আটটি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে আমার। তাই ব্লগিং জার্নি শুরু থেকেই ফটোগ্রাফি করার প্রতি ভালোলাগা সৃষ্টি হয়েছে। তাই চেষ্টা করে থাকি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে। আজকে কিছু আলোকচিত্র আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। মনে করি,ভিন্ন ভিন্ন ধরনের আলোকচিত্র গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে গ্রামীণ সৌন্দর্য ক্যামেরা বন্দি করা সম্ভব। এই ফটোগ্রাফিতে আপনারা লক্ষ্য করছেন একটি বটগাছের গোড়ায় অনেকগুলো ছাগল। এমন ফটোগ্রাফি গুলো গ্রামের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম। একদিন মোটর সাইকেলে গ্রামের পথ ধরে ছুটে চলেছিলাম। যেতে পথে অনেকগুলো ছাগল দেখতে পারলাম তিন রাস্তার মোড়ে বট গাছের পাশে। তখন গাড়িটা স্লো করে এই ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
গ্রামীন কৃষিকাজগুলো সব সময় ভালোলাগা এনে দেয়। গ্রামে অবস্থান করলে কৃষকদের বিভিন্ন কৃষিকাজ চোখে পড়ে। এখানে দেখছেন একটি স্যালো মেশিন এর পানি উঠছে। আমি ছোটবেলায় কাজিনদের সাথে এই স্যাল ইঞ্জিন স্টার্ট করেছি। এখন সেভাবে তো আর কৃষিকাজে যাওয়া হয়না। তবে বেশ মিস করি এই সমস্ত জিনিসগুলো।
শীতের সময় ফুলের ফটোগ্রাফি ভালো লাগে। বিশেষ করে সকালবেলায় শিশির ভেজা ফুল গুলো দেখতে অতি চমৎকার লাগে। এখানে লেবু গাছের ফুল যেন মাকড়সার জাল আর শিশিরের ফোঁটায় ঘিরে রয়েছে। একদিন সকাল করে বেশ অনেকগুলো ফটো ধারণ করলাম।
দূবলা ঘাস ব্যাপক পরিচিত। খেলার মাঠ থেকে শুরু করে ফসলের মাঠ। চলতি পথ থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে এই ঘাসগুলো দেখতে পাওয়া যায়। শীতের সকালে শিশির ভেজা দুবলা ঘাসগুলো আরো সুন্দর লাগে। ফটোগ্রাফিতে দেখেই বুঝতে পারছেন শিশির কণাগুলো কত সুন্দর ভাবে পাতার উপর জমে রয়েছে ফোঁটায় ফোটায়। একদম মন ছুয়ে যাওয়ার মত সৌন্দর্য এর মধ্যে নিহিত। যেন প্রাণ ফিরে পাওয়া যায় এমন চিত্রের মাঝে।
কিছুদিন আগে ঢাকায় ফেরার জন্য গাংনীর শ্যামলী কাউন্টার থেকে টিকিট কাটছিলাম। তখন গাংনী বাস স্ট্যান্ড মোড় থেকে এই ফটোটা ধারণ করেছিলাম। গাংনী শহর টা এখন অনেক সুন্দর হয়ে গেছে। আমরা প্রথম যখন গাংনীতে ঘর নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করেছিলাম, তখন এতটা জাকজমকপূর্ণ ছিল না। এখনো সন্ধ্যা রাতের পর অনেক মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। অনেকটা ঢাকা শহরের মত হয়ে উঠেছে গাংনী শহর।
এখানে দেখছেন বাঁধাকপি। একদিন নানী বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে নানীদের গ্রামের ফসলের মাঠ ভ্রমণ করছিলাম। একটা সময় নানার সাথে মামাদের সাথে কত চলাচল করেছি এই ফসলের মাঠগুলোতে। ফসলের মাঠ এখনো ঠিক তেমনি রয়েছে। কত ধরনের ফসল প্রতি বছরের হতে রয়েছে। কিন্তু আগের মত আর নিয়মিত আসা-যাওয়া নেই নারীদের গ্রামটাতে। নানা নানী অনেক আগেই ইহকাল ত্যাগ করেছেন। মাঝেমধ্যে সুযোগ করে গ্রামে উপস্থিত হলে ঘুরে ঘুরে দেখার চেষ্টা করি অতীতের স্মৃতি রাখা স্থানগুলো। ফসলের মাঠে খুঁজে পাই ভালো লাগার অনুভূতি।
প্রায় মাঝেমধ্যে একটা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে থাকি। এটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক অর্থাৎ জয় বাংলা গেটের রেস্টুরেন্ট। আর সেই রেস্টুরেন্টের সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয়ে একুরিয়াম ও একুরিয়ামের মধ্যে থাকা মাছগুলো।
এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম ধানমন্ডি ৩২ লেক থেকে। একটা সময় বারবার উপস্থিত হতাম ধানমন্ডি ৩২ এ। অনেকবার লেকের পায়ে চালিত বোর্ডগুলোতে উঠেছি এবং ভেসে বেড়িয়েছি লেকের পানির উপর। অনেক ভালোলাগার স্থান এই জায়গাটা। সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটানোর জন্য বেশ উপযোগী একটা জায়গা। বিভিন্ন গাছপালা সৃষ্টি মনোরম পরিবেশ। প্রতিনিয়ত শত শত শরণার্থীর আগমন হয় এই স্থানে।
ফটোগ্রাফি | রেনডম |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei mobile |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
আজকে আপনি আট ধরনের আটটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার এই রেনডম ফটোগ্রাফি অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাই। প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য শহরের চিত্র ছাড়াও সবজি ও ছাগলের ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লেগেছে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি
Twitter-promotion
প্রতিট ছবিই খুবই সুন্দর ভাইয়া। তবে তুলনামূলকভাবে শেষের দুটি ছবি একটু কমজরি মনে হল। প্রথমের দিকের গুলো একেবারে পারফেক্ট। শীতের দিন এমন ছবি দেখতেই তো ভালো লাগে। মন জুড়িয়ে গেল।
ফটোগ্রাফির জগতে নতুন দোয়া করবেন যেন ভালো ভালো ফটো আনতে পারি
আপনি বিভিন্ন সময় খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন। আপনার আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি বেশ দক্ষতার সাথে ক্যাপচার করেছেন আপনি। বাঁধাকপির ফটোগ্রাফি এবং শেষের ধানমন্ডি লেকের ফটোগ্রাফি টা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি এত সুন্দর করে ফটো করতে
এইরকম ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে ভাইয়া। শীতের সকালের শিশির ভেজা ফটোগ্রাফি আমি অনেক অনেক পছন্দ করি। আমার মনে হয় ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আরো বেশি ভালো লাগে। কিন্তু আমাদের বাসায় তো ফুল নেই যার জন্য ফটোগ্রাফি করতে পারিনা। যাইহোক আপনি অনেক সুন্দর করে বেশ কয়েকটা ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করেছেন। ছাগলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
অনেক ভালো লাগলো
আমার আজকের টাস্ক
আজকে আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো। বাঁধাকপির ফটোগ্রাফিও লেবু ফুলের ফটোগ্রাফি অসাধারণ লাগলো। আর ছাগলের ফটোগ্রাফিও চমৎকার হয়েছে। আমাদের এদিকেও দেখা যায় বট গাছের নিচে এরকম ছাগলগুলো বসে থাকে। যাইহোক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের উৎসাহ গুলো আমাকে আরো সুন্দর ফটোগ্রাফি করার সুযোগ এনে দেয়।
দুবলা ঘাসের ওপর শিশিরের বিন্দু গুলো দেখে অসম্ভব ভালো লাগলো। এছাড়াও মাছের একুরিয়াম গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি ধারণ করেছেন ভাইয়া। দেখে খুবই ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ
আটটি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম সাজিয়েছেন দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।ফটোগ্ৰাফি করাটা অনেকটা নেশার মতো হয়ে গিয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর করে সময় দিয়ে ধৈর্য ধরে ফটোগ্ৰাফি করেছেন আপনার ফটোগ্ৰাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে মাছ এবং পাতাকপির ফটোগ্রাফিটি।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনার ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে শিশির ভেজা ঘাসের ফটোগ্রাফি দেখতে অসাধারণ লেগেছে। এ ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু