ছাগলের ভুঁড়ি রান্না রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আমি আজকে উপস্থিত হয়েছি রেসিপি নিয়ে। মজাদার ছাগলের ভুঁড়ি রান্নার রেসিপি শেয়ার করব। ছাগলের ভুঁড়ি রান্না রেসিপি খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। মনে করি আপনাদের ভালো লাগে। আমার এই রেসিপি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপাদান
প্রয়োজনীয় উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
ছাগলের ভুড়ি | হাফ কেজি |
পেঁয়াজ | ৪ পিস |
রসুন | ২ পিস |
গুড়া ঝাল | ১ চা চামচ |
গুড়া মসলা | ১ চা চামচ |
হলুদের গুড়া | ১ চা চামচ |
পানি | পরিমাণ মতো |
আলু | ৪ পিস |
তেল | ৭৫ গ্রাম |
লবণ | পরিমাণ মতো |
![]() | ![]() | ![]() |
---|
প্রস্তুত প্রণালীর ধাপ:
প্রথম ধাপ:
প্রথম অবস্থায় কড়াইটাতে তেল দিয়ে নিলাম। চুলার উপর কড়াইটা গরম হতে থাকলো।
দ্বিতীয় ধাপ:
এবার কড়াইয়ের তেলের মধ্যে পেঁয়াজ রসুন কুচি, ঝাল হলুদের গুঁড়া ছাড়াও লবণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মসলা দিয়ে দিলাম।
তৃতীয় ধাপ:
কিছুটা সময় ধরে চামচ দিয়ে মসলাগুলো ভালোভাবে তেলে ভেজে নেওয়া হল। কিছুটা সময় চামচ দিয়ে নাড়তে নাড়তে মসলাগুলোর মধ্যে আলাদা রং হয়ে গেল। আর এভাবেই সবকিছু তেলে ভাজা হলো।
চতুর্থ ধাপ:
এখন কড়াইয়ের মধ্যে ছাগলের ভুঁড়ি টুকরা টুকরা করে কেটে কড়াইয়ের মধ্যে দিলাম।
পঞ্চম ধাপ:
এরপর চামচ দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে মসলার সাথে ছাগলের চর্বি মেশাতে থাকলাম। সমস্ত টুকরার সাথে জানো মসলা মিশ্রণ হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখলাম। তাই বারবার করে চামচ দিয়ে নেড়ে নেড়ে মিশাতে থাকলাম।
ষষ্ঠ ধাপ:
বেশ কিছুক্ষণ ধরে চুলা জ্বলতে থাকে। এদিকে ভুঁড়ি সিদ্ধ হতে থাকে। এদিকে আলুগুলো ছোট ছোট ফালিফালি করে নেওয়া হয়েছে। ভুঁড়ি যথেষ্ট পরিমাণ সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর আলুর ছোট ছোট ফালি গুলো কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে।
সপ্তম ধাপ:
এরপর কড়াইয়ের সমস্ত উপাদান গুলোর সাথে আলুর ফালি গুলো মিশ্রণ করলাম। যেন সমস্ত মসলা ও ভুঁড়ির তেল আলুর সাথে লেগে যায়। একদিকে চুলা জ্বলতে থাকলো। আরেকদিকে আমিও নাড়তে থাকলাম। আর এভাবে একটি সময় যথেষ্ট সিদ্ধ হয়ে গেল সবকিছু।
অষ্টম ধাপ:
এবার কড়াইয়ের মধ্যে হাফ কাপ পরিমাণ পানি ঢেলে দিলাম। একটু ঝোল ঝোল ভুনা রেসিপি করব। তাই পানি দেওয়ার পর অনেক সুন্দর করে আবারো নাড়তে থাকলাম যেন সবকিছু সুন্দরভাবে সিদ্ধ হতে পারে।
নবম ধাপ:
একটি পর্যায়ে কড়াইটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। যেন ভালভাবে সিদ্ধ হতে পারে তরকারি। আর এভাবে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে জাল দিতে থাকি। মোটামুটি সব কিছু গরম হয়ে ফুটতে থাকে। এরপর ঢাকনাটা সরিয়ে দেওয়া হয়। লক্ষ্য করে দেখা যায় যথেষ্ট সিদ্ধ হয়ে গেছে।
শেষ ধাপ:
আর এভাবেই একটি পর্যায়ে রান্নার কার্যক্রম শেষ হয়। রান্না শেষ হয়ে গেলে কড়াইটা নামিয়ে আনা হয়। এরপর কড়াই থেকে তরকারি গুলো একটি গামলার মধ্যে তুলে নেওয়া হয়। আর এভাবে আমার রান্না সমাপ্ত করে, রান্নার ঘর ত্যাগ করা হয়।
🧆পরিবেশন🧆
