ফটোগ্রাফি করাটা যেন দক্ষতার বিষয়
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য হতে পেরে ব্লগিং সম্পর্কে যেমন অনেক ধারণা পেয়েছি, তেমনভাবে ফটোগ্রাফির প্রতি ধারণা অর্জন করেছি। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি কিভাবে করতে হয়। কোন পরিবেশের দৃশ্য সুন্দরভাবে ক্যামেরায় ধারণ করা যায় এমন দক্ষতা অর্জন করেছি এই কমিউনিটির জন্য। আজকে তেমনি ভালো লাগার রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। আজকের ফটোগ্রাফি থাকবে শিশির ভেজা ফসলের পাতা ফটোগ্রাফি।
ফটোগ্রাফি করাটা এক প্রকার দক্ষতার বিষয়। একটা সময় আমি মনে করতাম, মানুষ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে মনে হয় নিশ্চয়ই ভালো মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়ে করে থাকে। তবে আমি এখানে কাজ শুরু করে একটা বিষয় ভালো করে লক্ষ্য করে দেখি। অনেকজন ফটোগ্রাফি পোস্ট করে থাকেন, সেখানে মোবাইলের ক্যামেরা উল্লেখ করেন। আমি নেটে সার্চ করে দেখি মোবাইলটা কেমন, কত দামের মোবাইল। ক্যামেরার লেন্স কেমন ও কত মেগাপিক্সেলের। এইতো কিছুদিন আগে ফুলের ফটোগ্রাফি কনটেস্ট চলে গেল। তখন আমি খেয়াল করে দেখেছিলাম অনেক জনের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মোবাইল দিয়ে কত সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি করেছে। একটা সময় এমন সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি দেখলে আমি মনে করতাম হয়তো এগুলো অনেক দামি মোবাইলের। কিন্তু এখন আস্তে আস্তে বুঝতে শিখেছি ক্যামেরা যাই হোক না কেন ফটোগ্রাফিতে নিজের পারদর্শিতা প্রয়োজন আছে। কারন আমার কাছে ভালো-মন্দ উভয় প্রকাশ সেট রয়েছে। আমি মাঝে মধ্যে ফটোগ্রাফি করি কিন্তু ফটোগ্রাফির দক্ষতা ছিল না। এজন্য সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারিনা। ভাবতাম যে কোন জিনিসের দিকে ক্যামেরা ধরে ক্লিক করলেই সুন্দর ফটোগ্রাফি হয়ে যায়। আবার যখন সুন্দর হতো না তখন মোবাইলের সমস্যা মনে করতাম। প্রাকৃতিক পরিবেশ ফসলের মাঠ এগুলো ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগে। অন্যান্য ইউজারদের সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে আমিও চেষ্টা করি কিন্তু ভালো ফটো করতে পারি না।
আমি আস্তে আস্তে ফটোগ্রাফি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করি এবং বুঝতে পারি ফটোগ্রাফির জন্য নিজের পরিশ্রম প্রয়োজন হয় অনেক ক্ষেত্রে। কিছুদিন আগে কয়েকজন ভাই-বোনেরা শিশির ভেজা ফটোগ্রাফি শেয়ার করল দেখলাম। এই দেখে আমি উৎসাহিত হয়ে। তাদের ফটোগ্রাফির মধ্যে রয়েছে সুন্দর কৌশল। কিছুদিন আগে ফটোগ্রাফির জন্য একদম ফসলের মাঠে গিয়ে উপস্থিত হলাম। হাইরোড থেকে নেমে মাঠের দিকে রাস্তা। মাঠের দিকে চলে যাই। ফসলের জমিতে শিশির ভেজা ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। দেখলাম ভালো ফটোগ্রাফি হচ্ছে না। ফাস্টে ধারণ করা ফটোগ্রাফি গুলো একদম লাস্টের দিকে রাখলাম দেখে নিয়েন। তবে আমি চেষ্টা করতে থাকলাম। গমের পাতায় জমে রয়েছে শিশির। সকালবেলায় হালকা হালকা ঠান্ডা অতিক্রম করে শিশিরের ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু সেভাবে ক্যামেরায় ধরা পরল না। এরপর আমি ভেবে দেখলাম একটু জুম করে গ্লাসে টাচ করে ফটোগ্রাফি কেমন হয়। তখন দেখলাম বেশ ফ্রেশ ভাবে ফটোগ্রাফি করতে পারছি। এর আগে আমি শুনেছিলাম একটু জুম করে নিয়ে ফটোগ্রাফি করলে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি ভালো হয়।
