়ার করা পোস্টটিতে।ফটোগ্রাফি আমি অনেক ভালোবাসি। আজ কিন্তু আপনার দুর্দান্ত ফটোগ্রাফিগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক অসাধারন ছিল। জবা ফুলের কলি একটু বেশি সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মুগ্ধ করতে পেরেছি জেনে খুশি হলাম
আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাই। আপনার ফটোগ্ৰাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, বিশেষ করে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো।বাকি ফটোগ্ৰাফি গুলো বেশ দারুন হয়েছে।
যদি মুগ্ধ করতে পারি তাহলে তো ধন্য।
আমার আজকের টাস্ক
বাহ ভালো লাগার মত চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে রঙ্গন ফুলের ফটোগ্রাফি এবং ফুলের কলির ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশি ভালো লাগলো। খরগোশের ফটোগ্রাফিও চমৎকার লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে কমেন্ট করেছেন আপু। আপনার কমেন্ট আমাকে আরো উৎসাহ এনে দিল।