এরপর আমরা সবাই মিলে সুন্দর রেসিপি পরিবারের মাঝে পরিবেশন করার মধ্য দিয়ে খাওয়া দাওয়া করি। মজাদার এই ভুঁড়ি রান্না পরিবারের সবাই মজা করে খায়। সবাই অনেক অনেক পছন্দ করেছিল চমৎকার এই ছাগলের ভুঁড়ি রান্না রেসিপি। আর এভাবেই মজাদার ভুলি রান্নার কার্যক্রম শেষ হয় এবং রেসিপি প্রস্তুত করে পরিবেশন করা হয়।
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ব্লগার | @helal-uddin |
ডিভাইস | Infinix hot 50 pro mobile |
ঠিকানা | মেহেরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভেরিফাইড ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
ছাগলের ভুঁড়ি রান্না রেসিপি শেয়ার করেছেন।এ ধরনের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি, তবে আপনার রেসিপিটি দেখে লোভ লাগছে।রেসিপিটি আপনি প্রতিটি ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ছাগলের বট রেসিপি এখন পর্যন্ত কোন দিন খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে ছাগলের ভুঁড়ি রান্না রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
খাবেন ভাইয়া ভালো লাগবে
Twitter-promotion
আমার আজকের টাস্ক
অত্যাধিক মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ছাগলের ভুড়িতো আমি রুটি দিয়ে বেশি পছন্দ করি। মাঝেমধ্যে আমাদের বাড়িতে যখন এগুলো কিনে আনা হয় অনেক সুন্দর করে রান্না করে পরিবারের সবাইকে খাওয়ানোর চেষ্টা করি আমি। ভালো লাগলো ভাইয়া এত লোভনীয় রেসিপি দেখে।
আমার খুব পছন্দের রেসিপি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এ লোভনীয় রেসিপিগুলো যতই খাই না কেন দেখলে আরো খাওয়ার জন্য লোভ লেগে যায়। খাসির ভুঁড়ি আমার খুব প্রিয় একটি খাবার। এই রেসিপিগুলো একটু বেশি করে ঝাল দিয়ে ভাজা ভাজা করে বা আলু দিয়ে ভুনা করে খেতেও অনেক স্বাদ লাগে। আপনি খুব দারুণ করে রেসিপিটি রান্না করেছেন দেখে বুঝা যাচ্ছে। নিশ্চয়ই খেতেও অনেক স্বাদ লেগেছিল।
আমার অনেক ফেভারিট
ছাগলের ভুঁড়ি রান্নার অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই রেসিপিটা ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে খেতে খুবই বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে এটা খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে।
ছাগলের ভুড়ি এর আগে আমি কখনো খাইনি কিন্তু আপনার রান্না দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু। যদিও আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরির প্রত্যেকটি ধাপ আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আর খাবারটি দেখি অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছিল।
ছাগলের ভুঁড়ি ভুনা খেতে আমি খুব পছন্দ করি। এভাবে আলু ছোট করে দিয়ে ভুনা করলে খেতে দারুণ লাগে। আপনার এমন মজাদার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গিয়েছে। তবে এই ভুঁড়ি পরিষ্কার করা খুবই কষ্টকর। কিন্তু খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আলু দিয়ে এভাবে বুড়ি রান্না করলে খেতে কিন্তু অনেক সুস্বাদু হওয়ায়। যদিও বা ছাগলের বুড়ি এখনো পর্যন্ত খাওয়া হয়নি। কিন্তু আলু দিয়ে বুড়ি রান্না খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। তৈরি করে ধাপগুলো খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতেও কিন্তু অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।