এরপর শিশির ভেজা ফসলের মাঠে বসে পড়লাম। তারপর ধীরে ধীরে ফটোগ্রাফি করতে থাকি। লক্ষ্য করে দেখি এত সুন্দর সুন্দর ফটো হচ্ছে। আমি কখনো কল্পনাতে ভাবিনি নিজের হাতে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারব। দেখে মনে হচ্ছিল এত আমার দৃষ্টিতে পূর্বে দেখা সেই স্পেশাল ফটোর মতো ফটো হচ্ছে। অনেক আনন্দ লাগলো আমার। আমিও যেন ফটোগ্রাফি করতে পারছি ভালো। একটা সময় আমার কাছে চিন্তা ছিল এত সুন্দর সুন্দর ফটো হয় কিভাবে। এখন যেন মনে হচ্ছে হ্যাঁ আমি বুঝতে শিখেছি ফটোগ্রাফির দক্ষতা দরকার। কেমন পর্যায়ের ফটোগ্রাফি কিভাবে করতে হবে। আমি কয়েকবার সূর্যের আলো লেগে আছে এমন শিশির ভেজা গমের পাতায় ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। লক্ষ্য করে দেখলাম সে ফটোগ্রাফি গুলো কেন জানি ভালো হচ্ছে না। এরপর আবার ছায়াযুক্ত স্থানে ফটোগ্রাফি করলাম দেখলাম সে ফটোগ্রাফি গুলো ভালো হচ্ছে। তখন বুঝতে পারলাম যে সূর্যের আলো আর ছায়াযুক্ত স্থানের মধ্যেও ফটোগ্রাফির তারতম্যতা রয়েছে। এছাড়াও ক্যামেরার জুম করে ফটোগ্রাফি করার মধ্যেও পার্থক্য রয়েছে।
এখানে ব্লগিং শুরু করার আগে এমনিতেই ভালো লাগায় ফটো ধারণ করতাম, সেগুলো মোবাইলের উপর ডিপেন্ড করতো। ভালো হলে ভালো, ভালো না হলে না ভালো কিন্তু এভাবে কোনদিন ভেবে দেখা হয়নি। এছাড়াও প্রথম যখন ক্লাস শুরু করেছিলাম তখন ফটোগ্রাফি করেছিলাম ঢাকার বেশ কিছু স্থানে। সেই ফটোগ্রাফি গুলাও মোবাইলের উপর ডিপেন্ড করে ফটো ধারণ করেছিলাম। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি যদি নিজের দক্ষতা থাকে আর স্থান বুঝে মোবাইলটা সেভাবে ফটোগ্রাফিতে ব্যবহার করতে পারলে কিছুটা হলেও সুন্দর ফটোগ্রাফির প্রত্যাশা করা যায়। ঠিক এখানে আপনারা লক্ষ্য করে দেখলেন। কিছুক্ষণ পরিশ্রম করার পরে বুঝে শুনে যখন ভালো ফটোগুলো হচ্ছিল সেগুলো উপরে দিয়েছি। আর প্রাথমিক পর্যায়ে যে ফটোগ্রাফি গুলো করছিলাম সেগুলো খারাপ হচ্ছিল সেগুলো নিচে দিয়েছি। আর এই থেকে যেন অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেল ফটোগ্রাফির দক্ষতা। আমি চেষ্টা করবো এভাবেই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে নিয়ে আসার। আর গ্রামীন পরিবেশ ফসলের মাঠ এগুলো তো আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। শহরের পরিবেশ ছাড়াও গ্রামীণ পরিবেশের চিত্র ধারণ করার চেষ্টা করব। আর এখান থেকে তো ভালো লাগার মত ফটো ধারণ করার ধারণা এসে গেছে। এখন শুধু সুযোগ বুঝে ফটো ধারণ করা আর আপনাদের মাঝে শেয়ার করা। আমি মনে করি শীতকালীন ফুলের ফটোগ্রাফি কনটেস্ট টা আমার ফটোগ্রাফি করার প্রতি আরো উৎসাহ আর ফটোগ্রাফির জন্য নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। শিশির ভেজা ফসলের পাতার ভালো ফটোগ্রাফি করতে পেরে আমার কাছেও ভালো লাগছে।
রেনডম ফটোগ্রাফি | শিশির ভেজা পাতা |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei mobile |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
Twitter-promotion
আমার আজকের টাস্ক
