সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। আজকে আপনাদের মাঝে সাতটা ভিন্ন ধরনের ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফী শেয়ার করব। আমি মনে করি এই ফটোগুলো বেশ ভালো লাগবে।
এখানে আপনারা দেখছেন অনেক সুন্দর একটি শিমের ফুল। নতুন মোবাইলে অনেক সুন্দর ভাবে ফটো ধারণ করতে সক্ষম হলাম। ক্যামেরা পরীক্ষা করতেই লক্ষ্য করে দেখলাম মনের মত ফটো হয়েছে এটা। আশেপাশে বিভিন্ন রকমের ফুল থাকলেও এটা কিন্তু দারুণ লেগেছে আমার কাছে। মোবাইলটা একটু জুম করে ফুলকে ফোকাস করেছিলাম। এজন্য ফটোগ্রাফিটা এত চমৎকার হয়েছে।
প্রিয় মানুষটাকে কিছু কিনে দেওয়ার জন্য শপিং করতে গেছিলাম। শপিংয়ে অন্যান্য জিনিস কেনাকাটার মধ্যে অন্যতম ছিল তার এক জোড়া জুতা। তাই জুতার দোকানে উপস্থিত হতে হয়েছিল। আর সেখানেই চমৎকার সারিবদ্ধ জুতা স্যান্ডেল দেখে মুগ্ধ হয়ে ফটো ধারণ করেছিলাম। দোকানগুলো অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো থাকে। যেন কাস্টমার এসেই প্রয়োজনীয় ভালোলাগার জুতাগুলো সহজেই দেখতে পারে।
শীতকাল মানেই বিভিন্ন রকমের পিঠা খাওয়ার আয়োজন। শীত আসার সাথে সাথে আমাদের বাসাতেও বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করা শুরু হয়ে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে একের পর এক এক রকম পিঠা তৈরি হচ্ছে। কিছুদিন আগে ভাপা পিঠা দুধ পিঠা পুলি পিঠা তৈরি করেছিল। গত পরশুদিন আমার ফেভারিট এই পাকান পিঠা তৈরি করেছে। শীতের দিনে গরম অথবা বাসি এই পিঠাগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে আমার।
২০২৫ সালের প্রথম দিনটা একটু ফাঁকা পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে গেছিলাম। ফসলের মাঠে কত সুন্দর সরিষা ফুল। আমি সরিষা ফুলের ফটো ধারণ করার পাশাপাশি অনেক আনন্দিত ছিলাম ফসলের মাঠে। মাঠে গেলেই বুঝতে পারা যায় কত ভালো লাগার জায়গা। যেখানে গাড়ির হন হন শব্দ নেই। বায়ু দূষণ নেই। ধুলাবালি নেই। মুক্ত পরিবেশে যতদূর চোখ যায় যেন শুধু সুন্দর প্রকৃতি। আর তার মধ্যে যদি এমন সরিষার ফুল থাকে। সরিষার ফুল যেন আরো মায়া বাড়িয়ে তোলে দেশ ও মাটির প্রতি।
বেশ অনেকদিন আগে আমাদের গাংনী শহর থেকে এই পাখির ফটো ধারণ করেছিলাম। আমি পাখি পুষতে অনেক পছন্দ করি। আমাদের ঢাকার বাসা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছুটা গ্রামে। সেখানে অনেক রকমের পশু পাখি পোষা হয়। বিশেষ করে ছাগল মুরগি হাঁস সব সময় আমাদের বাসায় থাকে। কিন্তু খাঁচায় পুড়ে পোষা পাখি আজ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। গাংনী থাকাকালে কোয়েল পাখি পোষা হত। তবে অনেক দিনের ইচ্ছে রয়েছে এই পাখি পুষবো। জানিনা কখনো সুযোগ হবে কি। একদিন এ পাখি কেনার উদ্দেশ্যেই একটি দোকানে উপস্থিত হয়ে ফটো ধারণ করেছিলাম।
আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধের মধ্য থেকে ধারণ করা এই সুন্দর ফটোটা। স্মৃতিসৌধের মধ্যে যেখানে অবস্থান করবেন না কেন সেখান থেকেই ফটো ধারণ করলেই সৌন্দর্য খুঁজে পাবেন। আমার মনে হয় বিভিন্ন পার্কে ঘোড়ার চেয়ে সুন্দর এই স্মৃতিসৌধের এরিয়ার মধ্যে ঘোড়ার আনন্দ অনেক বেশি। এখানে একদম মনোরম পরিবেশ। আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। কিন্তু বিকেল হতে না হতেই মানুষজনকে বের করে দেওয়া হয় এটাই একটু বেশি খারাপ লাগে। এখন কি করার,সরকারি নিয়ম মেনে চলতেই হবে।
এই ফটোটা ধারণ করেছি ধানমন্ডি ৩২ লেকের পাড় থেকে। সেখানে বসে থাকার যেমন জায়গা রয়েছে। ঠিক তেমন খেলাধুলা ব্যায়াম করা হাঁটাহাঁটি করার বেশ দারুন জায়গা রয়েছে। আমি মাঝেমধ্যে যখন ধানমন্ডির দিকে চাই চেষ্টা করি লেকের পাড়ে অবস্থান করতে। এখানে বসে থাকার মত বেশ মনোরম পরিবেশ রয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবী মানুষ ছাত্র-ছাত্রীরা সময় কাটানোর জন্য এখানে আসে।
ফটোগ্রাফি | রেনডম |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
আমার আজকের টাস্ক
খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
রেন্ডম ফটোগ্রাফি দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। কেননা রেন্ডম ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফির সাথে পরিচিত হওয়া যায়। আপনার রেন্ডম ফটোগ্রাফির মধ্যে সবথেকে পাকান পিঠার ফটোগ্রাফিটি বেশি ভালো লেগেছে । আসলেই রেসিপিটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে খেতে।
ফটোগ্রাফি করতে এবং ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। সবগুলো ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দর ছিল। তবে বিশেষ করে আমার কাছে সিমের ফুলের ফটোগ্রাফি এবং সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জাস্ট অসাধারণ ফটোগ্রাফি গুলা আপনি শেয়ার করলেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। সিম ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লেগেছে। তাছাড়াও পিঠার ফটোগ্রাফি টা আমার অনেক ভালো লাগলো। দেখে তো খেয়ে নিতে ইচ্ছে করছে। রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বাহ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন তো। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি দেখোতো একদম মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এবং আপনার অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।