আপনার ফটোগ্রাফির "যাত্রা" পড়ে সত্যিই খুব অনুপ্রাণিত হলাম।ফটোগ্রাফির দক্ষতা অর্জন করতে সত্যিই সময় ও পরিশ্রম লাগে, এবং আপনি যে পর্যায়ে পৌঁছেছেন তা অনেকটা শেখার ফল। আপনার গল্পে ছবির প্রতি ভালোবাসা, পরিশ্রম এবং পর্যবেক্ষণ শক্তির প্রতিফলন রয়েছে। এটা সত্যিই মজার যে আপনি ফটোগ্রাফির বিভিন্ন দিক বুঝে, ধৈর্য ধরে নতুন নতুন কৌশল শিখে সুন্দর ছবি তুলতে পারছেন। গ্রামীণ পরিবেশের চিত্র ধারণ করার আগ্রহও খুব প্রশংসনীয়।
ফটোগ্রাফি করাটা হলো একটা আর্ট বা দক্ষতা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ভালো মোবাইল দিয়েও কেউ ভালো ফটোগ্রাফি ধারণ করতে পারে না।অনেকে ভালো মোবাইল থাকলেও ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারে না কারণ তার দক্ষতা ভালো নেই। কিন্তু কমদামী মোবাইল দিয়েও অনেক সময় ভালো মোবাইল থেকেও ভালো ফটো ধারণ করা যায়। যার প্রমাণ আমরা অনেকেই দেখি। আমার বাংলা ব্লগে কিন্তু অল্প দামের মোবাইল গুলো দিয়েও দারুন দারুন ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করা হয়ে থাকে। খুব ভালো লাগলো আপনি সার্চ করে নিজেই ফটোগ্রাফিতে দক্ষতা অর্জন করতে শিখেছেন দেখে।
যে কোন কাজের দক্ষতা না থাকলে কোন কাজ সুন্দরভাবে করা যায় না। তেমনি ফটোগ্রাফি ও দক্ষতার বিষয়। দক্ষ না হলে ফটোগ্রাফি করা যায় না।। আপনার শিশির ভেজা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি খুব দক্ষ একজন ফটোগ্রাফি করার লোক। বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ফটোগ্রাফি আসলেই দক্ষতার বিষয়। মোবাইল দামি হোক কিংবা কম দামি তবে দক্ষতা থাকলে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করা যায়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুণ ছিল। পোষ্টের লেখাগুলোও খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া। আমার কাছে প্রথমত এমন মনে হতো। কিন্তু এখানে ব্লগ করার পর থেকে বুঝতে পেরেছি ফটোগ্রাফির দক্ষতা প্রয়োজন রয়েছে। ভালো মানের ফটোগ্রাফি করতে হলে ভাল মোবাইল দরকার হয় তবে তার পাশাপাশি নিজের দক্ষতা বেশি প্রয়োজন হয়ে থাকে।
অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইজান আপনার চমৎকার এই শিশির ভেজা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। অনেক দক্ষতার সাথে আপনি ফটোগ্রাফি করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন আমাদের। আসলে এখানে অবশ্যই দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। সঠিক এঙ্গেলে ছবি তুলতে জানতে হবে, তাহলে ভালো ভালো ফটোগ্রাফি ধারণ করা সম্ভব হবে।
গম ফসলের পাতার উপর জমে থাকা শিশিরের অসাধারণ সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফিটি দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়েছে। আর এরকম ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বরাবরই খুবই ভালো লাগে। দারুন একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফি সত্যিই এক অসাধারণ দক্ষতার বিষয়। ভালো ফটোগ্রাফির জন্য দামি ক্যামেরার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো সৃজনশীলতা ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা। আপনার শিশির ভেজা গমের ফসলের ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। প্রতিটি ছবিতে দারুণ সৌন্দর্য ও নৈপুণ্যের ছোঁয়া রয়েছে। ফটোগ্রাফির প্রতি আপনার ভালোবাসা ও পরিশ্রম স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এমন মনোমুগ্ধকর ছবি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।